অনলাইন ডেস্ক :
বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এজন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা’ পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত (২৪ ঘণ্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ, যে কোনো সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোনো চার্জ বা মাশুল বা ফি কাটা যাবে না।
গতকাল বুধবার এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরো সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জানা গেছে, এখন জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদের নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে-
ক) সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা; খ) আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা; গ) লিগ্যাল কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেওয়া; ঘ) আইনি পরামর্শ প্রদান করা; ঙ) আদালতে মামলা করা সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা; চ) সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা; ছ) গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা; জ) অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং ঝ) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।
আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে এলএলবি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি’ এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জীবনের জন্য বিজ্ঞান ‘শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন’ এই প্রতিপ্রাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর দূর্গাপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে আজ ১২ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সেমিনার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি র্যালি বের করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের উপসচিব (অধিশাখা-৬) রোকনুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার রাজীব বনিক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার রিফাত হোসেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার নাজিম আহম্মেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহীদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ, উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক-ই-মোহাম্মাদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুবা খাতুন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হামিদা খাতুন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায়কালা মিয়া (৫০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কালা মিয়া উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বেচু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালা মিয়া ভ্যানে করে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, রসুন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি উপজেলার চৌমুহনী বাজার থেকে ভ্যানে করে পেঁয়াজ, রসুন নিয়ে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে ফেনীগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাসটি এখনো আটক করা যায়নি। তবে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করেছে। বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের আওতাভুক্ত। এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জেলে কুব্বাত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে কুব্বাত হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আমিসহ আমার চারজন সহযোগী ট্রলারে পদ্মায় মাছ ধরতে যাই। পদ্মায় বর্তমানে মাছের আকাল পড়েছে। রাতে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাহিরচর এলাকায় জাল তুলতেই বড় কাতল মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় আড়তে আমি মাছটি ২০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি ক্রয় করেছি। পরে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।
ডেস্ক রিপোর্ট :
নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় তলা ফেটে এমভি আর রাজ্জাক নামে জাহাজটি ডুবে যায়। ওই জাহাজে ৮২০ টন কয়লা ছিল, যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।
এমভি আর রাজ্জাকের মাস্টার মুরাদ হোসেন জানান, নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী মেসার্স শেখ ব্রাদার্সের আমদানি করা ৮২০ টন কয়লা হারবাড়িয়া থেকে রওনা হয়ে গত ১০ ডিসেম্বর নওয়াপাড়ায় সরদার মিল ঘাটে নোঙর করে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাহাজটি ঘাটে ভেড়ানোর সময় তলা ফেটে জাহাজে পানি ঢুকে তলিয়ে যায়। জাহাজের কয়লা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।
শেখ ব্রাদার্সের পরিচালক শেখ শফিয়ার রহমান বলেন, নওয়াপাড়া ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই লাইটার জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকেছে। জাহাজটি উদ্ধারে কাজ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরি মিলছিল না মুক্তা সুলতানার। সেই হতাশায় নিজের অর্জিত সব সনদ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
সেই মুক্তাকে চাকরি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্ণমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ পদে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৩ মে ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমার চাকরি হয়েছে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তা এখনও তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।