চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতিপক্ষের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশিদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কথা কাটাকাটির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ সভায় যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নিহতের পরিবার। নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদ তার বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছিলেন। গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকালে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি হারুনুর রশিদের তিলের জমিতে বার বার পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এ নিয়ে হারুনুর রশিদ তাদেরকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেয়। আনু মিয়ার বাড়িতে হারুনুর রশিদ যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করবে এটা ভাবাও যায় না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজহার ভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় পিকআপভ্যানের চাপায় আলী হোসেন (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী হোসেন খাড়েরা এলাকার মৃত হাফেজ আহমেদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দুধ বিক্রেতা ছিলেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকআপভ্যানটি আখাউড়া তন্তর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় ওই মহাসড়কের পাশে পথচারী আলী হোসেনকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পিকআপভ্যানটিকে জব্দ করা হলে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও ওসি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ ১ ডিসেম্বর কসবায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, “জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার আজও হয়নি। এর বিচারের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যতদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বক্তব্য রাখেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সিরাজুল হক ইমু, শিবির নেতা আব্দুর রহমান, জামায়াত নেতা শামিম রেজা, যুব জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিল্লাল হোসেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিচালক শাহাবুদ্দিন ইসলাম হৃদয়।
বৈষম্যবিরোধী নেতা আহসানুল হক ফাহাদ ও রাকিবুল ইসলামসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, টি আলী কলেজ ছাত্রদলের নেতা তারেক মাহমুদ, শিবির নেতা জুনায়েদ সিদ্দিক এবং ছাত্রদলের দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান (স্বপন) এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (আনারস প্রতীক) মোঃ মুরাদ হোসেন ভ‚ইয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) আখাউড়া উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।
ভোট গননা শেষে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেয়াদোত্তীর্ণ ও সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অন্তগর্ত কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, কর্মিসভার মাধ্যমে খুব দ্রুততম সময়ে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নাছিমা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি ব্রীজের নীচ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নাছিমা আক্তার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিবড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের দাবি, তার স্বামী হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নিহতের বড় বোন জামিয়া বেগম জানান, নাছিমার স্বামীর বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। প্রায় দুই যুগ আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা চলে আসছিলো। স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে বাবার বাড়িতে না গিয়ে অধিকাংশ সময় আমার বাড়িতেই থাকতো। জামিয়া বেগমের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। শুক্রবার তার বাড়িতে নাছিমার স্বামী লিটন আসে । এখানেও স্বামী-স্ত্রীর তর্কের এক পর্যায়ে নাছিমা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর তার স্বামী লিটন মিয়াও বেরিয়ে চলে যায়। এরপর কেউই ফিরে আসেনি। সকালে লোকজনের মুখে শুনে গিয়ে দেখতে পান মুলগ্রাম ব্রীজের নীচে পড়ে আছে ফাঁস লাগানো তার বোনের লাশ। তাদের সন্দেহ পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের কারনে তার স্বামী তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে চলে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গ্রামেরই নাছিমা আক্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দেন।
নাছিমার স্বামী লিটন মিয়া জানান, তার বোনের বাড়িতে তাকে আনার জন্য গিয়েছিলাম। তার বড় বোন আমার সাথে আসতে বলায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আমিও আমার বাড়িতে চলে আসি। সকালে শুনেছি সে মারা গেছে। কিভাবে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে তারা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।