অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিভিন্ন জনের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থন করবো না।
১১ মে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে প্রকাশনা সংস্থা মত ও পথ থেকে প্রকাশিত চারটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যত মত তত পথ’ মানুষে মানুষে মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আছে। কিন্তু দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থনযোগ্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারাও এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী নয়, তারাও গণতন্ত্রের কথা বলে। এ ধরনের দ্বিচারিতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শোষণহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রকম অপতৎপরতার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মত ও পথ প্রকাশনী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সূত্র অবস্থান নিয়েছে। তাদের এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মত ও পথ প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতি সত্বার কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশ গুপ্ত রচিত ‘বত্রিশ কিংবা ৭১’, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক ও কবি জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’, কথা সাহিত্যিক নূর কামরুন নাহার রচিত ‘প্রাসঙ্গিক ভাবনা: নারী ও সমাজ’ এবং মোহাম্মদ সাজিবুল হুদা ভূঁইয়া কর্তৃক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির গুরুত্বপূর্ণ কলাম ও বক্তৃতা সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রসঙ্গ কথা’।
অনুষ্ঠানের লেখক ও সংকলকগণ নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৭ মার্চ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাত ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই শবে কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি থাকে। এবার দিনটি শুক্রবার পড়েছে।
শবে কদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়। এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতের মাধ্যমে পালন করবেন পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাত।
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। তার নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনী। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য রাত। ভাগ্য নির্ধারণের মাহেন্দ্রক্ষণ।
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত করবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রাত কাটাবেন।
পবিত্র কোরআন ও একাধিক হাদিসের ভাবার্থ থেকে প্রতীয়মান হয়, লাইলাতুল কদর রাতে কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছিল। তাই এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়।
মুমিন বান্দার সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ লাভের এক পবিত্র মুহূর্ত। নেকি হাসিলের এক পরম সুযোগ। এক রাতেই অর্জিত হয় হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব। এ রাতকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় আসমানবাসীদের মাঝে আনন্দের আবহ।
এ ধরায় অবতীর্ণ হন জিবরাঈল আ. তার কাফেলাসহ। মুসাফাহা করেন ইবাদতগুজার প্রত্যেক বান্দার সঙ্গে। সৃষ্টি হয় দয়ার সাগরে ঢেউয়ের। বর্ষিত হয় রহমতের বারি সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
কদর রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সেই রজনীতে ফেরেশতাগণ ও রুহ (জিবরাইল আ.) অবতরণ করেন (এই পৃথিবীতে)। তাদের রবের হুকুমে প্রত্যেক ভালো এবং কল্যাণকর বিষয় নিয়ে। শান্তিই- শান্তি সেই রজনী সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। (সুরা কদর ৩-৫)
নবীজি সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রোজা রাখবে তার পূর্বের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াব প্রাপ্তির আশায় কিয়াম (ইবাদত-বন্দেগি) করবে, তার পূর্বের গুনাহ সমুহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি ২০১৪)
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল ২৮ মার্চ শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ৩ এপ্রিল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহযোগিতা চান তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাকিদের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।’
নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতোদিন অবহেলিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি। তার ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসির বদলির তালিকা পাঠানো হয়েছে ইসিতে।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন কমিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি বদলির চিঠি সচিব (নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম) স্যারের কাছে আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এটি যাচাই-বাছাই করবো।
অবশেষে দেশে ফিরেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধরে পৌছেন তিনি। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন।’
আলাদা পোষ্টে মিজানুর রহমান আজহারীর মামা মোশারফ হোসেন বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছার ছবি পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রিয় রাহবার এখন প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশে’।
এর আগে গত ৬ জুলাই ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, অনেকে আমাকে মেসেজ করে ও ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। আমি তাদের বলতে চাই, আমি দ্রুতই দেশে ফিরবো। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি আমি নিজেও। শিগগির সাম্য, মানবিকতার মুক্ত-স্বাধীন, বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।
দীর্ঘ ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, তাজা রক্তের মাধ্যমে যারা আন্দোলনকে সফল করেছেন সেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এখনো কষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’