চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ ঐতিহ্যবাহী জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরী শিক্ষালয়ে ২০২৪-২৫ ইংরেজী সনের শিক্ষাবর্ষের প্রথম সবক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সবক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মুহতামিম ও শাইখুর হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শামছুল হক সরাইলী, আল্লামা তানভীরুল হক, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন লিটন।
হাফেজ মাওঃ আলহাজ্ব জাকারিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত সবক অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাঃ মাওঃ মোহাম্মদ ইদ্রিস মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের গুরুত্বপূর্ণ নসিহত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহের নিরাপত্তা নিরাপত্তা, বিপদমুক্তি রহমতের বৃষ্টি ও সার্বিক সফলতার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর আশপাশের এলাকার জন্য সদকাতুল ফিতর নির্ধারণকল্পে আজ ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও মুফতিয়ানে কেরামদের এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ সভায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, মুফতি শামছুল হক মুফতি মুহসিনুল করিম সহ শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ১৪৪৪ হিজরি ২০২৩ ইং সনের ফিতরা জনপ্রতি (১০০ টাকা) নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন ও আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) পদক পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে শান্ত ও নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার ভূমিকাও এই পদক প্রাপ্তির পিছনে ভূমিকা রাখে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ -২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পদক প্রদান করেন।
ওই অনুষ্ঠানে মোট ৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহেরও উদ্বোধন করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের এই কৃতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যরা আনন্দিত ও তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণও এই কৃতিত্বের গর্বিত অংশীদার।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার পর স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ও আশেপাশের এলাকায়ও শুরু হয় বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির বর্ষণে প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তির হাওয়া। এ সময় দফা দফায় বজ্রপাতে প্রকম্পিত হয় আকাশ। এদিকে বৃষ্টির ফোটা শুরু হবার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন পোষ্ট করতে শুরু করে বৃষ্টি পড়ার খবর। আর এটা দেখেই বোঝা যায় মানুষ কতটা প্রতীক্ষা করেছে এই বৃষ্টির জন্য।
এদিকে বৃষ্টি নামায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীর মধ্যে। বৃষ্টিপাতে কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা। সারাদেশের ন্যায় গত বেশকিছু দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও দাবদাহ চলছিল। দাবদাহের কারণে জনজীবনে নেমে অস্বস্তি, বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির জন্য হয় বিশেষ দোয়া মোনাজাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুল আলিম বলেন, এ বৃষ্টি সস্তির ও শান্তির বৃষ্টি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। এই কয়েক দিনের গরমে আমরা অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে মানুষ খুব কষ্ট করেছে। বিশেষ করে খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট আমি নিজের চোখে দেখেছি। এই বৃষ্টির ফলে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান মে দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়েছে। গত বুধবার সকালে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত এড. লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মোঃ আবু জাইদ।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জামাল মিয়া, সহ-সভাপতি মোঃ স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাদিরুজ্জামান সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, দফতর সম্পাদক মোঃ কালু মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোঃ আঃ করিম, সাব ঠিকাদার মোঃ হাজী রফিকুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বাক্কি মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ ওবায়দুল হক, মোঃ মজনু মিয়া, রেনু মিয়া, কালিসীমার সভাপতি মোঃ আক্তার খাঁ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা মে দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিবস।