চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বজ্রপাতে মো. মামুন মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
১৯ মে রবিবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন ওই গ্রামের মো. সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিকেলে ঝড় শুরু হলে মাঠে বেঁধে রাখা গরু আনতে যান মামুন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদসর্যা (সরাইল ব্যাটালিয়ন) আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এই ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। এসময় শাড়ি ও থ্রিপিস বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ট্রাকের ওপরে পাথর দিয়ে ড্রাম ও বস্তায় ভরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে এসব শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ করা হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকের পর এতে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাত থেকে বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। ভোর রাতে বিজয়নগর এলাকায় পন্যবাহী একটি ট্রাক বিজিবির নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল চান্দুরা এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ট্রাক তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় পাথরের স্তরে লুকানো আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী- থ্রিপিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে এসব শাড়ী রাজধারী ঢাকায় পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মানবিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর ৩ আসন গড়তে কাচি প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজয়নগরের চান্দুরায় পথ সভায়।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা খেলার মাঠে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করোন চান্দুরার নুরুল ইসলাম সর্দার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
প্রবীর চৌধুরী রিপনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, ইছাপুরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আক্তার হোসেনসহ আরো অনেকে।
বক্তারা সাধারণ ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাচি প্রতীকের প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও সকল সুধীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সবসময় পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরোও বলেন,আমি আপনাদের সুখে দুখে থাকব সব সময়। আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারী কাচি মার্কায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেট থেকে পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সিলেটমুখী একটি অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নিহত হন।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমপাড়ার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল খালেক (৩২)।
খাতিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি অকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সততা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১ মাস ধরে মেয়ের সন্ধানে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন গৃহবধূর বাবা- মা ও তার স্বজনরা। এতো খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর মা সুমি বেগম।
জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়না বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া মেয়ে। প্রায় ৭ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ রমজান মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ময়নার। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (০৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই গৃহবধূর।
ময়না নিখোঁজ হওয়ার পর সম্প্রতি একটি ভয়েস বার্তা প্রকাশ পাই। ভয়েস বার্তা প্রকাশের পর ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
ময়নার স্বামীর কাছে পাঠানো ভয়েস বার্তায় গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা।
স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পেয়ে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার কাছে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ময়নাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে জানান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়নার চাচা মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজি একজন সরল সহজ মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কি নিখোঁজ না কি গুম তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে শনিবার সকালে ময়নার শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গৃহবধু উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।