চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি এ রোডে অবস্থিত ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ১৪৪৫/৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষের সবক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ ৬ মে সোমবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আখতারুজ্জামান, ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহ:) এর সাহেবজাদা হাফেজ অলি উল্লাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়ের পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী আব্দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, ফখরে বাঙ্গাল (রহ)’র দৌহিত্র মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, কারী হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ) ‘র নামে ” ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা”র সবক অনুষ্ঠানে আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র দেহ থাকলেই একজনকে মানুষ বলা যাবে না, মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর ঐ শিক্ষা-ই একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ গড়তে সহায়তা করে যে শিক্ষা আল্লাহ প্রদত্ত, অর্থাৎ এলমে ওহী তথা কুরআনী শিক্ষা।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তবে সে শিক্ষা হলো কুরআনের শিক্ষা। কুরআনের শিক্ষা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা একজন মানুষের জন্য মেরুদণ্ড না হয়ে মৃত্যুদন্ড হয়ে দাঁড়ায়।
মুফতী মুবারকুল্লাহ ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে যেন উম্মতের আগামী প্রজন্মের পথপ্রদর্শক তৈরি হয়ে দেশ জাতি মুসলিম মিল্লাতের ঈমাণ আমলের হেফাজতে ভূমিকা পালন করতে পারে সেদিক খেয়াল রেখেই ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি আমল আখলাকের প্রতি সচেতন থাকার জন্য মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এলেম আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরি করতে ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে অন্যান্য অতিথিবৃন্দগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে মাদরাসার উন্নতি কল্পে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিলে উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিকবৃন্দ সহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবার ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ মে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্সের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সালাউদ্দিন মাধবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মোঃ সাইজুদ্দিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নার্সিং এখন শুধুই পেশা নয়, সেবা। ছোটবেলায় নার্সিং এর প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করতাম। কিন্তু এর গুরত্ব এখন বুঝতে পারি। পুলিশের কাজের সঙ্গে নার্সদের কাজের মিল রয়েছে। রাস্তায় বা বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা কোনো মৃত মানুষ বা পচন ধরা মৃতদেহকে কেউ না ধরলেও পুলিশকে ধরতে হয়। একইভাবে কোনো রোগীকে কেউ হাত না দিলেও নার্সকে ধরতে হয়। নার্সরা সেবার মহান কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
পরে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকার মার্কার সমর্থনে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের সড়ক বাজারে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রার্থী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগই আবারো সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরেই উন্নয়ন হয়েছে। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।
তিনি বলেন, আমি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম। বর্তমানেও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমি সাধ্যমতো উন্নয়ন করেছি। আমি প্রত্যাশা করি আগামী নির্বাচনেও আপনারা আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
তিনি বলেন, আমি আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আপনাদের ভোটে যদি আমি বিজয়ী হই তাহলে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলব। তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন জলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায় প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন করে সড়কে অশ্লীল আচরণ ও মাতলামি করার অপরাধে সাত যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন।
অভিযানে ছোট বাকাইল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে রুবেলকে একমাস, মজলিশপুরের সুরুজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে তিনমাস, দারমা গ্রামের শনি মিয়ার ছেলে শামসু মিয়াকে একমাস, একই গ্রামের আবুল ফারুকের ছেলে দুলাল মিয়াকে ১৫ দিন, আব্দুল মালেকের ছেলে হেফিল মিয়াকে তিনমাস, রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরকে দুইমাস ও সোহরাব মিয়া নামের একজনকে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি মজলিশপুর গ্রামে মাদকসেবীদের উৎপাত বেড়েছে। এর প্রভাবে চুরিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মাদক সেবন করে মাতলামি ও অশ্লীল আচরণ করায় সাতজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন বা পলিথিন মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষার সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় ‘তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর প্রার্থীগণের নির্বাচনী পোস্টার প্লাস্টিক লেমিনেশন ও নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। এসব পোষ্টার শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মাটি, নদী, জলাশয় তথা পরিবেশ দূষিত ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা জানি- পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকে, ফলে মাটি ও পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ নষ্ট করে। পলিথিন জলাবদ্ধতা, নদী দূষণ, নদীর জীববৈচিত্র ও নাব্যতা বিনষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ সনের ৬নং আইনে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপণ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে বা উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, যারা আইন প্রণেতা হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তাঁরাই আইন পরিপন্থি কাজ করছেন।
তাই পরিবেশ রক্ষার বৃহৎ স্বার্থে নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন ও পলিথিন মোড়ানো পোষ্টার ব্যবহার বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ”।
এ সময় শামীম আহমেদ ছাড়াও খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরীর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সুশান্ত পাল, মো. খাইরুজ্জামান ইমরান, নাজমুল খান, মো. হেকিম, শাহ্ আবদুল মনসুর আলামিন, অমৃত ঋষি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।