চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চার মণ ভারতীয় গাঁজাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে সৈয়দবাদ বাসস্ট্যান্ড অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৮), পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯) ও ফুলতলী গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া ওরফে মহারাজ (৩৬)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে গাঁজার একটি বড় চালান আসছে। পরে পুলিশ সৈয়দবাদ বাসস্ট্যান্ডে অভিযানে গেলে ভাই ভাই ট্রান্সপোর্টের (ঢাকা মেট্রো-ন ২০-৬১৫৩) বড় একটি কাভার্ড ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। পুলিশের সন্দেহ হলে ভ্যানের ভেতর তল্লাশির কথা বললে চালকসহ চোরাকারবারিরা গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের তিনজনকেই আটক করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্যানের ভেতর নয়টি পাটের বস্তা ও তিনটি কালো বড় ট্রলি ব্যাগের ভেতরে থাকা ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার প্রেমিক রাকিব (২৩)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাকিব। আদালতে রাকিব জানায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলায় সে দুষ্টুকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজপাড়া) এলাকার মোঃ নাছির মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
নিহত সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর সন্তান। সে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গত সোমবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থেকে ঘাতক রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে রাকিব বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে রাকিব জানায়, দুষ্টু আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের অজান্তা হিজরাকে গুরু মানতেন। সেই সুবাধে দুষ্টু কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
আনুমানিক ৭/৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর রাকিবের পরিচয় হয়। ইজিবাইক চালানোর সূত্র ধরে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সাথে রাকিবের পরিচয় হয়। রাকিব দুষ্টুকে নিয়ে তার ইজিবাইক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া-আসা করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করতো।
গত ঈদ-উল আযহার পরদিন ৩০ জুন রাতে দুষ্টু রাকিবকে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে রাকিব দুষ্টুর বাসায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুষ্টু রাকিবকে জানায় সে দিনাজপুর নিজ বাসায় চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর বাসা থেকে চলে আসলে দুষ্টুও রাকিবের পেছন পেছন আসে। পরে দুষ্টু গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় গেলে রাকিব একটি গাছের ঢাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রাকিব একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারো দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুষ্টুকে রেখে রাকিব পালিয়ে যায় ও দুষ্টুর গুরু অজন্তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। পরে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বন্ধ করার চেষ্টা করবে। আপনারা এক বাক্যে বলে দেবেন, আমরা নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টাকে মানিনা। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। সারা বিশ্ব দেখতে চায় আপনারা আমাদের ভালবাসেন কিনা?’
আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পেছনের দরজা ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। তাই তারা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে আসেনি। ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের বাধার মুখে ভোট হয়েছে, ২০১৮ সালেও হয়েছে। দেশে-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল, যা আন্দোলনের মুখে দেড় মাসও টেকেনি।’
দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেবেননা আপনারা। দেশকে যাতে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগই সৃষ্টি করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা লাভ করুক। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’
জনগণের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভালবাসেন এবং আমিও আপনাদেরকে ভালবাসি এটা বলার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাদের সেবক, ছোটদের অভিভাবক। আপনারা আমাকে ভালবাসেন এই গণসমাবেশ আপনাদের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে। তাই আপনারা সকলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
গোপিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়া বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জসিম উদ্দিন (২৭) নামের এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কসবা-আখাউড়া সড়কের কসবা পৌর এলাকার ফুলতলী হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার আদ্রা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জজ মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট সেনানিবাসে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় উপজেলার শাহপুরের সুমন মিয়া নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন জসিম উদ্দিন। সোমবার বিকেলে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। কসবা-আখাউড়া সড়কে হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে পোঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তার মোটর সাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জসিম উদ্দিন মোটর সাইকেল নিয়ে সড়কের পাশে গর্তে পড়ে গুরুতর আঘাত পান।
এসময় সুমন মিয়া নামের আরেকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মোটর সাইকেল দুটি পুলিশ হেফাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কসবা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী দুজনই আওয়ামী লীগের নেতা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কেউ যেন গালাগাল না করেন কারন নির্বাচনের পরের দিন আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ থাকবেনা। সবাই একসাথে চলবো। সেজন্য তিনি নেতাকর্মী ও প্রার্থীদেরকে একে অপরকে গালাগাল না করে মার্জিত ভাষায় ভোট চাইতে বলেন।
আজ ১৭ মে শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলা মডেল মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আমি হচ্ছি জনগনের, এলাকাবাসীকে বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাগন বিষয়টি আশ^স্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন দুজনই আমার খুব কাছের মানুষ। জনগন যাকে নির্বাচিত করবেন তার সাথেই আমি কাজ করবো।
এসময় আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মাসুদ উল আলমসহ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থীগন ও দলীয় নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।