চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আসলাম হোসেন।
গতকাল শনিবার সকালে জেলা পুলিশ লাইনসের ড্রীলশেডে আয়োজিত জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ওসি আসলাম হোসেনের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন।
জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার ৯টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশের পারফমেন্স বিবেচেনায় এপ্রিল মাসে মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত এপ্রিল মাসে সদর মডেল থানার পুলিশ ৯৮জন চোর, ছিনতাইকারী ও ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। একই সময়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীসহ ৩১জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানার পলাতক ১৫১জন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও এপ্রিল মাসে সদর মডেল থানার পুলিশ দুটি ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং ৫৩৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং ১ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়াও তার এই প্রাপ্তিতে আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিরাট ভূমিকা ছিলো। এর আগেও তিনি কয়েক বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে গেলো। এই পুরষ্কার আমাকে আগামীতে সদর থানার জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এক পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন। তাদের ৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করানো হয়।
অসুস্থরা হলেন- সঞ্জিত ঋষি (২৫), অনামিকা ঋষি (৩০), সোহাগ ঋষি (১২), সিধু ঋষি (৮) ও স্মৃতিরানী ঋষি (৫)। তারা সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কাশিনগরের বাসিন্দা।
অসুস্থ সঞ্জিত ঋষি জানান, দুপুরে শহরের কালাইশ্রীপাড়ার এক হকার থেকে ১৫০ টাকায় ৫০টি লিচু কিনেন। দুপুর ১টার দিকে বড়ভাবিসহ তার মেয়ে ও ভাতিজারা লিচু খান। এক পর্যায়ে প্রচুর পেট ব্যথা ও বমি হয় সবার। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, লিচু খেয়ে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। লিচুতে কেমিক্যাল অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ হয়ে শিশুসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোহনা টেলিভিশনের ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে আজ ১১ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও মোহনা টেলিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, আ. ফ. ম কাউসার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাবেক সহ সভাপতি শেখ সহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আশিকুল ইসলাম, নব নির্বাচিত সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ এম সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, দৈনিক ইস্টার্নমিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক নজরুল ইসলাম বিল্লাল, দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবু নাসের রতন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশিক মান্নান হিমেল, দৈনিক প্রজাবন্ধু’র নির্বাহী সম্পাদক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, দৈনিক দিনদর্পণ’র জেনারেল ম্যানেজার হুমায়ুন কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা মোহনা টেলিভিশনের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আলোচনা সভাশেষে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গুজব না ছড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা নিতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বজাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ধরণের কোনো হামলা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতৃবৃন্দ জেলার সর্বত্র এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং সমঅধিকার ভোগ করি। আল্লাহ রসুল বলেছেন, অমুসলিমের ওপর যারা জুলুম করে, তাদের অধিকারে কেউ কম দেয়, সাধ্যের বাইরে কোন কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, অন্যায় ভাবে তাদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন আমি নবী আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হবো। এই হচ্ছে সংখ্যালঘুর বিষয়ে নবীর নির্দেশনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে কোন সংখ্যালঘু আক্রান্ত হতে পারবে না, করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান আরো বলেন, বিগত সময়ে হেফাজত ইসলামসহ আলেমদের উপর অনেক অত্যাচার-জুলুম হয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার এক ছাত্রকে মাদরাসার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের ১৬জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের আলেমদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ৬৩টি মামলা করে তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে আমাদের ৬জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সময় আমরা যে মামলাগুলো করেছিলাম বৈরী পরিবেশের কারনে মামলাগুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারিনি। ইনশাল্লাহ ওই মামলাগুলো আমরা চালাব।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারি সরকারের পতন হয়েছে। এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মাওলানা মুফতি মোবার উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমি, সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী বোরহান উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, প্রচার সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ সেশনের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাব্বির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামে।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রোববার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান রাব্বি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্তও রাব্বি ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে পরিবারের লোকজনের মনে। সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ায় খুব কাছ থেকে চিনতাম। সে খুব অমায়িক ছিল। আমি যতটুকু জানি তার প্রেমঘটিত বা অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। একবছর আগে তার বাবা মারা যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি রাব্বির খোঁজ রাখতে। কিন্তু মাঝে সে আর যোগাযোগ করেনি। তার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
এদিকে রাব্বির এমন মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিজ বিভাগ ও জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে। সদর উপজেলার উলচাপাড়া মসজিদে রাব্বির জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।