চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে দত্তখোলা এলাকায় মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে জিতু মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জিতু মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড়খোলা এলাকার কয়লান মিয়ার ছেলে। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
জিতুর বাবা কয়লান মিয়া জানান, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য ছেলে জিতু মিয়াকে নিয়ে অটোরিকশায় ওঠেন। দত্তখোলা এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল তাদের অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত জিতুকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংল থেকে চান্দুরা পুরাতন বাজারের রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। উক্ত রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে পরার আশংকা ভুক্তভোগীদের পক্ষে প্রাণেশ্বর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কালভার্ট বন্ধের আবেদন করেন।
উক্ত লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রাণেশ্বস বিশ্বাসের নিজস্ব পুকুরের তিন দিকে বসতবাড়ির লোকজন উক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করে গোসল ও প্রয়োজনীয় কাজ করেন। পাশাপাশি উত্তর দিকে রয়েছে একটি মসজিদ ও পূর্ব দিকে রয়েছে একটি মন্দির। উক্ত দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ও সকল কার্যক্রম উক্ত পুকুরের পানি দিয়ে করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কোন কালভার্ট এর পানি নিষ্কাসন এই পুকুরে না থাকলেও হঠাৎ রাস্তা সংস্কার কাজ করতে গিয়ে নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার কারনে চান্দুরা বাজারের অধিকাংশ ময়লা আবর্জনা কালভার্ট দিয়ে পুকুরে পরবে। তাতে পুকুরের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরবে। এবং মাছ চাষ করার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলার এলজিআরডি অফিসকে সার্বিক বিষয় দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর জামিয়া রশিদীয়া মাদরাসার ছাত্র মুজাহিদ। বয়সমাত্র ৯বছর। আর এই অল্প বয়সেই হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বালক। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক ও সহপাঠীরা আনন্দিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মুজাহিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর পাক্কাবাড়ীর ইসমাঈল ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদ্রাসার (নুরানি) বিভাগে ভর্তি করানো হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের রিডিং পড়ানো হয়। এর পরে হিফজের উপযুক্ত হলে আল্লাহর রহমতে ১৪ মাসের মধ্যেই কোরআনের হাফেজ হয়ে ওঠে।
তার শিক্ষক হুসাইন আহমাদ বলেন, মুজাহিদের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। তার লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ আমাদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সঠিক পরিচর্যা হলে সে জগত বিখ্যাত একজন আলেম হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের মাদ্রাসায় মুজাহিদ সহ আরো অনেক এতিম ও গরীব অসহায় মেধাবীদের যাবতীয় খরচ আমরা বহন করে থাকি।
হাফেজ মুজাহিদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। পড়ালেখার সমস্ত খরচ তার বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হুসাইন আহমাদ এর বড় ভাই বহন করেছেন। আল্লাহ পাক ওনার এই সহযোগিতা কে কবুল করুন এবং তাকেও দ্বীনের দায়ী হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি সকলের নিকট দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে সরাইল বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে ট্রাকসহ মহিষগুলোকে আটক করা হয়।
এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। সোমবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাক থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা করা হয়।
উদ্ধারকৃত মহিষের বাজার মূল্য প্রায় ৩৪ লাখ টাকা।
উদ্ধার মহিষগুলো আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমার পর রাতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আকস্মিক সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধ সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম।
এ সময় হতদরিদ্রদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ২৬ আগস্ট সোমবার বন্যাদুর্গত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন তারা। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে কয়েকশত মানুষের মাঝে ফ্রি মেডিকেল সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সহ-সভাপতি এবিএম মোর্শেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্ ও আবুল কাশেম।
মেডিকেল টিমে ছিলেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফার্মাসিস্ট মো. আলমগীর কবির, বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন বিজয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আলাল উদ্দিন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন আলম, স্বাস্থ্য সহকারী মো. সফিউল্লাহ, মো. মাসুকুর রহমান,মো. ইকবাল হোসেন।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবা ফ্রি প্রদানে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের মনে সাহস ও ভরসা সৃষ্টি করে।
সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এমন বন্যা কখনো আমাদের অঞ্চলে হয়নি। আমরা বন্যা মোকাবেলা করার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। সৃষ্ট বন্যার পর থেকে সারাদেশে মানুষ শুকনো খাবার ও কিছু সময় রান্না করা খাবার নিয়ে সহযোগিতা করতে আসলেও এতদিনে কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে আসেনি। আমাদের এলাকার সব ফার্মেসি বন্ধ। যোগাযোগ সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে বাহিরেও কোথাও যেতে পারছি না। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশ লোক পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত রয়েছে। আবার শুকনো খাবার বা বাহিরের রান্না করার খাবারের কারণে অনেকে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আপনাদের এই সেবার মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার প্রাণ সঞ্চয় হয়েছে।