চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোসল করতে গিয়ে ডোবার পানিতে ডুবে আব্দুর রাহিম নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রাহিম (১১) ঐ গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে।
মৃতের চাচা আলী আজম জানান, আব্দুর রাহিম বিকেলে বাড়ির পাশে ডোবায় গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷ রাহিম প্রতিবন্ধী ছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, বিকেলে ডোবাতে ডুবে একটি প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যেগে আজ ৬ মার্চ পৌর মুক্তমঞ্চে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে পার্টির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডঃ সৈয়দ মোঃ জামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড আছমা খানম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আহমেদ হোসেন, শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি এম এ রাকিব, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, উদীচীর জেলা সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,জেলা টি ইউসির সদস্য সচিব আল মামুন, রিক্সা- ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেদ প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্বের ৫২ বছর পর মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। দুর্নীতি লুটপাট পাহাড় সমান। মানুষের মধ্যে প্রতিদিন বৈষম্য বাড়ছে। দেশে আজ দুই ধরনের অর্থনীতি চলছে, একটি বড় লোকের অর্থনীতি আর একটি গরীবের অর্থনীতি, বড় লোকের জন্য এক ধরনের শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্যনীতি আর গরীব মানুষের জন্য আর এক ধরনের শিক্ষা চিকিৎসা ও খাদ্য নীতি। আজ ও মানুষ ভাতের জন্য সংগ্রাম করতে হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই বড় দলই আজ সাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদকে তেষন করছে। তাই আজকে মুক্তিযুদ্বের চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে এবং বৈষম্য-শৌষন ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকো মাস্টারদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করে। গত ১১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন এ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়েছে।
১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকালে বাঙালি সংস্কৃতিকর অনুষঙ্গ বর্ষবরণ উদযাপনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের লোকনাথ টেংকের পাড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ঢাক আর ঢোলের তালে তালে লাঠিখেলা প্রদর্শনের মাধ্যমে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ফারুকী পার্ক চত্বরে গিয়ে সমবেত হয়। সেখানে জাতীয় সঙ্গীত শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টায় শহরের রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর রাতের আঁধারে আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং আওয়ামীলীগের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি ক্ষমতায় এসেছিল।
বর্তমানে মানুষ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়না। কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তা পৃথিবীর গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা উকিল আবদুস সাত্তার ভ‚ইয়াকে আওয়ামীলীগের লোকেরা পাহারা দিয়ে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করিয়েছে।
তিনি বলেন, আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে। শেখ মুজিবুর রহমান তখন ক্ষমতায়, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ সাহেব বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন এবং খন্দকার মোশতাক বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। সেদিন হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ঢাকায় নিয়ে মোশতাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। যিনি পরবর্তীতে শেখ মুজিবের লাশ সিড়িতে ফেলে রেখে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে লুন্ঠন করে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তারা কানাডায় বেগম পাড়া গড়েছেন। তিনি বলেন, কানাডা সরকার আইন করেছে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যেন কেউ আর বাড়িঘর না করতে পারে। এর চেয়ে আর লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া বাকি আদালত গুলোতে যাবেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাধারণ সভা শেষে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সভায় বসেন আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের সভা।
দুপুরে সাধারণ সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের যে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন সমগ্র বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অভিভাবক। আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস স্থাপন করি। আমরা আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার আদালতে যোগদান করব। আমাদের বিষয়ে যা যা করার তাঁরা তা করবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বাদে সবগুলো আদালতে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবগুলো দাবির কোনো কোনোটা পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিষয়ে হয়তো দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা কাল মঙ্গলবার থেকেই ওই আদালতে ফিরে যাব।
এর আগে গত রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আইনজীবীরা নেতারা আদালতে ফেরার করার কথা জানান।
বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান কানন, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্জনের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। আইনজীবীরা কাল আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। রবিবার মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
এদিকে জজ আদালতের নাজির মুমিনুলকে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে “প্রশাসনিক কারণ” দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় “মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে মাসাধিককাল ধরে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের ফলে শত শত বিচারপ্রত্যাশী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।