ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 3 May 2024, 332 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

banner

গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক এবং শ্রেনী কক্ষে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে কোনো ভাবেই প্রবেশ করা যাবেনা। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সে জন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেনী কক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেনী কক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা শ্রেনী কক্ষে অমনোযোগি থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে এর পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটর সাইকেলের চলাচল শ্রেনীকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

৫ উপজেলার নির্বাহী অফিসার বদলি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 8 December 2023, 551 Views,

নির্বাচন কমিশনের সম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বদলি করা হয়েছে।

banner

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত একপত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়াকে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমাকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুরকে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে বিজয়নগর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই কৃতি সন্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 March 2024, 447 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি দুজন ডেপুটি গভর্ণর নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম- দুজনেরই বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তাদের ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরইমধ্যে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছেন তারা।

banner

২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান খুরশীদ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তর এবং পরে এমবিএ করেন। ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন তিনি। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষিঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন খুরশীদ আলম। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে-মেয়ের বাবা তিনি।

এছাড়া ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। জেলার বিজয়নগর উপজেলায় অবস্থিত খিরাতলায় তার গ্রামের বাড়ি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ড. হাবিবুর রহমান।

হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মনিটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিটে (বর্তমানে মনিটারি পলিসি বিভাগ) কাজ করেছেন। পরে তিনি বিশ্বব্যাংকের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি অ্যানালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র রিসার্চ ইকোনমিস্ট হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে উপমহাব্যবস্থাপক এবং সবশেষ গভর্ণর সচিবালয়ের পলিসি সাপোর্ট উইংয়ে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।

ড. হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী ড. সায়েরা ইউনুস বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে এক মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 18 December 2023, 863 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

banner

আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।

৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।

প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এসআই আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 January 2023, 1907 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এক দম্পত্তিকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে মোঃ আতিকুল্লাহ (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই প্রতিবন্ধীকে আটক করে।

আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। হামলাকারী প্রতিবন্ধীর নাম সাইদুল ইসলাম (৩১)। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।

banner

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম তার বাবা-মাকে বন্দি করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯ এ ফোন করে এক প্রতিবন্ধী নিজের বাবা-মাকে ঘরে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে সাহায্য চান। ফোন পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের বাবা বজলু মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করেন।

এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলকে আটক করার চেষ্টা করলে সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এসআই আতিকুল্লাহকে পেট ও বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতের কনুয়ে আঘাত করেন। এতে আতিকুল্লাহ গুরুতর আহন হন। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাইদুলকে আটক করে ও আহত আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহত পুলিশের এস.আই আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুস শামস বলেন, আহত আতিকুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যান্ডেজ দিয়ে তার রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আহত পুলিশ সদস্য আতিকুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই মানসিক প্রতিবন্ধী, তার বাবা ও মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আগুন লেগেছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ঘরের ভেতরে আগুন। ওই প্রতিবন্ধী যুবক ঘরের ভেতরের ও বাহিরের কলাপসিবল ফটকে তালা দিয়ে হাতে ছুরি বসা রয়েছে। কেউ এগিয়ে গেলেই ওই যুবক আঘাত করার চেষ্টা করে। প্রথমে আমাদের সাথে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করে। সে সময় ওই প্রতিবন্ধী যুবক এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধী যুবককে আটক করলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৬২ পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 20 March 2023, 926 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ৮ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার।

banner

আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এই তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চতুর্থ ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন ঘর।

আগামী ২২ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬৬২টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জিত হওয়ায় ওইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ইতিমধ্যেই ঘরগুলোর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওইঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগী ভূমি ও গৃহহীনদের নামে ভূমির দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। নির্মানকৃত প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে ভূমিহীনদের পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিপ্লব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবেন না। একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার গোলাম মুস্তফা মুন্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।