চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম জয়লাভ করেছে।
আজ ৮ মে বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শের আলম সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। সরাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিক উদ্দিন ঠাকুর ধরাশায়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ি, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯০০ এক ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। এদিকে সরাইলে ৩৯ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে শের আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৪৪ ভোট।
বুধবার সুষ্ঠু পরিবেশে ওই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয় বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে পৃথক পৃথক ভাবে নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কে কলেজ মোড় শহিদ ইমরান চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ নেয়।
জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ আল-ওয়ায়েসী, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান গিলমান, যুগ্ম সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বুড়িশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পীরজাদা মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজিসহ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগন বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা হুসাইন আহমদ নুরপুরী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন ফারুকীসহ আলেম উলেমা ও হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের উদ্যোগে ফান্দাউকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন), শরীফের মূখপাত্র পীরজাদা মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী ও মাওলানা সৈয়দ আশরাফ শামীম আল-হোসাইনীসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগনের ওপর ইসরায়েলীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি জানান। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থেকে আফিলা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের সুন্দর আলীর মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গারির ব্যবসা করেন গৃহবধূর স্বামী জজ মিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জজ মিয়া আফিলা আক্তারকে মারধর করে। অত্যাচার সইতে না পেরে অভিমান করে বিষপান করেন গৃহবধূ আফিলা। রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় আফিলাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় জজ মিয়া।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, হাসপাতাল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানতে পেরেছি, পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে তিনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বুধবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬ জন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন তাঁদের এই কারাদণ্ড দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা পূর্বপাড়া তাজু ফকিরের বাড়ি থেকে মাদকসেবনের সময় তাঁদেরকে আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃত কুন্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,আক্তার হোসেন,তৌহিদ মিয়া, নজরুল ইসলামকে ৩ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড এবং তাজু ফকির ও সোহরাব মিয়াকে ৬ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কারাদণ্ড প্রাপ্তদেরকে রাতেই জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদি পশুও। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায় দাঙ্গাবাজরা। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামাল দিঘী পাড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফান্দাউক গ্রামের শাহজানের ছেলে রুবেল শাহ একজন মাদক কারবারী। একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কেনেন। এ নিয়ে কিছুদিন পর পর পাওনাদারদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মাদক কারবারি রুবেল শাহ ও শাফায়েতের আত্মীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৭০ জন আহত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশুর হাটে যাওয়ার সময় শাফায়েতের পক্ষের মারুফ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় রুবেল শাহের লোকজন। এসময় দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে আরো ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠে।
অভিযুক্ত রুবেল মাদকের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত ও পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পায়। সে টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে শাফায়েতের লোকজন। দু’দফা হামলায় আমাদের প্রায় ৭০-৮০ জন আহত পরে।
আহতরা হলো-বক্কর শাহা, ফকরুল শাহা, সাফিউল শাহ, সালাউদ্দিন শাহ, আলামিন শাহা, সালমান শাহ, ইয়ামিন শাহ, ইমন শাহ, জাকির শাহ, মেরাজ শাহ, মবিন শাহ, হৃদয় শাহ, লালন শাহ, মহিন শাহ, রায়হান শাহ, নিজাম শাহ, মুন্না শাহ, মুক্তাদির শাহ, মুন্নী শাহ, সজল শাহ, ফয়সাল শাহ, শিফন শাহ, শামীম শাহ, বাদল শাহ, ইধন শাহ, নাজুল শাহ, আলম শাহ, শাকিল শাহ, ইমন শাহ, মাসুক মিয়া, কামরুল মিয়া, নিজাম মিয়া, জুবায়ের মিয়া, শাহনাজ মিয়া, আবদুল্লাহ মিয়া, বক্কর মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, তানভির ফয়সল মিয়া, লীমা বেগম, রাকিবা বেগম, নাসুমা, নাছিমা বেগম, ফারহানা বেগম, লীজা বেগম, কল্পনা বেগম, আকলিমা বেগম, তানজু বেগম, শেলিনা বেগম, খুদেজা বেগম, রাকিবা, সিমু বেগম, সুমাইয়া বেগম, জান্নাত বেগম, ইভা বেগম ও নুসরাত বেগম।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দু’পক্ষের আহত লোকরাই চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে।