চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ যেমন-একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসূর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
বক্তব্য রাখেন রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের দাম্মামে ফয়েজ মিয়া (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২ টার দিকে নিজ বাসায় স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার লাশ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফয়েজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী,৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার মত্যুর বিষয়টি চাচা মো. মুসলেম মিয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ ৫ বছর আগে দেশে আসেন তিনি। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল তার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর রাত ৯ টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তার রুমমেটরা দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর বিষয়টি সেখান থেকে সকালে তার পরিবারকে জানানো হয়। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর সকালে বাড়িতে পৌঁছানো হলে পরিবারের আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। স্বামীর শোকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন স্ত্রী। এখন কীভাবে তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাঁচাবেন তা যেন তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। ফয়েজ মিয়ার চাচা মো. মুসলেম মিয়া বলেন, গত ১ সপ্তাহ আগে তার মা মারা যান। ছুটি না পাওয়ায় ফয়েজ বাড়িতে আসতে পারেনি। তাই কোরবানির ঈদের আগে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়। গতকাল বিকেলে ভাতিজার সঙ্গে সর্বশেষ আমার কথা হয়। সে তার মায়ের নামে একটি জিয়াফত করতে চায়। কীভাবে করলে ভালো হয় সে বিষয়ে অনেক কথা বলেন। কিন্তু সকালে শুনি ভাতিজা আর নেই। এই কথা বিশ্বাস করতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। চাচাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, ফয়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরছেন। আজ ২ মার্চ শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন সীমান্তের শূন্য রেখায় ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীর নিকট হস্তান্তর করেন।
এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ একজন নবজাতক রয়েছে। একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের তথ্য ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ফেরত নাগরিকরা হলো নরাইল জেলার কালিয়া উপজেরার পার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ আহাদ মিনা, মোঃ আল আমিন মিনার স্ত্রী মোছাঃ কুলছুল বেগম, আল আমিন মিনার ছেলে রিফাত মিয়া, সিফাত মিনা, একই গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা, মুজিবুর শেখের ছেলে মোঃ রাজু শেখ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মোঃ কদর আলীর মেয়ে মোছাঃ সাজিদা খাতুন, আবুল কাসেমের মেয়ের সুমি আক্তার কাজলী ও কাজলীর নব জাতক পুত্র শিশু সানজিদ মোল্লা।
পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সীমান্তপথে তারা ভারতে পাড়ি জমায়। পরে দালালরা তাদের সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
সীমান্তের শূণ্য রেখায় শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন ২ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা করে। এরমধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর পর তাদেরকে ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেই কামনা করি।
এ ব্যপারে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশী এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে সাজা ভোগ করে। ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিল। বিষয়টি বাংলাদেশ হাই কমিশন জানতে পেরে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিই। তাদের নাম ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, মোঃ ওমর শরীফ, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ড রাম নরেশ সিং, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ওসি হাসান আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে শাহিদ (১৫) নামে এক কিশোর কেড়ির বড়ি (ইঁদুর মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরের দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম। এর আগে আখাউড়া পৌরসভার মসজিদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়ার মো. নিজাম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের অজান্তে কেড়ির বড়ি খেয়ে ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করে। সেখানে ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।