চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের দাম্মামে ফয়েজ মিয়া (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২ টার দিকে নিজ বাসায় স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার লাশ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফয়েজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী,৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার মত্যুর বিষয়টি চাচা মো. মুসলেম মিয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ ৫ বছর আগে দেশে আসেন তিনি। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল তার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর রাত ৯ টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তার রুমমেটরা দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর বিষয়টি সেখান থেকে সকালে তার পরিবারকে জানানো হয়। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর সকালে বাড়িতে পৌঁছানো হলে পরিবারের আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। স্বামীর শোকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন স্ত্রী। এখন কীভাবে তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাঁচাবেন তা যেন তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। ফয়েজ মিয়ার চাচা মো. মুসলেম মিয়া বলেন, গত ১ সপ্তাহ আগে তার মা মারা যান। ছুটি না পাওয়ায় ফয়েজ বাড়িতে আসতে পারেনি। তাই কোরবানির ঈদের আগে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়। গতকাল বিকেলে ভাতিজার সঙ্গে সর্বশেষ আমার কথা হয়। সে তার মায়ের নামে একটি জিয়াফত করতে চায়। কীভাবে করলে ভালো হয় সে বিষয়ে অনেক কথা বলেন। কিন্তু সকালে শুনি ভাতিজা আর নেই। এই কথা বিশ্বাস করতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। চাচাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, ফয়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ছুরিকাঘাত করে পুলিশকে আহত করার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়া (৩৩) আটক করেছে পুলিশ।
৮ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহেল শিবনগর গ্রামের মৃত তালু মিয়ার ছেলে। এ মামলায় এপর্যন্ত ৪২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ৫ মে সন্ধ্যায় এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবনগর গ্রামের মাদক কারবারী সেলিম মিয়ার বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যায়। এ সময় সেলিম ও তার সহযোগিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। তার মাথায় এবং পেটে আঘাত পায়। আহত খায়রুলকে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে খাইরুল আশঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশকে আহতের মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন আটক হয়েছে। আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে আটক সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা মনে করে, বিদেশে তাদের কিছু মুরুব্বির কাছে কান্নাকাটি করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নবনির্মিত বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যাতে কষ্টে থাকে সে ব্যবস্থা করা। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানিলন্ডারিং করে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল। মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে।
আখাউড়া উপজেলার বড়বাজার-ধরখার সড়কের বনগজ এলাকায় নবনির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োচিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ধরখার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শানু মিয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রডের প্রথম চালান আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নেওয়া হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে করে রডগুলো আগরতলা স্থলবন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড এমভি বোলকার নামের একটি জাহাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরে এসে নোঙর করে। পরে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এগুলোর সিঅ্যান্ডএফের দায়িত্বে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জাহাজ থেকে ট্রাকযোগে আখাউড়া স্থলবন্দরে আনা হয়। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার দুপুর থেকে রডগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে খালাস করা হয়।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের আওতায় এ পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। বন্দরে রক্ষণাবেক্ষণ বন্দর মাশুলবাবদ ৩০৫ টাকা ২২ পয়সা ট্রাকপ্রতি পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০০ কেজি আনারস শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।
২৩ জুন রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি বক্সে করে কিউভেরাইটি জাতের আনারস বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভারতের ত্রিপুরার হর্টিকালচাররের সহকারী পরিচালক ড. দীপক কুমার বৈদ্য বাংলাদেশে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় হাই কমিশানারের এএসও সজীব চক্রবর্তীর নিকট আনারসগুলো হস্তান্তর করেন।
আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্টে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার দীপক হাজিজা, ৪২ বিএসএফ এর ইনচার্জ সন্তোষ কুমার, আখাউড়া কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, আখাউড়া আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।