চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাঈদা সুলতানা প্রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ওই পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সাঈদা সুলতানা একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন।
কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার মঙ্গলবার বিকেলে জানান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় শুধু একজন প্রার্থী রয়ে গেলেন। যে কারণে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এরপরই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জসিম উদ্দিন (২৭) নামের এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কসবা-আখাউড়া সড়কের কসবা পৌর এলাকার ফুলতলী হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার আদ্রা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জজ মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট সেনানিবাসে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় উপজেলার শাহপুরের সুমন মিয়া নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন জসিম উদ্দিন। সোমবার বিকেলে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। কসবা-আখাউড়া সড়কে হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে পোঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তার মোটর সাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জসিম উদ্দিন মোটর সাইকেল নিয়ে সড়কের পাশে গর্তে পড়ে গুরুতর আঘাত পান।
এসময় সুমন মিয়া নামের আরেকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মোটর সাইকেল দুটি পুলিশ হেফাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অগ্নিকান্ডে একটি মাকের্টের চারটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। খবর পেয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেল বিকেল ৪টার দিকে সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন টিনশেডের ওই মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে দু’টি রড সিমেন্টের দোকান, একটি ফুলের দোকান ও একটি এসএস পাইপের দোকান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবদুল আল খালিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসএস পাইপের দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয় বলে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত না করে আনুমানিক ক্ষতির কথা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জুয়েল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। ৭ মার্চ শুক্রবার ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মজলিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী জব্দ করে।
ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্তবর্তী মজলিশপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় এক কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকা জব্দ করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে যে কোন ধরণের চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।