চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ (বোডিং মাঠ) সংলগ্ন পুকুরে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদার আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মোঃ আবুল কাসেম।
উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠান পরিচালনায় করেন সিনিয়র ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান পলাশ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দেন।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশুনা করে সেই জন্য দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।
কতো টাকা বকেয়া ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব কম টাকা, বলার মতো না। যে অভিযোগটা এসেছে এটা আসলেই আমার ফল্ট ছিল। কারোর ষড়যন্ত্র দেখছি না। এটি আমি খেয়াল করি নাই। তবে আশা করছি আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টেংকেরপাড় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদি মার্চের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আল মামুন, দুর্জয় মাহমুদ, রেহেনা বুশরা, মুনিয়া, রিয়াদুল ইসলাম, আবু বাশার সানি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নিয়াজুল করিম প্রমুখ। সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারও তার বাহিনী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশে যেই সরকার গঠন করুক এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, যারা দেশে পুণরায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইবে তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। একটি মহল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ধ্বংস নয় বরং শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে মাঠে নেমেছে। তাই সকল অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। পরে একটি র্যালি টেংকের পাড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ১৭ তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
আজ মঙ্গলবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ডা. আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সরকার, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম।
অন্যান্যের মাঝে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শাহীদুল আলম জীবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মোল্লা, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তাবাস্সুম অনিক, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি যোবায়ের মাহমুদ শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক নাইমুর রহমান অভি সহ জেলা ছাত্রলীগের বিপুল পরিমান নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমবায়ে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে।
জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকালে জেলা কালেক্টরেট অঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি পালনের শুভ সূচনা করা হয়। পরে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পু্লশি সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. আবুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ্ আলম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমবায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, দি ডাচ বাংলা ঋণদান সমিতির খলিল বশির মানিক, মেড্ডা সমবায় সমিতির আবু হানিফ তালুকদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, একা অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়না, সকলে মিলে করা যায়। একতাবদ্ধ হলে অনেক বড় কাজও করা যায়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মান্ষু সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে। ঋণগ্রস্ততা আমাদের সমাজের জন্য একটা বিরাট ব্যাধি। সমবায় এই ঋণগ্রস্ততা থেকে পরিত্রাণের একটি অনন্য মাধ্যম। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতেও সমবায় অনন্য অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানের শেষে দু’টি পর্যায়ে আটজন শ্রেষ্ঠ সমবায়ীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের বিদায় জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা।
বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. সাজিদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল সুলতান, পুলিশ কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহীম, আব্দুর রশিদ, আবু সাদেক, মো. শাহ আলম, মো. সুলতান আহাম্মদ, মো. আবু ইউসুফ, মো. গোলজার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুর রহমান ও খোরশেদ মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স সূত্রে জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য। তাই গত ৮ জুলাই মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়।
পরে জেলার পুলিশ সুপার তার সরকারি বাংলোতে তাদের সঙ্গে নিয়ে নৈশভোজ করেন। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে অনাড়ম্বর আয়োজনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রত্যককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ও মাইক্রোবাস ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা। পরে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সুসজ্জিত গাড়িগুলোতে তাদের বিদায় জানানো হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ একবার পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করলে তিনি সারাজীবনই পুলিশ হিসেবে পরিচিত হয়। তার মধ্যে যেন সেই অনুভূতি না হয় তিনি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের আপন মনে করে তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করেছি এবং সুসজ্জিত গাড়িতে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।