চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নারী ও অপর পুরুষ ইউপি সদস্য আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনার পর একজন আরেকজনকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আহত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় এজহার দিয়েছেন। ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ইউপি সদস্য হলেন ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. ইরন মোল্লা ও ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছির মিয়া ও নারী সদস্য জাকিয়াকে ঘটনার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ইরন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব এনে লিখিত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়ার কাছে।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (সদ্য বহিস্কৃত) ওমরাও খানের (আনারস প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সাধারণ ইউপি সদস্য ইরন মোল্লা। এদিকে আ.লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সংরক্ষিত নারী সদস্য জাকিয়া আক্তার। নির্বাচনের পর প্রথম মাসিক সভার আহবান করেন চেয়ারম্যান।
২৩ মে পরিষদের কক্ষে সভা চলাকালীন সময় বিএনপির সহ-সভাপতি ওমরাও খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি তুলেন ইরন মোল্লা। সে সময় চেয়ারম্যান ও জাকিয়াকে দোষারোপ করেন ইরন। সভা কক্ষে অন্য আলোচনা পরিহার করে ইউনিয়ন পরিষদের আলোচনা শুরু করতে বলায় গালমন্দ করতে থাকেন ইরন। এক পর্যায়ে নারী ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করায় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ইরন। এ সময় ইরন ও জাকিয়া উভই আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিয়াকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
আহত জাকিয়া আক্তার বলেন, ইরন একজন খুনি। সে ডাকাত দলের সদস্য। সে শুধু আমার উপরই হামলা করেনি, চেয়ারম্যান ও অপর একজন সদস্যকেও মারধর করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্যরা লজ্জায় বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও আমাকে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইরন মোল্লা বলেন, আমি আগে খারাপ কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে সব কিছু ছেড়ে আমি ভালো হয়ে গেছি। নির্বাচনে আমি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ওমরাও খানের পক্ষে কাজ করছি এটা সত্য। পরিষদে এসব বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু জাকিয়া আমায় খারাপ ভাষায় গালমন্দ করলে আমি তাকে আঘাত করি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ইরন নাসিরনগরের জন্য একটি আতংকের নাম। ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইউএনওর কাছে লিখিত দিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেওয়া হবে।
ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, সভা চলাকালীন একজন ইউপি সদস্য আরেকজন নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে। এর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আজহারুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার সময় উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর জমিদার বাড়ির পুকুরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে ১১৮ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব (বহিস্কৃত) শাহ আলম পাঠান। ওই মামলার ৩১নং আসামি হলেন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজহার ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শাহিন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের লালুয়াটুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানান, সকালে লালুয়াটুক গ্রামের মোঃ সাজু মিয়ার ছেলে মোঃ শাহিন মিয়া বাড়ির পাশে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরবেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগর থেকে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে মোট ২ হাজার ৫১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে এসএসসির জন্য ১ হাজার ৬৯৯ জন, ৩২১ জন দাখিল ও ৩১০ জন ভোকেশনাল পরীক্ষা দিতে ফরম পূরণ করে। এই শিক্ষার্থীদের ৭০৬ জন ছেলে ও ১ হাজার ৩৪৫ জন মেয়ে। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯ জন ছেলে ও ৪২ জন মেয়ে অংশগ্রহণ করেনি। কেন এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তাদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার। যাদের বেশিরভাগের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরীক্ষা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাল্যবিয়ে দিতে অনেক অভিভাবকই ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেন। এরপর কাজিকে ম্যানেজ করে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে কৌশলে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন।
জানা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি নারী পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের সৈয়দ কামরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই স্কুল থেকে ১৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি, যাদের সবাই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সানাউল আমিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের না জানিয়ে এসএসসির ১৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীকে বিয়ে দিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এ ছাড়াও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১০ থেকে ১৫ জন মেয়েকেও এ বছরই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাধা দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কাজিকে ম্যানেজ করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে এসব বিয়ে হচ্ছে। আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধা দিলেও তাঁরা উপেক্ষা করেন।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত আমাদের দু’জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নেয়নি। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি মেয়েগুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে।
মোবাইল ফোনে কথা হয় পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীর বাবা আনু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভালো আলিম (মাওলানা) জামাই পাইছি; বিয়া দিছি। এত পড়ালেখা কইরা কী করব? পড়ালেখা কইরা সেই জামাইর ভাতই রান্ধা লাগব।’
নাসিরনগর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে যেন কেউ বিয়েতে রাজি না হয়, সে বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতন করতে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবাইকে।
নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিয়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, জানতে পেরেছি এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি অভিভাবকদের সচেতন করতে। পরীক্ষার আগে বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু আমরা চলে আসার পর আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে অনেক অভিভাবক কাবিন ছাড়া বিয়ে দিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রাঘাতে ৮ বছরের শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১১ মে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পৃথক তিন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো: চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জাকিয়া আক্তার (৮), গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের শামসুল হুদা (৭০) এবং ধান কাটতে আসা মৌসুমি শ্রমিক রাজ্জাক মিয়া (৪০)।
নাসিরনগর ইউএনও শাহিনা নাসরিন বলেন, বজ্রপাতে একদিনে তিনজনের মৃত্যুর খবর খুবই মর্মান্তিক। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনগণকে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।