চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শাখা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস এ কমিটি অনুমোদন দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা শাখা যুবলীগের ঘোষিত আংশিক কমিটির সভাপতি আল-আমিন সওদাগর, সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মো. এমরান হোসেন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
এই কমিটিতে স্থান দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ ও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শাখা যুবলীগের সভাপতি আল-আমিন সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার অন্তর্গত ৩টি উপজেলা সমূহে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হলো- সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখা।
এই কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা যুবলীগের অনুমোদনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমি ভরাট করতে গিয়ে একটি সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক এসব জমিতে ফসলের বীজ বা চারা রোপণ বন্ধ রেখেছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষকরা। ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ রামরাইল ও ঘাটিয়ারা গ্রামের ২০-২৫ জন কৃষক লিখিত আবেদন করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আরমান মিয়া জানান, কালভার্ট-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে জামাল মিয়ার ছয় বিঘা জমি বছরে ৩০ হাজার টাকায় জমা নিয়ে তিনি সবজির চাষ করেন। তবে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় তিনি উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইউএনওর কাছে আবেদন দেওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। প্রশাসন কোনো প্রতিকার না করলে আরেকটি কালভার্ট ভরাটের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রামরাইল গ্রামের কৃষক সুখলাল, মতিলাল, হীরালাল, দুলাল, নির্মল, চন্দন দেব, পরিতোষ দেব এবং ঘাটিয়ারা গ্রামের সোহাগ মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাবিব উল্লাহ, খবির মিয়া, আবু তাহের মিয়াও একই কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ইচ্ছা করেই কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন মালিক। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রামরাইল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের ঘাটিয়ারা গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে কালভার্টটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হয়। পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে পড়ে সেই পানি। তবে এক মাস আগে মোতালেব মিয়া বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিটি ভরাট করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জমি ভরাটে বাধা দেওয়ার সাহস করেনি কেউ।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, এ কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি যায় না। বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পাইপ-কালভার্ট নিজ খরচে করবেন।
রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমার সেলিম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিন গিয়ে জমির মালিককে কালভার্টের মুখের মাটি সরিয়ে মোটা পাইপ বসিয়ে দিতে বলা হয়েছে; পানি নিষ্কাশনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢেউ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধু সভার সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ঢেউ এর সদস্য শাহাদাত হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা করে তাদের কোনো পরিচয় নেই। তারা সন্ত্রাসী। সুষ্ঠু বিচারের জন্যই আজ আমরা দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিকরা কেন এখনও নিরাপদ না। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো যাবে না এটা সবার বুঝতে হবে। ভয় দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের নিভৃত করা যাবে না। বক্তারা অবলিম্বে মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলায় জড়িত প্রধান আসামী মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী ও কাইয়ুমসহ সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আন্দোলন করেই যদি সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হয়, সাংবাদিকরা তাই করবে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়েই যাবে। তারা জড়িতদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা করা হয়। উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ তার সহযোগীরা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরদিন রাতে আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল বাদী হয়ে লিটন মুন্সী, কাইয়ুমসহ ১৩জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিন্তু পুলিশ এখনো মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এক দম্পত্তিকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে মোঃ আতিকুল্লাহ (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই প্রতিবন্ধীকে আটক করে।
আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। হামলাকারী প্রতিবন্ধীর নাম সাইদুল ইসলাম (৩১)। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম তার বাবা-মাকে বন্দি করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯ এ ফোন করে এক প্রতিবন্ধী নিজের বাবা-মাকে ঘরে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে সাহায্য চান। ফোন পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের বাবা বজলু মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলকে আটক করার চেষ্টা করলে সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এসআই আতিকুল্লাহকে পেট ও বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতের কনুয়ে আঘাত করেন। এতে আতিকুল্লাহ গুরুতর আহন হন। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাইদুলকে আটক করে ও আহত আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহত পুলিশের এস.আই আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুস শামস বলেন, আহত আতিকুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যান্ডেজ দিয়ে তার রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আহত পুলিশ সদস্য আতিকুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই মানসিক প্রতিবন্ধী, তার বাবা ও মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আগুন লেগেছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ঘরের ভেতরে আগুন। ওই প্রতিবন্ধী যুবক ঘরের ভেতরের ও বাহিরের কলাপসিবল ফটকে তালা দিয়ে হাতে ছুরি বসা রয়েছে। কেউ এগিয়ে গেলেই ওই যুবক আঘাত করার চেষ্টা করে। প্রথমে আমাদের সাথে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করে। সে সময় ওই প্রতিবন্ধী যুবক এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধী যুবককে আটক করলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মো আতিকুল ইসলামের মহাপ্রয়াণে তিনদিনের শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক মিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে শোক মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শিপনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, বিশিষ্ট কবি আবদুর রহিম,উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, কবি পরিষদ সভাপতি শৌমিক সাত্তার,সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মুহম্মদ ইদ্রিস,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আলী আজম, সাকিল মিয়া, সংস্কৃতি সংগঠক সোহেল রানা ভূঞা,মাহবুব আলম উজ্জ্বল, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর, আবৃত্তিশিল্পী ফাহিমা সুলতানা, কবি শাওন চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এসসাড) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এর সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ আবুল বসার মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাইয়ুম।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, নাওঘাট মাদরাসার সুপার মোঃ আবুদর রউফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেরুন্নেছা মুনিয়া, শাহ আলম পালোয়ান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আঃ কাইয়ূম বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর যোগ্য সম্মানের। দেখা যায় যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয় অথবা গবেষণা করে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করা হয়না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের চাকুরি করতে হয়। দেশে সুযোগ সুবিধাও নেই পর্যাপ্ত। হয়তো তাদের বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, অথবা প্রশাসনের দিকে ঝুঁকতে হয়। তাই দরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা যায় এমন প্রকল্প হাতে নেয়া। এই জায়গা থেকে এসসাডের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।