চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় রাতের আঁধারে জোরপূর্বক নতুন সড়ক তৈরি করতে তিন ফসলি প্রায় ৪০ বিঘা জমি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। সরকারি অনুমোদন কিংবা সরকারি কোনো একোয়ার ভুক্ত জায়গা না হওয়া সত্বেও চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা বলে এসব জমি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার ফসলী জমি কেটে সড়ক নির্মাণ কাজের উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন হাইকোর্ট । এর আগে গত ৯ মে জমির মালিকেরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
এ ছাড়াও গত ২৮ শে এপ্রিল জমির মালিকরাসহ বহু কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।তারপরও রাতের আঁধারে জমি কেটে চলছে চেয়ারম্যান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসূলাবাদ বাজারের পূর্ব পাশের বিলে চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কোন নোটিশ ও জমি অধিগ্রহণ এবং জমির মালিকদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই কতিপয় ব্যক্তিদের সুবিধা নিশ্চিত করতে অন্তত ৪০ বিঘা ফসলী জমি কেটে ফেলেছেন।
জমির মালিকদের দাবি পাশের আরেকটি জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত না করে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর করে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ জন কৃষকের বেঁচে থাকার সম্বল তিন ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যন খন্দকার মনির হোসেন বলেন রাস্তা ১৫ দিন আগেই নির্মান হয়ে গেছে, আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির সম্বন্ধে আমি অবগত নই।
এছাড়া তিনি বলেন নতুন রাস্তার পাশে আরেকটি পুরাতন রাস্তা রয়েছে এটি সত্য নয়।প্রয়োজনে আপনারা এসে দেখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জুয়ার আসরে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ ছগির মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের তিতাস নদীতে ছগির মিয়ার মরদেহ ভেসে ওঠে। নিহত ছগির উপজেলার এই ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের মৃত আবু সালাম মিয়ার ছেলে।
নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২৬ জুন সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের জাহান ইটভাটার দক্ষিণপাশে কিছু লোক জুয়া খেলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় এলাই মিয়াসহ তিনজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এসময় ছগির মিয়াসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। রাতেই আটক এলাই মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে আমাকে আটকের বিষয়টি জানায়।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ছগির মিয়ার এক ভাই আরশ মিয়া জানায়, ছগিরকেও নাকি পুলিশ নিয়ে গেছে। কিন্তু থানায় খবর নিয়ে জানা যায় ছগির মিয়াকে তারা আটক করেনি। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও ছগির মিয়াকে পাওয়া যায়নি। বিকেলের দিকে খবর আসে নান্দুরা গ্রামের পূর্বপাশে তিতাস নদীতে ছগিরের মরদেহ ভেসে উঠছে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জুয়ারিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এসময় আরো কয়েকজন পালিয়ে গেছে। ছগির মিয়ার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে পুলিশ এখনো তা নিশ্চিত নয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জিনদপুর বাজারে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদের আহবায়ক মোঃ মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান, উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল আমিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ জহিরুল হক জরু মিয়া, সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ রাব্বী হাসান।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিনকে সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিন পূণরায় ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসান পূণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ এর নেতৃত্বে জিনদপুর বাজারে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় আরাফাত হাসান (১৬) নামে এক অটোরিক্সা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা।
৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের জুরা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীরা অটোরিক্সা নিয়ে যায়। নিহত আরাফাত সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের মো. এন্তাজ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গণি শাহর মাজার থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরাফাত অটোরিক্সায় দু’জন যাত্রী নেয়। অনেক রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা মোবাইলে কল দিলে আরাফাত জানায়, দুজন যাত্রী গণি শাহর মাজার থেকে রতনপুরের খাগাতুয়া গ্রামের দিকে যাবে। কিন্তু কলে থাকা অবস্থায় আরাফাতের বাবা চিৎকার শুনতে পান। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আরাফাতের মরদেহ খাগাতুয়া গ্রামের জুরা ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো চলছে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে আজিজ মিয়া (৬০) নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সলিমগঞ্জ বাজারে গত ৩ এপ্রিল ইসহাক মিয়ার দোকানে পেপসি ক্রয় করতে গিয়ে দোকানদারের সাথে বাড্ডা গ্রামের এক যুবকের ঝগড়া হয়। এতে বাড্ডা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে সহ তিনজন আহত হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা গ্রামের লোকজন বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি দুই গ্রামে লোকজন আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝগড়ার প্রস্তুতি নেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ১ মে বৃহস্পতিবার সমঝোতায় বসার কথা ছিল কিন্তু বাড্ডা গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে বাড়াইল গ্রামের লোকজনের উপর শ্রীঘর বাজারে হামলা করে তিনজনকে আহত করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মিয়া নিহত হন। এই সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।