আজ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

জাতীয়, 21 May 2024, 266 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ। মেডিটেশন দিবস উপলক্ষে এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সারাদেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেবেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিন দিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সাত বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ।

Leave a Reply

আশুগঞ্জে ইয়াবা ও প্রাইভেটকারসহ ৩জন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জ উপজেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ হাজার Read more

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর

চলারপথে রিপোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. Read more

গাঁজা ও পিকআপসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট: আশুগঞ্জে সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক বিশেষ…

চলারপথে রিপোর্ট : কোন রাজনৈতিক সংগঠনে পদ-পদবী রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস Read more

কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে উঠান বৈঠক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও Read more

আখাউড়া স্থলবন্দরে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ Read more

নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে Read more

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উদ্যোগে মতবিনিময় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির…

উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা Read more

ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার Read more

নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও Read more

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে…

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার Read more

কক্সবাজারে সাড়ে তিন লাখ পিস ইয়াবাসহ আটক ৫

জাতীয়, 15 April 2023, 1174 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব। আজ ১৫ এপ্রলি শনিবার কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন এসব তথ্য জানান। আটককৃতরা হলেন– আবু হানিফ, নূর মোহাম্মদ, আক্তার কামাল, গোলাব জান ও নাসিমা আক্তার।

লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার তিনটি পৃথক অভিযানে এ মাদক কারবারিদের ইয়াবা, টাকাসহ আটক করা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, টেকনাফ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ একটি গাড়ি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাতকানিয়ায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করে কালো রঙের কেবিন পিকআপ থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ও ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গাড়ির চালক আবু হানিফকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, বিকেলে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আজোনাইয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ নূর মোহাম্মদ ও আক্তার কামাল নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ওই রাতে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকাসহ আরও দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে (মা ও মেয়ে) আটক করা হয়।

মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

জাতীয়, 11 August 2023, 686 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহটের শরণখোলায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে। নিহত পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাওদা জেমীকে (৫) ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। গুরুতর অবস্থায় মা পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে কে বার কারা এই হত্যাটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া বেগমকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় বাড়ির কিছু দূরে পড়ে থাকা অবস্থায় মেয়ে সাওদা জেমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।

গ্রাম পুলিশ স্বপন বালী জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে থাকতেন। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা জানান, তার ইউনিয়নের ১ নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডে মা-মেয়ের জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পারিবারিক কারণে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পাপিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 21 November 2023, 767 Views,
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না। এটা অন্যায়। কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির প্রয়োজন। সে জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের পথ পরিহার করে জনগণের কল্যাণে কাজ করার এবং তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তাদের চেতনা জাগ্রত হোক যে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। জনগণের অকল্যাণ করে, তাদের পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না- অন্তত এই বিষয়টা যেন যারা এগুলো করছে তারা বুঝতে পারেন। খবর- বাসস

আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টি পারপাস কমপ্লেক্সে ‘মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিত করেন।

তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একজন মানুষ কীভাবে আরেকটা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে। তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। আর মানুষ বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারত। দুঃখের বিষয় এরপর ২০১৩-১৪ সালে এবং ইদানীং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। পোড়া মানুষগুলোর ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং তাদের আত্মচিৎকার ও পরিবারগুলো কী অবস্থায় আছে।

৭৫ এর পর হারাতে বসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তাঁর সরকার আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-বেসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানানো দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। এখন আমাদের স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশে নয়, বিদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধান তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ সূচনা করে। সেই আক্রমণের ফলে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করি।

তিনি এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ২০০০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বর্তমানে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উত্তরাধিকারীকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের বছরে দু’টি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা এবং নববর্ষ ভাতা তাঁদের নিজ নিজ একাউন্টে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদান করা হচ্ছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

২০২১-২২ অর্থবছর হতে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার পাশাপাশি সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদেরকে মেধাভিত্তিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের উপর প্রতি বছর পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরসঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ জেলা ছাড়া সার্কিট হাউস অথবা ডাক বাংলোয় অবস্থান, সরকারি পরিবহনে সর্বোচ্চ শ্রেণিতে বিনামূল্যে চলাচল, বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে বছরে একবার ফ্রি যাতায়াত এবং আন্তর্জাতিক যেকোনো রুটে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারসহ বিনা ভাড়ায় বছরে দুইবার যাতায়াত করতে পারছেন। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহনকারী গাড়ি টোল ফ্রি, পর্যটন কর্পোরেশের হোটেল ও মোটেলে বিনা ভাড়ায় বছরে একবার দুই রাত যাপন এবং জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে সপরিবারে অবস্থান করার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীরা রেশন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সশস্ত্র বাহিনী হতে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্হিবিশ্বের যে সকল বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন তাঁদের সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতি অব্যাহত রেখেই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের দিকে আমরা এগিয়ে যাব জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে আমরা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাব। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের স্থান করে নেব।

‘বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, আমাদের উন্নয়ন শহরকেন্দ্রিক নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যায় পর্যন্ত আমরা উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, তাঁর সরকার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 5 May 2024, 286 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।

আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের কব্জি, ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত, রণক্ষেত্র গাজীপুর

জাতীয়, 8 November 2023, 510 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের এপিসি কারে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এখনো (সন্ধ্যা ৬টা) উত্তপ্ত রয়েছে।

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার সকালেও আন্দোলনে নামেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল।

দুপুরের পর কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের সমন্বয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো আলাউদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদ নামে এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।