চলারপথে রিপোর্ট :
নির্মাণের ৫ বছর পর সরাইল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৩ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এ কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নৌসাদ মাহমুদের পরিচালনায় ইউএনও মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এডঃ আব্দুল রাশেদ, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সায়েম উল্লাহ ঠাকুর, ইউপি চেয়ারম্যান আসমা বেগম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। র্যালির পর সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম, প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস এবং সহকারী শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম ঠাকুর।
বক্তারা শিক্ষকদের ভূমিকা ও তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকেরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সর্বদা নিবেদিত রয়েছেন।
এছাড়া, শিক্ষকদের কাজকে সমাজে যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে হবে। বক্তারা সরকারের শিক্ষানীতি এবং শিক্ষকদের অধিকারের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, মিডিয়া কর্মীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিদ্যালয়ে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে ইমরানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী-শাশুড়ি। বুধবার রাত ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে স্বামী-শ্বাশড়িসহ ননদ-ননদী পালিয়ে যায়।
ইমরানা বেগম উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন রানীদিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল কাহারের মেয়ে ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ইমরানাকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর সংসার চলে। গত বুধবার বিকালে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি নিয়ে শ্বাশুড়ি, ননদ ইমরানাকে মারধর করে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরানা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চান ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষনা করেন। সংবাদ সম্মেলন আশীষ কুমার চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ২০০২ সালে মিশন হাসপাতালে কাজ করার সময় থেকেই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ঢাকাস্থ ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ আমার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- (সরাইল-আশুগঞ্জ)সহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে আসছি।
মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে বিজয়ানন্দ এবং বৈশাখী সংগীত উৎসব সহ সর্বশেষ ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো ৭ মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট ছিল দেশের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরেক বিপ্লব। সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই নেতৃত্ব দিয়েছি আমি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমার বাড়ি সরাইলে উদযাপিত হয়ে আসছে আমার প্রয়াত বাবার নামে “আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষা বৃত্তি”। বৃত্তিটি এই অঞ্চলের – ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি গভীর মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেছে। এই বৃত্তিতে প্রতিবছরই সরাইল ও আশুগঞ্জের সেরা স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন ক্রেস্ট, মেডেল, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়।
ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিলে অবহেলিত এলাকার আমূল পরিবর্তন আসবে বলে বিশ্বাস করি। সকল শ্রেণির মানুষের মানোনয়ন হবে বলে আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, সরাইলের ত্রিতাল সংগঠনের সঞ্জিব দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।