চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে এরশাদ নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত এরশাদ মিয়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
গতকাল ১৯ মে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি মারা যান।
জানা যায়, পেশায় অটোচালক এরশাদ মিয়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে যান। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। পরে অচেতন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা এরশাদ মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন।
বিষয়টি আমরা আশুগঞ্জ থানাকে অবগত করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. কবির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নিহত কবির পেশায় একজন প্লাম্বার মিস্ত্রি ছিলেন। সকালে কবির যাত্রাপুর থেকে রেলপথ ধরে আশুগঞ্জে যাওয়ার পথে এই ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখতে না পাওয়ায় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোন ট্রেনের নিচে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আব্দুল মোত্তালিব। বিগত ১৯৯৩ সালে মাদরাসায় যোগদান করে সুদীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশী সময়কাল তিনি কৃতিত্বের সাথে মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ছিল তার চাকরির শেষ কর্মদিবস। এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় অধ্যক্ষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অবস্থিত নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিলেন তারা।
এদিকে শেষ কর্মদিবসে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোত্তালিবকে বিদায় জানাতে মাদরাসা প্রাঙ্গণে উষ্ণ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আকবর খান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মাদরাসা গভর্ণিং বডির সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, দাতা সদস্য ফরিদুল আমিন, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ কবির হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে মাদরাসা প্রাঙ্গণ সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। অনুষ্ঠানে তার সম্মানে পাঠ করা হয় হৃদয়গ্রাহী মানপত্র। দেওয়া হয় সম্মাননা। সব শেষে প্রিয় অধ্যক্ষকে কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে। গাড়িতে ওঠার সময় বিদায়ী অধ্যক্ষকে ফুলের মালা পরিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে ভালবাসার বহি:প্রকাশ করে আয়োজকরা। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সূধীমহলের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ অব্দুল মোত্তালিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে জনসচেতনামুলক উপজেলা কমফ্লেক্সের সামনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করার মাধ্যমে মাসব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাছ হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শাহরিয়ার আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন প্রমুখ।
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যাশল চন্দ্র বসাক বলেন, প্রথমদিন উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে ময়লা আর্বজনা পরিস্কার কার্যক্রম করার মাধ্যম তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করা হল। পরবর্তীতে এ কার্যক্রম আশুগঞ্জ উপজেলা সবকটি ইউনিয়নসহ প্রতটি স্থান থেকে ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার কার্যক্রম করা হবে। আমরা নিজ উদ্যোগে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করব এবং নিজেদের আঙ্গিনা নিজেরাই পরিস্কার করবো।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১১ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল), ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল হাসানাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) রাজ্জাক হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির কাজী মাসুদ আহমেদ, স্বতন্ত্র মঈন উদ্দিন ও জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আবদুল হামিদ এবং তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ।
এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব দলীয় প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা সম্পর্কে আপন শ্বশুর-জামাতা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে জিয়াউল হক মৃধার মেয়ে জামাই রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এ কারণে তার শ্বশুর ও তৎকালীন জাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাংসদ জিয়াউল হক মৃধার কর্মী-সমর্থকরা ঢাকা-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জিয়াউল হক এ আসনে পরপর দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে রেজাউল মনোনয়ন পাওয়ায় এ আসনে জাপার প্রার্থিতা নিয়ে জামাই-শ্বশুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। চলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা রওশন এরশাদপন্থি এবং দলের বহিষ্কৃত নেতা। রওশনপন্থি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তিনি। তাই দলীয় মনোনয়ন পাননি জিয়াউল হক মৃধা। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মৃধার মেয়ে জামাই রেজাউল মনোনয়ন জমা দিলেও একই দল থেকে মনোনয়ন জমা দেন আব্দুল হামিদ ভাসানী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘এ আসনে আব্দুল হামিদও আমাদের দল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যেমন গত নির্বাচনে বিএনপি একাধিক প্রার্থী জমা দিয়েছিলেন। যদি এরমধ্যে কেউ বাদ যায়! মূলত ওই আসনে আব্দুল হামিদ নির্বাচন করবেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘সবশেষ উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি রওশনপন্থি, (নির্বাচনে) রওশনপন্থিরা সবাই আছেন। জাতীয় পার্টি থেকে কে নির্বাচন করলো বা মনোনয়ন পেলো তা আমার দেখার দরকার নেই।’