চলারপথে রিপোর্ট :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহুতল ভবন থেকে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার যুবক আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে আমিরাতের অমল কুইন এলাকায় বহুতল ভবন থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান আনোয়ার। এ সময় ছালাম মিয়া নামে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অপর এক বাংলাদেশী শ্রমিকও নিহত হয়।
নিহত আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের মরহুম আপাসি মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে শোকের মাতম চলছে নিহতের বাড়িতে। স্বজনদের দাবি সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেন প্রিয়জনের লাশ দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন পিছন মিয়া। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অমল কুইন এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে সেখানকার একটি বহুতল ভবন থেকে ছিটকে পড়ে আনোয়ার মারা যান।
এদিকে দুর্ঘটনার আনোয়ারের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছলে শুরু হয় শোকের মাতম। নিহতের মায়ের গগন বিদারি কান্নায় ভারি হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ।
নিহতের মা জাহানারা বেগম বলেন, জীবনের বড় একটা অংশ বিদেশে কাটিয়েছে আমার বাজান। একেবারে দেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে আর জীবিত আসবে না সে। এই বলে হাউমাও করে কেঁদে উঠেন জাহানারা বেগম।
নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার জানান, স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি অনেকটাই অসহায় পড়েছেন। তিনি তার স্বামীর মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন খাদেম লিটনের নামাজে জানাযা আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে খড়মপুর মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জানাযা শেষে মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ দিকে আওয়ামী লীগ নেতার জানাজায় অংশ নিতে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম উলামা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় বাসিন্দা, আত্মীয় স্বজনসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নামে।
জানাযা এর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র মো. নুরুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা মো. নজরুল হক ধনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ছালে নেওয়াজ খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকদির খাদেম, এনাম খাদেম, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও স্পষ্টভাষী লোক। তিনি ছিলেন সর্বশ্রেণির লোকদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। সর্বদাই তার পরোপকার করা ছিল প্রধান কাজ। তিনি সমাজে যে আদশের্র দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা দিক নির্দেশক হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন বহুগুণের অধিকারী। তার মৃত্যুতে উপজেলাবাসী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন লোককে হারাল। নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পৌর শহরের খড়মপুর মাজার এলাকায় সালিশ সভায় এসে স্ট্রোক করেন। এরপর লোকজনরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন তাকে এক নজর দেখতে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে নাসির উদ্দিন খাদেম লিটনের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকদির খাদেম, মো. এনাম খাদেম, সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় আখাউড়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে সাথী ইসলাম (২৬) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সাথী ওই গ্রামের অটো চালক মোস্তাফা কামালের স্ত্রী। সে কে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরহদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারনা করছে।
আখাউড়া থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাথী ইসলাম তার স্বামীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। ঈদ মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে ভালো রোজগার হওয়ায় পরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে অটোচালক স্বামী। এরইমধ্যে একদিন ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার আবার স্বামীর কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু বলেন এখন যাত্রী বেশি ঈদ মৌসুম শেষ হলে আবার ঘুরতে নিয়ে যাব। একথা বলে তিনি বিকালে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২ টার দিকে মোস্তাফা কামাল বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাথী রাগ করে দরজা না খুলে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে বলে। মোস্তাফা কামাল তখন তার ভাতিজার সাথে অন্য ঘরে ঘুমায়। সকাল ৬ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩ বছর আগে মোস্তাফা কামাল ও নারায়নগঞ্জ জেলার সাথী ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ঈদুল ফিতরের পর সাথী তার স্বামীকে কুটি কাঠের পুল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে।
কিন্তু ঈদের মৌসুমে যাত্রী বেশি থাকায় কুটি না নিয়ে আখাউড়া চেকপোষ্ট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার বিকালেও সে আবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এ নিয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোলাচালান, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এসময় গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় এবং মোটর সাইকেলে দুয়ের অধিক আরোহী থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবীরা এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া সীমান্তে আসে। মাদক সেবনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাইপাস সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এসময় বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট ফজলে রাব্বি, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলম, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলী সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর, এএসআই উৎপল, এএসআই রনি বরুয়াসহ পুলিশ সদস্যরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপরাধীরা যাতে এ সড়ক ব্যবহার করে মাদক চোলাচালান না করতে পারে এজন্য পুলিশ চেকপোষ্টে অভিযান পরিচালিত করছি। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ বিশ কেজি গাঁজাসহ ১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্দকারের বসত ঘরের টিনের ড্রামের ভিতর হইতে ২০ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর খন্দকার (৫৫) কে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, এস আই হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদে জাহাঙ্গীর আলমের বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে উল্লেখিত গাজা উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে আগেও ২ টি মাদক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা দায়ের পূর্বক শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।