অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন। দুপুরে জন্মস্থান মাশহাদে জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে এই মহান নেতা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খোরাসানে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।
২২ মে বুধবার তেহরানে ৫০ দেশের ৬৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে অংশ নেন কাতার, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা।
ওই দিন সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসির তৃতীয় জানাযা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পরে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
গত রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
সেদিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে গত সোমবার হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নয়জন নিহত হন।
সূত্র: আলজাজিরা।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউনের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এক প্রজন্মের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সাফল্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সাফল্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে দুটি সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় সফরে তিনি দেশটিতে বিস্ময়কর উন্নয়ন দেখেছেন।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে লি জাং-কিউন বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে ওডিএ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখন ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী।
গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন আগামী ২০ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুখপাত্র পলা পিনহো জানিয়েছেন, ‘আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি এবং শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের আশা করছি।’
প্রথাগতভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, ভন দার লিয়েন সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। চার বছর আগে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ইউরোপীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা চান, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনো অস্বস্তিকর সমঝোতা চাপিয়ে না দেয়।
এছাড়া ট্রাম্পের সম্ভাব্য বাণিজ্য শুল্ক আরোপ নিয়েও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে দখলের ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
ভন দার লিয়েন বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সুরক্ষায় ইইউ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং আমরা ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চাই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান কেভিন কিলি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের মেডিকেড সুবিধা বাতিল করার লক্ষ্যে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। কিলির ধারণা যে এটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর শুধু ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সব অবৈধ অভিবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মেডিকেড তালিকাভুক্তি প্রসারিত করে।
কিলি বিলের বিষয়ে বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সাধারণ জ্ঞানের আইনটি নিশ্চিত করে যে করদাতাদের অর্থায়ন করা স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো তাদের জন্যই সংরক্ষিত হয় যারা আইনত যোগ্য, আমেরিকার নাগরিক এবং আইনী বাসিন্দা।’ কিলি আরও উল্লেখ করেন, নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করদাতাদের অর্থায়ন করা পাবলিক হেলথ কেয়ার সিস্টেম- মেডিকেডে নথিভুক্ত অনেক আমেরিকান ইতিমধ্যেই ডাক্তার খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন।
কিলি বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া প্রতি বছর এখানে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যেককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব নাগরিকদের অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতেও পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় অভয়ারণ্য রাজ্যের আইন বহাল রয়েছে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের আহ্বানে রাজ্যকে ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করার একটি বিশেষ অধিবেশন চলছে। প্রধানত রাজ্য ও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মামলার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান এবং নির্বাসন প্রতিরক্ষার আইনি সহায়তার জন্য আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়ে এই অধিবেশন ডাকা হয়।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ২.৭ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী বাস করে। তাদেও সংসারে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্মগত নাগরিকত্ব প্রদান বন্ধ করার ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করেছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আদালতে বিচার না করা পর্যন্ত এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা এখন কার্যকর হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ের কয়েকদিন পরেই মামলা ঠুকে দেন ব্যবসায়ী স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে আপস-মীমাংসায় পেয়ে যান ৭৫ লাখ রুপি। এরপর বিয়ে করেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। সেখানে ছাড়াছাড়ি করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কিছুদিন পর আরেক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি সীমা ওরফে নিক্কি নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের জয়পুর পুলিশ। তাকে বলা হচ্ছে ‘লুটকারী কনে’।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে, সম্প্রতি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার অভিনব প্রতারণা বিষয়টি।
পুলিশের তদন্ত বলছে, সীমা নামের ওই নারী বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলোতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে কিংবা স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এমন ধনী পুরুষদের নিশানা করতেন। এরপর বিয়ে করে কিছুদিন পরই তিনি মামলা করে দিতেন।
আর শেষে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে মীমাংসা করে নিতেন। এভাবে তিনি সোয়া কোটি রুপির বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পেরেছে জয়পুর পুলিশ।
জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমার এই প্রতারণার প্রথম শিকার হন আগ্রার এক ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে বিয়ের পর তার থেকে আত্মসাৎ করেন ৭৫ লাখ রুপি। ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সেখান থেকে তিনি ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। এরপরে সেই ব্যবসায়ী মামলা করলে পুলিশ সীমাকে গ্রেপ্তার করে।