চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোসল করতে গিয়ে ডোবার পানিতে ডুবে আব্দুর রাহিম নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রাহিম (১১) ঐ গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে।
মৃতের চাচা আলী আজম জানান, আব্দুর রাহিম বিকেলে বাড়ির পাশে ডোবায় গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷ রাহিম প্রতিবন্ধী ছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, বিকেলে ডোবাতে ডুবে একটি প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে দিশু দাস (৫৯) ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৩৭) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দিশু দাস ওই এলাকার ধরনি দাসের ছেলে ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস একই এলাকার গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিনুল হক জানান, দিশু দাস ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস ভোরে তিতাস নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার সময় থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল। বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে দুই জন মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের আধুনিকায়ন মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান, ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সারওয়ার আলমসহ চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মেডিকেল পড়াশুনার জন্য যুগোপযোগী সকল কিছু অপরিসীম। আধুনিকায়ন ব্যতীত মেডিকেল কার্যক্রমে অসমাপ্তি রয়ে যায়। তাই সকল বিভাগের আধুনিকায়নই একান্তই প্রয়োজন। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩- (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলার সময় হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ নিহতের ঘটনায় তার খালাতো ভাই নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তানজিল বারী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মালেক চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খোকন আচার্য, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুম্মান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলী আজম, ঠিকাদার হামদু মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা ফারানিসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদি মাওলানা মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলি মাসুদের পেটে বিদ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় অবৈধভাবে উড়াল গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ও বাকাইল গ্রামের পাশে তিতাস নদীতে অবৈধ গ্যাসের পাইপ লাইন লাইন উচ্ছেদের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে উড়াল গ্যাস ব্যবহার কাজে ব্যবহৃত তিতাস নদীতে অবৈধভাবে স্থাপিত ২২ টি গ্যাস উত্তোলন ট্যাংক ও প্রায় ৭ হাজার মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, উড়াল গ্যাস ব্যবহার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আমরা অভিযান শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) মোঃ আশরাফুল আলম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাসের-৩ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। এ ঘটনায় গত ২০০৬ সালে তিতাসের ৩ নম্বর কূপটি বন্ধ করা হয়। বর্তমানে লিকেজ দিয়ে যে গ্যাস বের হচ্ছে তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী, জেলা প্রশাসনের নেজারতে ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ইকরামুল হক নাহিদ সহ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মধ্যে এই সার ও বীজ বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-২- ২০২৩-২৪ মৌসুমে রোপা আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৫শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও সার দেওয়া হয়। প্রতি কৃষককে ৫ কেজি রোপা আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০ কেজি ডিএপি সার দেয়া হয়।