চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বরাবরের মতো এবারো এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া জেলা শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৫ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী। পাস করেছে ২০ হাজার ২৯৪ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭১৪ শিক্ষার্থী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল থেকে মোট ৩০ হাজার ৯০৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪ হাজার ৯৭৩ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হর ৮১ দশমিক ৪৫। এসএসি, দাখিল ও ভোকেশনাল মিলিয়ে জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৬১।
এবছর জেলা থেকে মাদরাসার ১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থী এসএসসির দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ১০৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬জন।
এবছর জেলা থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৩১২ পরীক্ষার্থী এসএসসির ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৩ হাজার ৫৭৬ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০১জন।
বিভিন্ন বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ এ- এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ৩২১জন অংশ নিয়ে পাস করে ৩১৯জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮০জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
জেলার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ২০১জন অংশ নিয়ে পাস করে ১৯৬জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ৩৩২জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩২১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১৯৪ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৮৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এছাড়া জেলা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে পাসের হার শতভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭জন। বিয়াম ল্যাবরেটরি থেকে ৭জন অংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চূক্তির (এপিএ) এর এবং শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের (জিওবি) আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বিজেশ্বর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ ইউনিয়নের সাতবর্গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পৃথক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান সমূহে জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান, ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে বিজেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তা রাণী রায়, সহকারী শিক্ষক হাসনা বেগম , সহকারী শিক্ষাক ঝুনু রানী বণিক, সহকারী শিক্ষক মোছাঃ ফারজানা আক্তার, সহকারী শিক্ষক আফরোজা আঞ্জুম, সহকারী শিক্ষক খাদিজা আক্তার তুলি এবং সাতবর্গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম, সহকারি শিক্ষক ফুল রানী আশ্চর্য, জমি দাতা উদয় রায়, এসএমসি সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরাইল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শেখ এখলাছুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টোটোগ্রাম সাহিত্যের রচয়িতা, কেষ্ট কবি খ্যাত ইকবাল সর্দার মোহাম্মদ নাজমুল কবির (ইসমোনাক), উদীচী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ রূঁইয়া, এএমটিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মোঃ ইদ্রিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা অথবা সন্ধ্যা নামার আগেই বাসায় ফিরে পড়তে বসা এই অভ্যাসটি এখনকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার জায়গা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারা বাহিরে ঘুরে বেড়াতে বা মোবাইল দেখা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। এই পড়াশুনার বিচ্ছিন্ন হওয়ার জায়গা থেকে ছেলেমেয়েদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে ঘরমুখী করতে হবে, স্কুলমুখী করতে হবে, বইমুখী করতে হবে। তাদেরকে জ্ঞানমুখী করতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, স্মার্ট হওয়া মানে শুধু স্মার্ট ডিভাইস পরিচালনা করা, সুন্দর পোশাক পরিচ্ছেদ পরা বা চলনে-বলনে স্মার্ট হওয়াকে বুঝায় না। স্মার্ট হওয়া মানে বুঝায় বই পড়া। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত স্মার্ট মানুষ হওয়া যায়। তিনি আরো বলেন- জ্ঞান এমন এক জিনিস যা বিতরণ করলেও এটি শেষ হয়ে যায় না। তিনি তরুণদের আহ্বান জানিয়ে বলেন- এসো আমরা সবাই মিলে বই পড়বো, নিজে আলোকিত মানুষ হবো, সমাজকে আলোকিত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলবো।
সভায় কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন বলেন- পড়িলে বই আলোকিত হই। না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। তিনি বলেন- যারা বই পড়েন তারা আলোকিত মানুষ হন। তাদের চেহারায়, চলনে বলনে জ্ঞানের আলো দীপ্তিমান হয়। যা সে নিজে না বুঝতে পারলেও তার আশেপাশের মানুষজন তা বুঝতে পারেন। যে এই ব্যক্তি একজন জ্ঞানী মানুষ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন- সমাজে জ্ঞানের আলোর খুব প্রয়োজন। সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই সরকারের এত স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই এত লেখক, কবি, সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন- তরুণ প্রজন্ম আলোকিত হলেই আমাদের বাংলাদেশ আলোকিত হবে, স্মার্ট হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বই ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউ কে’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন ইকো। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। দু’বছর মেয়াদী এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ নভেম্বর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যতম এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইকো ব্রাহ্মণবাডিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন-এর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্টের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পূর্ব লন্ডনের ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েটিং হলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ষষ্ঠ এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, এমদাদ তালুকদার এম বি ই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কের সভাপতি এ কে এম ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউ কের সভাপতি আবু হোসেন, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মেহেরুন আহমেদ মালা, মুস্তাফিজুর রহমান, ফয়জুল হক রিপন, ড. অজিত কুমার ঘোষ, কাজী কল্পনা, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ বিইএম, সহ-সভাপতি সহুল আহমেদ মকু, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ও সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটার সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান ও বেলাল রশীদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফাইজুল হক রিপন ও খোকন কান্তি ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, রীপা সুলতানা রাকীব সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খালিদ ইয়াহইয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক ও এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইসমাইল হোসেন, মাহফুজা রহমান, সৈয়দ সাইদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, মির্জা আসাব বেগ, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, শারমিন চৌধুরী, সৈয়দ হামিদুল হক, মিসেস কল্পনা কাজী ও সৈয়দ ফারহানা সুবর্ণা। সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন এবং পরলোকগত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোবারক আলী।
এছাড়া সভায় ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর নৃশংস আক্রমনের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
সভায় ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার শিকার অগণিত অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সংগৃহিত সমুদয় অর্থ গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মিলনায়তনে প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।
নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদের সভাপতিত্বে এতে উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্ব ও সুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের অবহিত করেন।
গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষ কিভাবে আইনি সহায়তা ও আইনি পরামর্শ পাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি উপস্থিত জনতার বিভিন্ন আইনি সহায়তা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন।
জাতীয় হেল্প লাইন নম্বরে (১৬৪৩০) টোল-ফি ছাড়া ফোন করে সরকারি আইনগত সহায়তা বিষয়ে ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কে একজন নাগরিক জানতে পারবেন বলেও জানানো হয়। এছাড়াও সহজে বোধগম্য হওয়ার জন্য আইনি সহায়তা বিষয়ক নাটিকা “প্রমাণিত ও অপ্রমাণিত আইনের সহজপাঠ” প্রদর্শন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি দোকানে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে জয় রেফ্রিজারেশন নামের একটি দোকানে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মোফাসসিল (২২), ইসরাফিল (১৭) ও মোহাম্মদ আরমান (১৮)। তারা তিনজনই ওই দোকানের কর্মচারী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রেফ্রিজারেশন দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করার সময় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হয়ে দোকানে আগুন লেগে যায়। এতে দোকানের তিন কর্মচারী দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়।