অনলাইন ডেস্ক :
সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে বোরো ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
২৮ এপ্রিল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দিয়েছে অধিদফতর।
এতে উল্লেখ করা হয়, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ মে থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের (সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনো) অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন অবস্থায় হাওর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দন্ডায়মান ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শ দেওয়া হলো :
১. বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখুন।
২. দ্রুত পরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করুন।
৩. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন ধানের জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
৪. জমির আইল উঁচু করে দিন।
৫. ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পারি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা রাখুন।
৬. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রদান থেকে বিরত থাকুন।
৭. বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
৮. কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির চাপে আছেন। এই সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে পণ্য ও সেবা বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপরীতমুখী চাপে আছেন তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে তাঁদের নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ নেই। বরং এখন কঠিন বাস্তবতার মুখে রুগ্ণ ও সংকটে থাকা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে সরকারের কাছে নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি দেশ। এখনো একজন বিনিয়োগকারীকে দেশে বিনিয়োগ করতে হলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪১টি ছাড়পত্র নিতে হয়। এই জটিলতার পরও সরকারের দেওয়া সেবার মূল্য ও কর বৃদ্ধি অব্যাহত। গত তিন বছরে গ্যাসের দাম ২৫০ শতাংশ থেকে প্রায় ৪৫০ শতাংশ বেড়েছে।
যদিও আবার দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। এসবের সঙ্গে আছে উচ্চ সুদের হার, ঋণপত্রে জটিলতা, বেতন-বোনাস, উচ্চ উৎপাদন ব্যয় ও ডলার দর বৃদ্ধিতে এখন নাজেহাল অবস্থা।
রবিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করে এমন দবি করেছে। এ বৈঠকেই তারা এখন বিনিয়োগ করতে আগ্রহ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে।
একই সঙ্গে তারা সামনে আর যাতে লোকসানে না পড়তে হয়, সে জন্য কিছু কিছু ব্যবসাও গুটিয়ে নিতে চায়।
জানা যায়, ২০২১ সালের পর থেকেই দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসায় ভাটা পড়েছে। এমনকি সরকার পরিবর্তনের পরও বিনিয়োগে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে এক হাজার ৮৩টি ব্যবসা প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৩৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে। পরের বছর এক হাজার ৮১টি ব্যবসা প্রকল্প নিবন্ধনের মাধ্যমে এক হাজার ২৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল।
২০২৩ সালে আরো কমে ব্যবসার ৯৯৮টি প্রকল্পে ৮৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার হয়। আর চলতি বছরে ব্যবসার ৭৪২টি প্রকল্পে এক হাজার ১৬৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিবন্ধন হলেও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকেই ২৫৪টি প্রকল্পে ৬৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার পরিবর্তনকালীন জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে ১৮৬টি প্রকল্পে মাত্র ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার হয়েছে।
রিজার্ভের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বিদেশি বিনিয়োগ। রিজার্ভ যেমন কমছে, বিদেশি বিনিয়োগও কমছে। আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮.৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৪৭ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে যা ছিল ১৬১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পাঁচ মাস পার হতে চললেও দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পরিবেশ এখনো ফেরেনি। বরং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং সংস্কার ও নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, ‘দেশে বর্তমানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে, ঋণের উচ্চ সুদহার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি—সব কিছু মিলিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান তার পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না। উৎপাদন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। চাহিদা মতো ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৭.৬৬ শতাংশ। নতুন গ্যাস সংযোগে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আবার আইএমএফের সুপারিশে বিভিন্ন পণ্যের ওপর কর-মূসক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের টিকে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি, আমাদের বর্তমান শিল্পগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে। আর শিল্প টিকে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সমস্যা হবে না।’
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কোনো এক্সিট বা ব্যবসা গোটানোর পলিসি নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের এক্সিট পলিসি থাকা দরকার। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, আমরাও মনে করি এক্সিট পলিসি থাকা দরকার। আর এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।’
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির দায় অন্য ব্যবসায়ীদের না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকগুলোরও এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ক্যাশ ইনসেনটিভ না পেলে ইন্ডাস্ট্রিগুলো মরে যাবে।
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পের নগদ সহায়তা পেতে আবেদনের পর ৯ মাস থেকে এক বছর সময় লাগছে। যার ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের সময় মতো তাদের অপারেশন কস্ট মেটানো, তাদের কর্মীদের বেতনাদি পরিশোধ করতে পারছে না। আমরা মনে করি, নগদ সহায়তা প্রদানের সময়সীমা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নামিয়ে আনা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা আগের মতো ৩৫ শতাংশে উন্নীত করা উচিত। আমরা ঋণখেলাপির ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। কারণ মার্চ থেকে কোনো গ্রাহক তিন মাস কিস্তি না দিলে খেলাপি হয়ে যাবে। তাই এটাকে তিন মাসে না এনে ছয় মাস রাখার প্রস্তাব করেছি।’
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যমান বড় শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের মনিটরিয়াম সুবিধাসহ আগামী ১২ বছরে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানের এক্সিট পলিসির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাংক দায়ের ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট, ১ বছরের মনিটরিয়ামসহ ১৫ বছর মেয়াদে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছি।’
একটি প্রতিষ্ঠান এক্সিট সুবিধা নিয়ে পরে কিভাবে ব্যাংকের দায় পরিশোধ করবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার-উল আলম সাংবাদিকদের বলেন, একজন ব্যক্তির একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকে। সব প্রতিষ্ঠানই একসঙ্গে খারাপ হয়ে যায় না। যে প্রতিষ্ঠান রুগ্ণ হয়েছে তার দায় পরিশোধের জন্য তাঁর অন্য ভালো প্রতিষ্ঠানের আয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের দায় পরিশোধ করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নতুন সূর্য সবার গায়ে লেগেছে। আমরা চাই সবাই দেশের জন্য কাজ করব। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় আমরা যেটা দেখছি তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে ৭৫ টাকা করা হবে। অথচ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তৈরির কথা বলছি। কিন্তু ঢাল-তলোয়ার ছাড়া নিধিরাম সর্দারের মতো কিভাবে দেশের জন্য করবে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ববাজারে টিকতে পারব না।’
গভর্নরকে অবহিত করেছেন এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প খাতের প্রণোদনা কেটে দেবেন। অথচ হোগলা পাতা রপ্তানি করলেও তারা প্রণোদনা পায়। দেশের শিল্প এখন ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ ঋণের সুদ দেয়। এর পরও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি। অথচ শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ডলারের সংকট চলছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগে যাবেন না। পরীক্ষিত ব্যবসায়ীরা এখন ঝুঁকি নেবেন না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের শর্ত অনুযায়ী ঋণ শ্রেণিকরণে নতুন নিয়ম চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুসারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তিন মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার পর সব ধরনের ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হবে। বর্তমানে এ সময়সীমা ছয় মাস।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিএমএসই খাত সব থেকে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমাদের সিএমএসই খাতকে টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা মনে করি, সিএমএসই খাতের বিশেষ তহবিল এবং নিম্ন সুদের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ খাতে একটি জেলা বা একটি ক্লাস্টারকে পাইলট ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে অর্থায়ন করা যেতে পারে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এপ্রিলে খেলাপি ঋণের নতুন নিয়ম চালু হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তার ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ, শ্রমিকের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিকে ব্যবসার অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, এলসি জটিলতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে সুদের হারও।
ব্যাংক রিফর্ম কমিটিতে ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তি এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দিয়ে সরবরাহব্যবস্থা ঠিক করার দাবিও জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিসিআইয়ের প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য এখন মুদ্রাস্ফীতি কমানো। আমরা আশা করি আগামী জুন নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ৭-৮-এর মধ্যে নেমে আসবে। আমাদের বেসরকারি খাতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। আমরা সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য সুপারিশ করছি। যাতে বেসরকারি খাতে অর্থ প্রবাহ বাড়াতে পারি। কিন্তু ডিপোজিট বাড়ছে না। ডিপোজিট গ্রোথ ৭ শতাংশ। অর্থ প্রবাহ বাড়াতে হলে ডিপোজিট বাড়াতে হবে। বর্তমানে ডলারের ক্রাইসিস নেই। অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে, কিন্তু একটু সময় লাগবে। আগামী রমজানে যাতে নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ আছে এবং আমরা সে লক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি মনে করি, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেটে যেতে হবে। আমাদের করপোরেট বন্ডের জন্য কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে।’
সভায় উপস্থিত থেকে নিজ নিজ সেক্টরের সমস্যাসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন সিনিয়র সহসভাপতি, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হাসান সোহেল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান, উত্তরা মোটর করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, বারভিডা সভাপতি আব্দুল হক, পরিচালক বিসিআই ও চেয়ারম্যান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ আহসান খান চৌধুরী, কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাদাব আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিসিএমইএ ও ভাইস চেয়ারম্যান মন্নু গ্রুপ মঈনুল ইসলাম স্বপন, বিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, বিসিআই সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার নতুন তারিখ ও সময় যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এই পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে মোট দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার ও এক হাজার ২২ জন নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলোর চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে এ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন প্রার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলারপথে ডেস্ক :
চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার অলংকার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এটি নাশকতার ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, এটি নাশকতা কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা নয়। যাত্রীবাহী বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে আসে। রাত ৩টার দিকে একে খান মোড়ে যাত্রী নামানোর সময় গাড়িতে আগুন ধরে যায়। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আগ্রাবাদ স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। বাসটিতে ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সময় শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারের বিভিন্ন দোকানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারে আলু প্রকারভেদে পাইকারি ৩৭-৩৮ টাকা এবং খুচরা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। সেট অভিযানের আগে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ৫-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতো।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, গত ১ সপ্তাহের তুলনায় আলু পাইকারি পর্যায়ে ৪ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অভিযানের সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় মূল্যে তালিকার হাল নাগাদ রশিদ না পাওয়ায় এবং দাম বেশি নেওয়ার জন্য মেসার্স সিকদার ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা, মেসার্স মিতা বাণিজ্যালয়কে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স হাবিব স্টোরকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সচেতন হতে বলেন তিনি।
অভিযানের সময় সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মোহাম্মদপুর থানায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চারদিন এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন দীপু মনির চার দিন ও জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আদালতের ডকে উঠানোর পর দীপু মনি একপাশে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় আইনজীবীরা ‘চোর’, ‘ফাসি চাই’ বলে চিৎকার করছিলেন। একপর্যায়ে দীপু মনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখনো আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন আসামি পক্ষে এক আইনজীবী তাদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এজলাসে আসামিদের ডকে উঠানোর পর কারও হাতে হাতকড়া না থাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আসামিদের হাতকড়া পরানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন। এরপর আসামি জয়কে হাতকড়া পরানো হয়। নারী বিবেচনায় দীপু মনিকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
শুনানির এক পর্যায়ে জয় কথা বলতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের তোপের মুখে কিছু বলতে পারেননি। অপরদিকে দীপু মনি ডকের এক কোণায় অবস্থান নিয়ে মাথা নিচু করে ছিলেন। কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য তাকে ঘিরে রাখেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।