চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) উদ্যোগে খাদ্যভিত্তিক (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৯ মে রবিবার সকালে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা।
এ সময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহেনা বেগম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সইন্টিফিক অফিসার জ্যৈার্তিলাল বড়ুয়া, বারটানের প্রশিক্ষক দীপ্রজিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বারটান পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবারের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎত প্রজন্ম জড়িত। পুষ্টিকর খাবার খেলে সুস্থ সবল প্রজন্ম পাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে জহির উদ্দিন রানা।
মা-বাবার একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটাতে ১৯ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সেখানকার বেলকম শহরে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
কথা ছিল, ঈদের পর বাড়ি এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে চলছিল প্রস্তুতিও। তবে সব স্বপ্নই ধূলিসাৎ করে দেয় সেদেশের সন্ত্রাসীরা।
গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিহত হন জহির উদ্দিন।
আর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ফরিদ মোল্লার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহির উদ্দিনের বাবা-মা।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার রাতেই জহিরের পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার বাবার নম্বরে ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। এরপর থেকে পরিবারে চলেছে শোকের মাতম।
নিহত জহির উদ্দিনের বাবা ফরিদ মোল্লা ও মাতা আছিয়া খাতুন জানান, তাদের একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান প্রায় দুই দশক আগে। মাঝখানে ১০ বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন। পরিবারকে বলেছিলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে এসে এবারের ঈদের পরই বিয়ে করবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে নিয়ে প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় এখন পরিবারটির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহিরের মা-বাবার একটাই দাবি, প্রিয় সন্তানের মরদেহ যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহত জহির উদ্দিন রানার পরিবারে মা-বাবা ছাড়া তার একটিমাত্র বোন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা (বিরাসার-পাইকপাড়া) খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়া চকলেট ফ্যাক্টরীর সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস।
উদ্বোধনের পরপরই ভেকু নিয়ে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী, জামাল হোসেন, ওমর ফারুক জীবনসহ পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘরের ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
এছাড়াও খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলবাজরা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটি দখল করে রেখেছে। অতিমাত্রায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়না । ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালটি পরিষ্কার করা হলে ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে। ফলে বৃষ্টি হলেও শহরে কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা।
এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত বলেন, পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার সকল খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বিরাসার থেকে পাাইকপাড়া তিতাস নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ন এই খালটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। খালের পাশের রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। খালের যে ময়লা-আবর্জনা আমরা অপসারণ করছি তা ডাম্পিংনে নেওয়া হয়েছে। এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর টাউন খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকায় যত পুকুর আছে সেইসব এলাকার কাউন্সিলরদের নিয়ে পুকুরগুলোও ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ নভেম্বর বুধবার সকাল দশটায় ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা, যুবঋণের চেক ও সনদ বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াকুব আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আমির আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।