চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর মো. তারু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল উত্তর পাড়ায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে বুধল উত্তর পাড়ার তিনু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, বৃদ্ধ তারু মিয়া গত ২৪ এপ্রিল রাতে বুধল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। আজ দুপুরে বাড়ির পাশের ডোবায় একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পণ্যবাহী একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকসাকে চাপা দিলে ১ শিশু আহত হয়। এ সময় ১০ যাত্রী নিরাপদে সড়ে যেতে সক্ষম হয়।
১৯ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকোল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী একটি কাভার্ডভ্যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকোল কলেজ হাসপাতালের সামনে নির্মানাধীন মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের সার্ভিস লেনে পড়ে যায়।
এসময় সার্ভিস লেনে থাকা যাত্রীবাহী তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকসাকে চাপা দেয়।
তবে কাভার্ডভ্যানটি কিছুটা ধীরগতি অটোরিকসা গুলোর উপরে পড়ায় কমপক্ষে ১০জন যাত্রী নিরাপদে অটোরিকসা থেকে নেমে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুটিকে স্থানীয়দের সাহায়তায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার এএসআই মোঃ শাহিন মিয়া জানান, একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি অটোরিকসাকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় একটি শিশু আহত হয়েছে, তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আজ ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আয়োজনে জেলায় ৩০৪ জন ভাতাভোগী আনসার ও ভিডিপি সদস্যের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সার্কেল এডজুটেন্ট মো. তৌহিদ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার প্রশিক্ষক শৈলেন দেবনাথ।
এ সময় জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান বক্তব্যে বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে আনসার সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি দেশের মানবকল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এমন কল্যাণমূলক কাজ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বেগম শারমিন নিগার বলেছেন, আইন সহায়তা দেয়ার নামে রেজিষ্টেশনবিহীন কিছু সংগঠন সাইন বোর্ড সার্টিয়ে বিচার প্রার্থী মানুষকে প্রতারনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে আইনগত সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি আইন সহায়তার নামে প্রতারনা করা এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ হচ্ছে গরীব, অসহায় ও অস্বচ্ছল বিচার প্রার্থীর মানুষের সরকারী খরচে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৩টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্যে রাখেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোনাহর আলী, জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন, জিপি এডঃ মোঃ ওয়াছেক আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,কে এম কামরুজ্জামান মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, স্বনির্ভর এর পরিচালক এস.এম শাহীন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নির সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী জজ মোঃ ওমর ফারুক, জেল সুপার শহীদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার ইউনুছ আলী, রফিকুল ইসলাম সুমন, এডঃ ফাহমিদা আক্তার, এডঃ মিলি বেগম, এডঃ শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, এডঃ মোঃ মাহমুদুল হক, এডঃ আব্দুল আজিজ খান, প্রবেশন অফিসার মোছাঃ রিমা আক্তার প্রমুখ।
এসময় লিগ্যাল এইড অফিসার মামলার অগ্রগতি সভা সমূহে উপস্থাপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুমোদনবিহীনভাবে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণের দায়ে দুই ইমারত মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালাইশ্রীপাড়া ও লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে ৬তলা ভবন নির্মানের অনুমতি নিয়ে কালাইশ্রীপাড়ার এক বাসিন্দা ৭ তলার ভবন নির্মান করায় এবং পৌর সভার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) পশ্চিমপাড় এলাকায় ৫তলা ভবন নির্মাণ করায় ইমারত নির্মান বিধিমালা আইনের বিভিন্ন ধারায় দুই ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেছেন, মানুষ ভোট দেওয়া ভুলে গেছে। ভোট দিতে চায় না কারণ মনের মতো মানুষ পায় না। এটা আমাদের জন্য কলঙ্ক হয়ে গেছে। আমি যদি না থাকতাম তাহলে নির্বাচনের গন্ধই থাকত না।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমবেত জনতাকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে ফিরোজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ ধৈর্য ধরেন। প্রশাসন থেকেও বলেছে একটু ধৈর্য্য রাখেন।
তারাও মনে করে যে আপনাদের জয় হবেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হবে। নির্বাচন খারাপ হলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। যারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
কেউ গালি দিলে ধন্যবাদ দেবেন। আঘাত করতে এলে নাম ঠিকানা দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমার নির্বাচন করতে এলে কেউ আহত হলে সেই দায়িত্ব আমার। আমার জন্য করতে গিয়ে কেউ আহত হলে আমি চলে যাব আমি এমন মানুষ না।’
অভিযোগের সুরে ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে মন্তব্য করে।
আমি একাডেমিকেলি দুর্বল। কিন্তু আমি লায়ন্স-এর গভর্ণর। আমি এখানে একে একে আসছি। ইউনিয়ন, উপজেলা ও সংসদ। তিলে তিলে ব্যবসা করতে করতে এখানে এসেছি। আমি পারব না দুর্নীতি করতে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। আমরা তো আওয়ামী লীগেরই।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে আপনাদেরকে সম্মান দেওয়া। মানুষের মূল্য একটাই তার আচার ব্যবহার। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে শান্তিমতো কাজ করতে পারিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে আসাটাও বন্ধ রাখছে কেউ কেউ। আমাদের গ্যাস আমরা সবাই পাই না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলে না কেউ। আমি সংসদের যেতে পারলে এসব বলব।’
সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে। যদি পাহারাদার ঠিক থাকে তাহলে চোর চুরি করতে পারবে না। আপনারা না গেলে চুরি করে নিয়ে যাবে।’
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করলে আপিলে তিনি তা ফিরে পান।