অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ ৩ মে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।
ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।
পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।
এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।
জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই অধারাবাহিক ওপেনার লিটন দাস শুরুটা করেন বাজেভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড তিনি। গুড লেংথে ফেলা বলটি লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এতে ৩ বলে মাত্র ১ রানেই থামল সর্বশেষ ১৯ ইনিংস আগে ফিফটির দেখা পাওয়া লিটন। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্যও বড় চিন্তার কারণ!
শান্ত ভালো খেলতে থাকলেও কাটা পড়েছেন দলের ৫৭ রানের মাথায়। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনার দৃষ্টিনন্দন সব শটে হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
চারে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনে মিলে হতে দেননি কোনো বিপদ। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ-হৃদয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ১৯ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ৭ উইকেটে হেরেছে। এতেই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে বাংলাদেশ শঙ্কায় পড়ে যায়।
ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ ভাগ্যটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ছেড়ে দিয়েছিল নিগার সুলতানার দল। আজ ১৯ এপ্রিল শনিবার লাহোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনেও ছিল কঠিন সমীকরণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় থাইল্যান্ড।
এতে বিশ্বকাপে খেলার জন্য ১০.১ ওভারেই থাইল্যান্ডের ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ক্যারিবীয় নারীদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটা পারেনি। ১০.১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় থেকে ১০ রান পিছিয়ে ছিল তারা।
আর এতেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১০.৫ ওভারে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে। তবে নেট রান রেটে বাংলাদেশের পেছনে থাকায় বাদ পড়েছে আগামী বিশ্বকাপ থেকে। বাংলাদেশের নেট রান রেট +০.৬৩৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে +০.৬২৬ নেট রান নিয়ে।
ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলবে ৮ দল। এর মধ্যে স্বাগতিক ভারতসহ ৬ দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পায়। বাকি ৫ দল হলো-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে জিতেই বিশ্বকাপের টিকিট পায় বাছাইপর্বের স্বাগতিক পাকিস্তান। অন্য টিকিট হাতে পেলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল-ওয়াসলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন সিআর সেভেন। তার দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-ওয়াসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০তম জয় এটি রোনালদোর। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় রোনালদোর। তিনি সেখানে ১৩ জয় পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফায় খেলে ২১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকার সবচেয়ে সফলতম ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি ১০ মৌসুমে সেখানে ৩১৫ জয় পেয়েছেন। আর জুভেন্টাসে রোনালদোর জয় ৯২ ম্যাচে।
রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও বাকি দুই গোল এসেছে আল ফাতিল ও আল হাসানের পা থেকে। এই ম্যাচেই আল নাসরের হয়ে অভিষেক হয় কিছুদিন আগেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে দলে ভেড়ানো কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন ডুরানের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আল নাসর। সিমাকানের পাস থেকে গোল করেন আলী আল হাসান। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয় হাফে। ৭৮তম মিনিটে সাদিও মানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিআরসেভেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৩তম গোল।
আল নাসরের হয়ে শেষ গোলটি করেন আল ফাতিল। ৮৮তম মিনিটে ব্রোজোভিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। এ জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় স্থানটা আরো মজবুত করল আল নাসর।
অনলাইন ডেস্ক :
স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলোনা। রুদ্ধশ্বাস ও তুমুল উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৫-২ গোলের ম্যাচে স্প্যানিশ সুপার কাপের রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৫তম শিরোপা জিতল কাতালানরা।
১২ জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাতে জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে মহিমান্বিত রাত উদযাপন করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। একইসাথে কার্লো আনচেলত্তির রিয়ালকে ভুলে যাওয়ার মতো এক রাত উপহার দিয়েছে।
গত আসরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
গোলের শুরুটা করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। গোলের শেষটাও করে তারা। তবে মাঝে পাঁচ গোল হজম করতে হয় আনচেলত্তি দলের। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায় রিয়াল। মাজমাঠ থেকে ভিনিসিউসের পাস থেকে একক নৈপুণ্যে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এরপর বার্সা শো শুরু হয়। প্রথম হাফেই চার গোল দিয়ে রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে তারা। শুরুটা করেন ইয়ামাল। লেভানডোভস্কির থ্রু বল পেয়ে দারুণ করে বার্সাকে সমতায় ফেরান এই স্প্যানিশ তারকা। ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে লিড এনে দেন লেভানডোভস্কি।
তার তিন মিনিট পরই রাফিনিয়া তৃতীয় গোল করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রিয়াল। ডান দিক থেকে জুলস কুন্দের ক্রসে বক্সে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া। এরপর প্রথমার্ধের ৯ মিনিট যোগ করা সময়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে গোল করেন বালদে।
৪৮তম মিনিটে আবারও রিয়ালের জালে বল পাঠায় বার্সা। কাসাদোর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। ৫৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে এমবাপ্পেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শেজনি। ঐ ফ্রি কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে দ্বিতীয় গোলে স্বাদ দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো।
এরপর আর গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। তবে গোলের দেখা পায়নি তারা কিছুতেই। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুইটি ক্লাসিকোয় অন্তত ৪ গোল করে করল বার্সেলোনা। ১৯৬৩ সালে রিয়ালের পর প্রথমবার এমন কিছু দেখা গেল ক্লাসিকোয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল সুস্থ দেহ সুন্দর মন, ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে এ প্রতিযোগিত অনুষ্ঠিত হয়।
কাবাডি এবং দাবা প্রতিযোগিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সুস্থ দেহ সুন্দর মন সঠিক রাখতে হলে খেলাধূলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন নিয়মিত খেলাধূলা করলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে থাকা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়েনের তেরোকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন খেলা।
খেলায় ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে চারপাশে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে তরুণ ও বর্ষিয়ান লাঠিয়ালরা। তারপরই চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা।
এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে উৎসাহ যোগায় খেলোয়াড়দের। কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা দেখতে ভিড় করে নানা বয়সের নারী-পুরুষ। গ্রামীন এ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাকে টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা এমনটাই মনে করেন দর্শনার্থীরা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা লাঠিখেলায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি লাঠিয়াল বাহিনী অংশগ্রহণ করে।