চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর সদস্যরা। আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কালিসীমা চুল্লাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার মিয়া (৪০)। শুক্রবার র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৯ হাজার ৮৯০ পিস ইয়াবাসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব আরো জানান, মাদকের বিরুেেদ্ধ সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় বাবার হাতে এনায়েতুল (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১ সেপ্টেম্বর রবিবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসহাক মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, নিহত এনায়েতুল মাদকাসক্ত ছিল। সে মাদকের টাকার জন্যে পরিবারের সবাইকে চাপ দিয়ে সংসারে অশান্তি তৈরি করতো। টাকা না পেলে চুরিও করতো। এই অবস্থায় তার বাবা তাকে বিদেশ পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও সে থাকেনি। দেশে ফিরে আবারও নেশার টাকার জন্যে উৎপাত শুরু করে। এনিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল।
রবিবার রাতে এনায়েত ঘরে নেশার টাকার জন্যে ঝগড়া করে। এসময় পিতা পুত্রের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে এরই একপর্যায়ে এনায়েতের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাত দুইটার দিকে মারা যায়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর নিহতের পিতাকে আটক করা হয়েছে। সকালে মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ জাকির হোসেন (২২) ও মোঃ সোহেল তানভীর (২২) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন উপজেলার মেরাশানি গ্রামের মোঃ আবুল ফায়েজের ছেলে ও সোহেল তানভীর একই উপজেলার কাশিনগর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মঙ্গলকার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শরীর তল্লাশী করে ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে দুই ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ জুন রবিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে ছোট ভাই রুবেল ও আলমগীরের সাথে দুলাল মিয়ার বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহ তৈরি হতো। ৭ জুন শনিবার দুপুরে কোরবানির মাংস কাটার সময় ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সাথে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগির দুলাল মিয়াকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগির পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিজয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার মূল আলোচনা করেন বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম।
পরে বক্তব্য রাখেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রমজান, উপজেলা মডেল মসজিদ এর খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান শান্ত প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আকস্মিক সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধ সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম।
এ সময় হতদরিদ্রদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ২৬ আগস্ট সোমবার বন্যাদুর্গত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন তারা। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে কয়েকশত মানুষের মাঝে ফ্রি মেডিকেল সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সহ-সভাপতি এবিএম মোর্শেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্ ও আবুল কাশেম।
মেডিকেল টিমে ছিলেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফার্মাসিস্ট মো. আলমগীর কবির, বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন বিজয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আলাল উদ্দিন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন আলম, স্বাস্থ্য সহকারী মো. সফিউল্লাহ, মো. মাসুকুর রহমান,মো. ইকবাল হোসেন।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবা ফ্রি প্রদানে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের মনে সাহস ও ভরসা সৃষ্টি করে।
সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এমন বন্যা কখনো আমাদের অঞ্চলে হয়নি। আমরা বন্যা মোকাবেলা করার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। সৃষ্ট বন্যার পর থেকে সারাদেশে মানুষ শুকনো খাবার ও কিছু সময় রান্না করা খাবার নিয়ে সহযোগিতা করতে আসলেও এতদিনে কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে আসেনি। আমাদের এলাকার সব ফার্মেসি বন্ধ। যোগাযোগ সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে বাহিরেও কোথাও যেতে পারছি না। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশ লোক পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত রয়েছে। আবার শুকনো খাবার বা বাহিরের রান্না করার খাবারের কারণে অনেকে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আপনাদের এই সেবার মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার প্রাণ সঞ্চয় হয়েছে।