চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে চলতি বছরের অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ১১ মে শনিবার দুপুরে উপজেলা খাদ্য-গুদামে ফিতা কেটে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ এবং খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (এলএসডি) মোঃ সোলাইমান মিয়াসহ চাতালকল ও অটো রাইস মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৪৫ টাকা দরে ৪৫ হাজার ৫৩১মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪৪ টাকা দরে ৪ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৩২ টাকা দরে ৪১৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মঈন উদ্দিন মঈন এমপি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপোস করা হবে না বলে তিনি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেন। এ দিকে উদ্বোধন অভিযান কার্যক্রমের শেষে উপজেলা খাদ্য গোদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (এলএসডি) মোঃ সোলাইমান মিয়া জানান, ধান-চালের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে পারব বলে আশা করছি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি চুক্তি অনুযায়ী আমরা তাদের কাছ থেকে চাল পাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিতৃহীন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৭৩তম ব্যাচের (২০১৯-২০ সেশনে)।
তিনি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ভাগ্যের কুঠারাঘাতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় তার।
মুশফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। জন্মের দেড়মাসের মাথায় হারান বাবাকে। মায়ের আঁচল ধরেই তার বেড়ে ওঠা তার। মা ও দুই ভাই নিয়ে ছোট্ট সংসার তাদের।
গত মে মাসের ৩১ তারিখে তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ধীরে ধীরে শরীরও অকেজো হতে বসেছে। এ অবস্থায় তাকে বাঁচাতে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা খুবই জরুরি। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। এতে ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে তার জীবন প্রদীপ।
বিগত একমাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস নিচ্ছে। ডায়ালাইসিসের জন্য প্রতিমাসে খরচ ৩৫ হাজার টাকা।
চিকিৎসকরা বলেছেন, মুশফিকের দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা বাবদ দরকার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এ ব্যয় বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মুশফিকের পরিবার ও তার বন্ধুরা।
মুশফিকের বড় ভাই নাসাদুল ইসলাম তাফসির বলেন, আমার বাবা মারা গেছে ২০ বছর আগে। তখন ছোট ভাই মুশফিকের বয়স ছিল দেড় মাস। আমাদের মা অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে লালন পালন করে বড় করেছেন। মুশফিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর টিউশনি করে সে নিজের খরচ চালাচ্ছিল। সম্প্রতি তার কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। তার চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই অর্থ খরচ করার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমি নিজেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্স বিভাগে পড়াশোনা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারের আর্থিক উপার্জনেরও তেমন ব্যবস্থা নেই। এতে আমরা অনেকটা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। মা ছোট ভাইয়ের এই করুণ পরিস্থিতি দেখে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন। সবাই যদি আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে আমার ভাইটা নতুন জীবন ফিরে পাবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই তিনি যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মুশফিকে বাঁচিয়ে আমার মায়ের কোলে আবার ফিরিয়ে দেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক হিসাব: মুশফিকুর রহিম। হিসাব নাম্বার: ১২৬১৫৮০০১২২৫৬
রকেট: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬৪ নগদ: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫ বিকাশ: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬ প্রয়োজনে: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫ (মুশফিকের বড় ভাই)
চলারপথে রিপোর্ট :
গুদামজাত করা ইউরিয়া সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কামাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুরের একটি গুদামে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম মৌ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামাল হোসেনের মালিকানাধীন গুদামে ভেজাল ডিএপি সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার দুপুরে তার মালিকানাধীন গুদামে জেলা প্রশাসনের তিনজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান। অভিযানে গুদামে ইউরিয়া সারের মজুদ পাওয়া যায়। তবে ভেজাল সার তৈরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
মজুদ সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিচালক সারমিন জুই, আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম বলেন, কামাল হোসেন গুদামে ভেজাল ডিএপি সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গুদামে সারের মজুদ পেলেও সেগুলো ভেজাল সার না। আমরা তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করেছি। সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং ইউরিয়া সার গুদামজাতকরণের দায়ে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে সারের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সারের মান ঠিক আছে কি না পরীক্ষার জন্য গুদামে সংরক্ষিত সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য সারের নমুনা সংগ্রহ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে আশুগঞ্জ খাদ্য গোডাউনে চত্বরে এ কার্যাক্রমের উদ্বোধন করেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক।
এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তামনি তালুকদার, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান মিয়া, আশুগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুবায়ের হায়দার বুলু, চাতালকল ব্যবসায়ী হাসান ইমরানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, চলতি বছর মিলারদের কাছ থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামে ৪৪ টাকা কেজি দরে ১৫ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪৩ টাকা কেজি ধরে ১১ হাজার ২শ ৪৫ মেট্রিক টন আতপ চাল ও ৩০ টাকা কেজি ধরে ১৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের পূবার্ঞ্চলীয় অন্যতম ধান ও চালের হাট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে। এ হাটে দেশের হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ থেকে প্রতিদিনই আসা ধান আশুগঞ্জে ৩ শতাধিক রাইস মিলে প্রক্রিয়া করে চালের উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত এসব চাল দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরন করে থাকে। আশুগঞ্জ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান চাল সংগ্রহ করে থাকে সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদী বন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবারও চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদীপথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আজ ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু (নৌকা প্রতীক) ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক) পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ফলাফল ঘোষনা করেননি। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, শাহজাহান আলম সাজুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করায় আমি সংসদীয় আসনের ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলাবাহিনী সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দিলেও তারা জয়লাভ করতে পারেননি । নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়।