চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আলী বক্স এন্ড ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শতাধিক অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। সাংবাদিক শরীফ বক্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর আর শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, মর্তুজ আলী, এম এ মজিদ বক্স, রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নারায়ণ চক্রবর্তী, মোঃ রিমন খান, পারভেজ আলম, মামুন খন্দকার, বেলায়েত হোসেন মিল্লাত, সুমন, রানা, মন্নর, আব্দুর রউফ, এলেম, জিল্লুর রহমান, ফারুক, আল আমীন, হেলাল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খাদ্য সামগ্রী মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, তৈল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক। বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ সময় ৯টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস বিন আতিকের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ‘মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার’ ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে।
হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। পারিবারিকভাবে ৪ সন্তানের মধ্যে হাফেজ আনাস তার একমাত্র পুত্রসন্তান।
মেধাবী হাফেজ আনাস ইতোপূর্বে আরটিভিতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আনাস বিন আতিক প্রথমস্থান অর্জন করার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। হাফেজ আনাসের এ অসাধারণ সাফল্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আমার ছেলে হাফেজ আনাস প্রথম হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গতকাল রাতে ফলাফল ঘোষণার পর আমরা খবরটি জানতে পেরেছি। বর্তমানে হাফেজ আনাস তার ওস্থাদদের সঙ্গে সৌদি আরব অবস্থান করছে। আল্লাহর রহমতে শিগগিরই তারা দেশে ফিরবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম অর্জন করায় আমি আনন্দিত। দেশবাসীর কাছে তিনি তার ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আবু হামেদ স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আবু হামেদ স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
আবু হামেদ স্মৃতি সংসদের আহবায়ক সঞ্জীব কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ড. আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ঠাকুর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. ওবায়েদুল্লাহ মামুন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আবু হামেদ ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ। আবু হামেদ আপাদ মস্তক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাধারণকারী অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তার নীতি ও আদর্শ বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সভায় আবু হামেদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ একটি মুর্যাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যান তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাসহ বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আজ ১২ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ তারিখ ধার্য করেন বিচারক এশারমিন নিগার।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলায় সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেহাবুর রহমান, উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও পঙ্কজ দাশ, সহকারী পরিদর্শক দিলীপ কুমার নাথ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এক উপপরিদর্শককে আসামি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মামলা আরজিতে দাবি করেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তিনি বিষয়টি সরাইলের ওসিকে জানান। পরে সরাইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই একাধিক পিকআপে এবং ৫-৭টি মোটর সাইকেল সরাইল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল সীতাহরণ বাজারে গিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজকে মারধর শুরু করে।
তিনি নিজেকে ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দেয়ার পরও সালিশ মীমাংসা করতে না পারার অভিযোগ তুলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি পুলিশ সুপার বরারব লিখিত অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুদিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামের মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অরূয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন মৃধা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক অপু নাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিল খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দু’দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ষ্টল বসে।