অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিমূর্লের উদ্দেশে হামলা চালালেও দীর্ঘ প্রায় সাত মাসের যুদ্ধ শেষে লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি ইহুদিবাদী সেনারা।
এদিকে, পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংস করে এখন সেখানকার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফায় হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব সেনারা বলেছেন, রাফায় অভিযান চালানোর সময় ডাকা হলে তাতে সাড়া দেবেন না তারা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে- দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ করার পর তারা কতটা ক্লান্ত তার চিত্র।
এদিকে সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে সোমবার জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।
ইসরায়েল হুমকি দিয়ে বলেছে- যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফায় হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তাবাসকো রাজ্যে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনার কিছু ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৮ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্যুরস আকোস্টা নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এই বাসটির মালিক। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাসটি ক্যানকুন থেকে তাবাসকো যাচ্ছিল। এতে মোট ৪৮ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বাসটি আগুনে পুড়ে যায়। তারা আরও জানায়, বাসটি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। এসকারসেগার কাছাকাছি পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষে হয়। সংঘর্ষের পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
তাবাসকো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
ট্যুরস আকোস্টা ফেসবুকের এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এ ঘটনার জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মেক্সিকোর কাম্পেচে প্রদেশের কান্দেলারিয়া শহরের প্রসিকিউটরের অফিসে এ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। নিহত যাত্রীদের লাশ নিতে স্বজনদের এই অফিসে যেতে হবে।
তাবাসকো সরকারের সেক্রেটারি রামিরো লোপেজ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা মৃতদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।’
স্থানীয় কাউন্সিল প্যালাসিও মিউনিসিপ্যাল দে কমালকালকো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্থানান্তরের জন্য তারা সহায়তা করবে।
সূত্র: রয়টার্স
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিক হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক প্রেস কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেন তিনি। প্রয়োজনে গাজা উপত্যকায় মার্কিন সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং আনাদোলু।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিকানা নেবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “একই লোক” (গাজার) পুনর্নির্মাণ এবং জমি দখলের দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ইঙ্গিত দেয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজও করবো।
ট্রাম্প আরো বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করবো, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করবো (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।
যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন: যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।
তিনি বলেন, আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে। তিনি গাজা স্ট্রিপের “দীর্ঘমেয়াদী মালিক” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যেমনটা আলোচনা করেছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।
অনলাইন ডেস্ক
পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে প্রথমবারের মতো মামলা হয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ ডেনমার্কে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি আদালতে দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত জুনে কোপেনহেগেনে একটি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পবিত্র কোরআনের অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। যেখানে তারা এ কাজটি করেছিলেন, সেখানে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন ছিলেন। অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ডেনমার্কের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ। তবে কোপেনহেগেনের কোন আদালতে মামলা হয়েছে তা জানানো হয়নি। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও গোপন রেখেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোপেনহেগেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর লাইস-লোটে নিলাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ ঘটনা ঘটেছিল একদম প্রকাশ্যে এবং বহুসংখ্যক মানুষের সামনে। পাশাপাশি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার লাইভ সম্প্রচারও হয়েছিল। মামলার মূল কারণ এটিই।”
তবে কোন আদালতে এ মামলা হয়েছে, তা তিনিও নিশ্চিত করেননি।
২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ডেনমার্কে একাধিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির প্রচলিত আইনে এ ধরনের তৎপরতা অপরাধের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা সে সময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরুর করার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্ক সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি আইন পাস ডেনমার্কের পার্লামেন্ট। সেই আইনে প্রকাশ্যে ও জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা কোনও ধরনের অবমাননা করা এবং তার ভিডিওধারণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ব্যারন’স, দ্য ট্রুথ ইন্টারন্যাশনাল, এএফপি, ডন
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, আমেরিকান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিতে আসা তিন চিকিৎসক হলেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জন হপকিন্স কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক। তিনি রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিকাল বিশেষজ্ঞ। সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। আজ ২৭ মে শনিবার ঢাকায় আসেন তিনি।
ওআইসি মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ ও আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সফরকালে ওআইসি মহাসচিব কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। আগামীকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ওআইসি মহাসচিব ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠেয় ৩৫তম সমাবর্তনে বক্তব্য দেবেন।