অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় একজন খুন ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাইদুর রহমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির ফুফাতো ভাই ও কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং মনির হোসেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
আখাউড়া উপজেলায় মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সদরে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে খান আরিফুর রহমান এবং নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঝালকাঠি সদরে খান আরিফুর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান হোসেন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অ্যাডভোকেট জিকে মোস্তাফিজুর রহমান।
ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে দুই উপজেলার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইএম মাসুদ রেজা আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৭৯টি।
অপরদিকে, পাঁচবিবি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেকুন নাহার। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভিপতি আবু বকর সিদ্দিক আনারস প্রতীক পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৭ ভোট।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৫ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (পালকি প্রতীক) বুলবুল হাসান পিপুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রাজীবুল হাসান রাজু ১১ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (তীর ধুনুক প্রতীক) মোছা. নার্গিছ আক্তার মোট ৩৬ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (হাঁস প্রতীক) মোছা. ইন্দোনেশিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৬১ ভোট।
চৌগাছা (যশোর): যশোরের চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আখতারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
অন্যদিকে, বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে হামিদ লতিফ ভূঁইয়া ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪ ভোট।
বগুড়া: বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত রাজু বগুড়া-৩ (আদমদিঘী দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাধনের বাবা। এমপি বাধনের মা জেলা পরিষদের বগুড়া ৩নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামীমা আখতার মুক্তা।
চেয়ারম্যান পদে রাজু নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেসবাউল করিম। রাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের রাশেদুল ইসলাম রাজা।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আহম্মেদ বিপ্লব, কাহালুতে হাবিবুল হাসান কবিরাজ সরুজ এগিয়ে আছেন। দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার বগুড়া জেলার তিন উপজেলার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ২৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে কাহালু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পেদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর ফুলগাজীতে খড়ের গাদার নিচে চাপা পড়ে মা ও তার দুই শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সুমি আক্তার (৩৫), তার দুই সন্তান সাঈদ (৭) ও সিয়াম (৩)। সুমি আক্তার ওই এলাকার বাহরাইন প্রবাসী টিপু আলমের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে গবাদি পশুর জন্য খড় কাটছিলেন সুমি আক্তার। এসময় তার দুই সন্তান সাঈদ ও সিয়াম তার পাশে ছিলেন। এক পর্যায়ে দুই সন্তানসহ সুমি আক্তার খড়ের গাদায় চাপা পড়েন। তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় জানান, তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি শিরীন আখতার নিহত তিনজনকে দেখতে হাসপাতালে যান। এমপি শিরীন জানান, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনি শোকাহত।
চলারপথে ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছত্বর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক একটি এলাকা ব্লক করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করাতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং এর নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, এর কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।
মন্ত্রী এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইনানুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
কোয়াব নেতাদের উত্থাপিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটররা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং অন্য সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহ-সভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
রমজান মাসে সারাদেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে মাদরাসা। রোজার জন্য ৭ মার্চ থেকেই দেশের সব মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জির প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ছুটির তালিক ও শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী—২০২৪ সালে দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি সব মাদরাসায় ৭১ দিন ছুটি থাকবে। ৭ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পবিত্র রমজান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ কয়েকটি সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ৩০ দিন (সাপ্তাহিক বন্ধ বাদে) ছুটি থাকবে।
ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জিতে রমজান মাসজুড়ে মাদরাসা বন্ধ রাখা হলেও তাতে সংশোধনী আসছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পারিনি। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।’
এর আগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে বছরের শুরুতে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রেখে বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকায় সংশোধনী এনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজানেও ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন ও শিখন ঘাটতি পূরণে পবিত্র রমজান মাসের ১৫ দিন স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরপর একই পথে হাঁটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোজার প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে কলেজগুলোও ১০-২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং দেশের কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় করতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে একদিনের প্রতিবন্ধী চাকরিমেলা।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন)।
এতে অর্থায়ন করে দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস পার্টনারশিপ অন দ্য রাইটস অব পার্সনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস মাল্টিপার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড।
জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এ মেলায় ৪০ জন প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিয়োগপত্র দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টিম গ্রুপ, স্বপ্ন, সিআরপি, ই-শিখন, এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, শেলটেক ও উর্মী গ্রুপ।
মেলায় এসব প্রতিষ্ঠানসহ আরএমজি সেক্টর, আইটি সেক্টর, পেইন্ট ইন্ডাস্ট্রি, এনজিওর জাতীয় ও বহুজাতিক ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার ১ হাজার ২০০ প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী মেলায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করলেও অংশ নেয় মাত্র ২৫০ জন।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ১১ বছর বয়সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারান। তার বাম হাত বাহু থেকে আর ডান হাত কবজি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা বিদেশে ছিলেন। করোনার সময় চাকরি হারিয়ে দেশে আসার পর এখন কৃষিকাজ করেন। তাই চাকরির চেষ্টা করছি। আমি ব্র্যাক থেকে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কোর্স করেছি। এ মেলায় অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানে সিভি দিয়েছি। যদি চাকরি হয় তাহলে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে পারবো।
চাকরিমেলায় মো. রকিবুল ইসলামকে কাস্টমার এক্সিকিউটিভের নিয়োগপত্র দিয়েছে ই-শিখন। তিনি বলেন, আমার শরীরের বাম পাশ জন্ম থেকে ঠিকভাবে কাজ করে না। আমি অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতক করেছি। এ চাকরিমেলা থেকে চাকরি পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। আরও অনেক কোম্পানিতে সিভি দিয়েছি। আশা করি, আরও ভালো কোম্পানিতেও ডাক পাবো। এ মেলা আমাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
চাকরিমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে পারে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের পেছনে ফেলে আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর সুযোগ নেই।
এ সময় বিবিডিএনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাসেম খান, প্রধান নির্বাহী (সিইও) মুর্তজা রাফি খান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর পিটার, সৈয়দ সাদ হোসেন গিলানী, টিম গ্রুপের এইচআর প্রধান খন্দকার ইমাম, এক্সেস বাংলাদেশের ইনক্লোশন লিড তাসলিম জাহানসহ মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।