চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২১ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সমাজসেবক মো: জামাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি যুবলীগের সাবেক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাজ্জি, মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্য নির্বাহি কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সেলিম খন্দকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সেলিম খন্দকার।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হানিফ আহমেদ, কাউছার মিয়া, মো: আলতাফ হোসেন, মো: হোসেন মিয়া ও মো: এনাম খান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শামীমা আক্তার, আবেদা বেগম, রোকেয়া বেগম ও মো: শিরিনা আকতার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন প্রার্থীগণ। মতবিনিময় সভা করে প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও বসে নেই। নিজ নিজ প্রার্থীতার সমর্থনে জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছানের সভাপতিত্বে কল্যাণরাষ্ট্র গঠন বিষয়ে মুক্ত আড্ডা ও বর্ণাঢ্য ওয়াকাথন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান, বি.আর.ডি.বি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সাংবাদিক ফায়জুল কবির ও মো. রিমন খান। এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, ঋণ গ্রহীতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির সুবিধা ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একজন প্রতিবন্ধীর হাতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তার ২০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। এ ছাড়া এই সরাইলে ৭০ জনকে ৩৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা সুদ বিহীন প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়।
বক্তব্য রাখেন- মিতালী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান ও উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসার এতিমখানার প্রতিনিধি মো. শাহিদুর রহমান। বক্তারা সমাজসেবা কার্যালয়ের সুদ বিহীন ঋণ, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ৬ ধরণের জটিল রোগীদের আর্থিক সহায়তাসহ ৭টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির প্রশংসা করে বলেন, দেশের অস্বচ্ছল দরিদ্র অসহায় মানুষদের ভরসার একমাত্র জায়গাই হচ্ছে সমাজসেবা অফিস। প্রধান অতিথি বলেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সেবা দেয়ার সংস্থাটি সমাজসেবা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ যেকোন ধরণের সুবিধা ভোগ করতে কোন ধরণের সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়লে কোন দালাল নয়, সরাসরি সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানাবেন। সমাধান না পেলে আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই সমাধানের ব্যবস্থা নিব। ভাতা পাওয়ার যোগ্য অথচ পাচ্ছেন না। আবার যোগ্য নয় অথচ ভাতা পাচ্ছেন। এমন তথ্য আমাকে জানাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শমলা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শমলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শমলা বেগম ওই গ্রামের মৃত তালু হোসেনের স্ত্রী। তার দুই ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী।
সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে কালা মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, রাতে এশার নামাজ পড়ে মা তার রুমে ঘুমাতে যায়। সকাল ৮টায় আমার বড় ভাই সুলেমান মাকে খাবারের জন্য ডাক দিতে গিয়ে দেখেন দড়িতে ঝুলছে। জীবিত আছেন ভেবে তারা মাকে দড়ি থেকে খুলে দেখেন মা মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মা পাগলাটে টাইপের রাগী ও জেদী মানুষ ছিলেন। অনেকটা মানসিক রোগীই বলা যায়। যা মন চাইতো, তাই করতো। হয়তো পাগলামির বশবর্তী হয়েই একাজ করেছেন।
সরাইল থানার ওসি (তদন্ত) আ স ম আতিকুর রহমান জানান, উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামে বড় ছেলের ঘরে বৃদ্ধ মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে-এমন সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদায়ী দুই প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর। সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুবুর রহমান ও চুন্টা এসি একাডেমির সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। এই উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদীর সঞ্চালনায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান, একই বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, শাহবাজপুর হোসনেআরা আফজাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী রাণী দে ও পানিশ্বর সামছুল আলম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারূন অর রশিদ প্রমুখ।
কর্মক্ষেত্রের দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিদায়ী দুই শিক্ষকসহ উপস্থিত সকল শিক্ষক ও আবেগ আপ্লোত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সহিদ খালিদ জামিল খান বিদায়ী দুই শিক্ষকের কর্মজীবনের প্রশংসা করে বলেন, চাকরী জীবন শেষে বিদায় বেলায় মানুষ গড়ার কারিগড়দের সামান্য সম্মান দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাদের অবসর জীবন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে ও সুস্থ্যতায় কাটুক এই প্রত্যাশা করছি। ভবিষ্যতে বিদায়ী শিক্ষকদের সম্মানিত করার এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। সবশেষে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত দুই শিক্ষকের হাতে উপহার তুলে দেন।