অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দোলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২ জুন ওই ম্যাচে রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। আইসিসির দুটি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আম্পায়ার্স প্যানেলে ছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এক বছরে এমার্জিং আম্পায়ার থেকে এলিট প্যানেলে নাম লেখান। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের পারফরম্যান্স শীর্ষে নিয়ে গেছে তাঁকে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ ২৬ আগস্ট সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ভারতের হারায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। এর আগে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন আসাদুল মোল্লা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে কোনাকুনি শটে ভারতের জালে বল ঢোকাতে চেয়েছিলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। তা অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক প্রিয়াংশ দুবে। কিন্তু ফিরতি শটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আসাদুল। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বল ঠেকাতে গিয়ে গগমসার গোয়ারির সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা নেওয়ার পর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামতে হয় আসিফকে। থিতু হওয়ার আগেই গোল হজম করে বসেন তিনি। ৭৫ মিনিটে নাওবা মেইতেই পাঙ্গামবামের কাটব্যাক থেকে ভারতকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক রিকি মিতেই হাওবাম।
শেষেও অবশ্য নাটক কম ছিল না। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ভারতীয় গোলরক্ষকের পথ আটকানোয় লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের কামাকাই মারমা। ৯০ মিনিট শেষে ব্যবধান ১-১ থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আসিফও পেয়ে যান শাপমোচনের সুযোগ। প্রথম পেনাল্টিতেই ভারতের থাংলালসুন গাংতের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি ঠেকিয়ে দেন। পরের তিনটি শট অবশ্য আটকাতে ব্যর্থ হন এই গোলরক্ষক। তবে শেষ পেনাল্টি নিতে আসা আকাশ তিরকের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন তিনি। রুখে দেন ভারতের ফাইনালে যাওয়ার পথও।
বাংলাদেশ অবশ্য একটি শট কম নিয়েছে। তবে চারটি শটের প্রতিটিতেই গোল এনে দেন পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম মইন, শাকিল আহাদ তপু ও আশরাফুল হক আসিফ। ফাইনালে আগামী ২৮ আগস্ট স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
স্পোটর্স ডেস্ক :
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩টি পোস্টে রাখতে পারলেও গোল হয়নি। বিরতির পর নিকো গঞ্জালেস একবার চিলির ক্রসবারও কাঁপিয়েছেন। ভাগ্য সহায় হয়নি আর্জেন্টিনার। শুধু তা ই নয়, ৩৭তম জন্মদিনের কেক কেটে মাঠে নামা লিওনেল মেসিও ৬৮ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এভাবে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত গোল এনে দিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
২০২২ বিশ্বকাপে একের পর এক মিস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে বিশ্বকাপের পর নিজেকে ঠিকই ফিরিয়ে এনেছেন চেনা ছন্দে। চলতি বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ইতালিয়ান সিরিআ জয় করেছেন। যেখানে লাউতারো হয়েছেন বর্ষসেরা স্ট্রাইকার। তবু কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি তার।
প্রথমার্ধের হতাশা আর দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে থাকায় শেষ পর্যন্ত লাউতারো মার্টিনেজকেই মাঠে নামাতে বাধ্য হলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমে ৮৮ মিনিটে করলেন দলের জয়সূচক গোল। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই এলো জয়সূচক গোল।
১-০ গোলের এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখল আর্জেন্টিনা। গ্রুপে তারা আছে সবার ওপরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কানাডা আছে দুইয়ে। চিলি এবং পেরু দুই দলেরই ঝুলিতে আছে ১ পয়েন্ট।
তবে আর্জেন্টিনাকে এই ম্যাচে অনেকটা সময় পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অভিষেকের পর থেকেই হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের ত্রাতা। কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপে তার অতিমানবীয় গোলকিপিং সহজে ভুলতে চাইবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সেই এমি মার্টিনেজই আরও একবার আর্জেন্টিনার মান বাঁচালেন আজ।
প্রথমার্ধে গোলবারের নিচে একেবারেই অলস সময় পার করেছিলেন এমি মার্টিনেজ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় পার করেছেন ব্যস্ত সময়। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ এবং ৭৬ মিনিটে রদ্রিগো এচিভেরিয়া দুই দফায় জোরালো শট করেছিলেন। তবে এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় দলকে।
১-০ গোলের এই স্কোরলাইনে অবশ্য প্রমাণ করা কষ্ট, ঠিক কতটা দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে আর্জেন্টিনা আজ। গোলমুখে চিলির ৩ শটের বিপরীতে তারা নিয়েছে ২২ শট। ৬টি বিগ চান্স সামনে এসেছিল। ৯টি শট ছিল অন টার্গেট। কিন্তু চিলির গোলবারের নিচে ছিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৪১ বছরের অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার সামনে।
টানা আক্রমণ করেও ওই এক ব্রাভোর কারণেই গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ পার হয়েছে গোল না পাওয়ার হতাশায়। উপরন্তু ৩৭ মিনিটে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। হতাশার মাত্রা তাতে আরও বেড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিকো গঞ্জালেসের জোরালো শট ব্রাভোর হাত হয়ে লাগে ক্রসবারে।
বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪৬ বছর পূর্তির দিনে চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধও নেওয়া হলো তাদের। নিউ জার্সির এই মাঠেই ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের পর আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। তবে সাত সপ্তাহ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। বাকিটা সবার জানা।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।
স্পোটর্স ডেস্ক :
উগান্ডা এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে। পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে দলটি। তবে এবার ফের হেরে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আকিল হোসেনের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সি গ্রুপের ম্যাচে আজ ৯ জুন রবিবার ১৩৪ রানে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৫৮ রান। যা ছিল এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার সেই রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো আফ্রিকা অঞ্চলের দলটি। ৩৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে আলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লো উগান্ডা। বিশ্বকাপে এর আগে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের।
২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল ডাচরা। দ্বিতীয় রেকর্ডটিও তাদেরই দখলে। সেবারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ আসরে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা। আর আজ ডাচদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে উগান্ডা। ডাচদের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য ডাচদের চেয়ে ৯ বল বেশি খেলেছে উগান্ডা। ডাচরা যেখানে ১০.৩ ওভার খেরেছে সেখানে উগান্ডা খেলেছে ১২ ওভার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। উগান্ডাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলপেস রামজানি। ৪.৩ ওভারে ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় ৪১ এবং ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন তিনি। চার্লসকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন নিকোলাস পুরান। আজ তার সামনে ছিল টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু অল্পের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি তারা। ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। রেকর্ড গড়ার পথে বেশ ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ২২ রানে মাসাবার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফির যান পুরান।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে দলটি। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার খুব একটা সুযোগ দেননি উগান্ডার বোলাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রোভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ব্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে রানের চাকায় গতি আনেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার। উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রামজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।
উগান্ডার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৪। তবে সেই টার্গেটকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরে থাক, উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপ মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পুরো ম্যাচজুড়ে। উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক স্পিনার আকিল। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুকাসাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আকিল। সেই শুরু, এরপর একে একে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনিই। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল।
৪ ওভার বল করে ১১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল। উগান্ডার ইনিংসের মাত্র একজন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। এক জুমা মিয়াগি শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লজ্জার রেকর্ড এড়াতে। তার ১৩ রানেও অবশ্য লজ্জা এড়াতে পারেনি উগান্ডা। ৩৯ রানে অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ১২ ওভারের মাঝেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভার ১৭৩/৫
উগান্ডা: ১২ ওভার ৩৯/১০
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। স্থানীয় সময় রবিবার ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন খবরটি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে গাত্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু পরে তার নিউমোনিয়া, কিডনি ও হৃদযন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গাত্তির ডাকনাম ছিল ‘এল লোকো’ অর্থাৎ ‘পাগল’, আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন—৭৬৫টি ম্যাচ।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের মূল গোলরক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছিটকে পড়েন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের এ সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতিকে একত্রিত করতে খেলাধুলার শক্তির কথা খেলোয়াড়দের স্মরণ করিয়ে দেন। সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে একজন উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ড. ইউনূসকে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শান্ত বলেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে তাদের সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল। এ কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।