চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার ১৭৭ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এবং শতভাগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, ৬ প্লাটুন বিজিবিসহ আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম জয়লাভ করেছে।
আজ ৮ মে বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শের আলম সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। সরাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিক উদ্দিন ঠাকুর ধরাশায়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ি, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯০০ এক ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। এদিকে সরাইলে ৩৯ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে শের আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৪৪ ভোট।
বুধবার সুষ্ঠু পরিবেশে ওই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয় বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ১০ টাকার বিনিময়ে সকল ইফতার সামগ্রী দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের সরাইল।
আজ ১৬ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলা সদরের সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক ব্যতিক্রমী ইফতার বাজারের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এই অস্থায়ী বাজার থেকে ১০০টি পরিবার ১০ টাকায় এক কেজি তেল, ছোলা, ছানা, আলু, মুড়ি, খেজুরসহ ৬টি ইফতারের পণ্য কিনতে পেরেছেন।
বাজারে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, পুবের আলো’র নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল হানিফ, সমাজকর্মী রফিক মিয়াসহ, তারুণ্যের সরাইল সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।
১০ টাকায় প্রয়োজনীয় ইফতারসামগ্রী কিনতে পেরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, বাজারে যেখানে ১ লিটার তেলের দাম ১৯০ টাকা সেখানে ৬টি পণ্য মাত্র ১০ টাকায় পেয়েছি। রোজার বাকি দিনগুলো ভালোভাবে কাটবে।
তারুণ্যের সরাইলের সিনিয়র এডমিন রায়হান চৌধুরী অভি বলেন, আমরা এবার এক ব্যতিক্রম আয়োজন করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমরা ১০ টাকা মূল্য রেখে বিতরণ করেছি তাই আমাদের এ ইফতার সামগ্রী স্বাচ্ছন্দ্যে সকলেই গ্রহণ করতে পেরেছে। দেশ ও প্রবাসের অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার বলেন, তারুণ্যের সরাইলের কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই তারুণ্যের সরাইল একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নাসিরনগরে তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা গ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়) এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর তথ্য সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিপাশা জাহান কনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মকর্তা মো: শাহ আলম।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জামাল মিয়া, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে নারীর অধিকার,নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, মাদক, বাল্যবিবাহ রোধে, যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নীতি,গ্রাম আদালত কি, কোন ধরণের মামলা নেয়া হয়, কিভাবে নিষ্পত্তি করা হয়,মামলা কিভাবে করতে হয়, কোথায় গিয়ে করতে হয়, মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা করা হয়। উঠান বৈঠকে কুন্ডা ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চার-পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএসও’কে শক্তিশালী করতে মিতালী উপলব্ধি ও মেঘনা নামক তিন স্বেচ্ছাসেবক সংঘটনকে নিয়ে পিফরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরু করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ বছর কাজ করার পর জেলা শহরে গড়ে ওঠে ‘জেলা পলিসি ফোরাম’ (ডিপিএফ)। এক সময় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ শেষ হলেও থামেনি ডিপিএফ। নিজস্ব ও স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা সামাজিক কর্মসূচি। এসব কাজে বরাবরই ‘র্যাপ’-এর সহায়তা উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ডিপিএফ’র উদ্যোগে ও ‘র্যাপ’ নামক এনজিও’র আর্থিক সহায়তায় দিন ব্যাপি ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে উঠান বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয় জেলার চান্দুপুর ইউনিয়নের দু-বাড়িয়ায়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। সূত্র জানায়, দু-বাড়িয়া গ্রামের র্যাপ এনজিওটি মানবিক ও সামাজিক কাজে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। র্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ভূইয়াও ডিপিএফ-এর সদস্য। ‘বাল্যবিয়েকে না বলি, ঘৃণা করি’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা জড়ো হতে থাকে ‘র্যাপ’ অফিসের সামনে। সকাল ১১টার দিকে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয় স্থানটি। অজপাড়া গায়ের দেড় শতাধিক নারীর উপস্থিতির ওই বৈঠকে ছুটে আসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক। র্যাপ ও ডিপিএফ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাঁকে।
ডিপিএফ’র সদস্য এস.এম শাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের সাবেক ডিএফ খোদেজা বেগম, সদস্য মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, র্যাপ-এর সদস্য শেফালি বেগম ও জেসমিন আক্তার।
গ্রামীণ পরিবেশে কর্মব্যস্থতার সময়েও মহিলাদের মিলনমেলায় অভিভূত হয়ে পড়েন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত সাবলিল, শ্রুতিমধুর, সহজ-সরল ও হাস্যরসে ভরা ভাষার বক্তব্যে স্বল্প সময়ে মাতিয়ে তুলেন উঠান বৈঠককে। তিনি নিজের মেয়েকে পুত্রবধূ ও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে ভেবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি বাল্যবিয়ের কুফল গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, শিশু ও কিশোরীকে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষিত করুন। ফলে সে পরিবার, গ্রাম, দেশ ও জাতীর জন্য সম্পদে পরিণত হবে। আপনার ছেলে মেয়েকে মাদক থেকে দূরে রাখুন। কারণ একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট।