অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল আজহায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ২ জুন থেকে শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ জুনকে ঈদের দিন ধরে গতকাল ২৪ মে বৃহস্পতিবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ প্রস্তাব জানানো হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, এবার ঈদের আগে ৫ দিন ট্রেন যাত্রা ধরা হতে পারে। যদিও গত ঈদে ছুটি বেশি থাকায় ৭ দিন ধরা হয়েছিল।
রেলসূত্র জানিয়েছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভায় স্বাভাবিক ও বিশেষ ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা, অগ্রিম আসন বিক্রি, টিকিট কালোবাজারি রোধ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল ও প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো এবারও ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ২ জুন থেকে ঈদ যাত্রায় ১০ দিন আগের আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি শুরু হতে পারে।
আরও জানা গেছে, সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ঈদে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল মিলে মোট ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। ঈদে ট্রেন ভ্রমণের সার্বিক প্রস্তুতি ও ট্রেনের অগ্রিম আসন বিক্রি নিয়ে আগামী ২৭ মে সোমবার সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। সেখানে বিস্তারিত জানাবেন রেলমন্ত্রী।
সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, এবারও ঈদে ট্রেনের সব আসন অনলাইনে অগ্রিম বিক্রি হবে। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হতে পারে।
রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন বিক্রি হতে পারে ৬ জুন। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ আসন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যেতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মীয়মাণ ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. শাকিল খান (২০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাকিল খান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আশার কোটা গ্রামের নবির হোসেনের ছেলে।
তিনি কদমতলীর মুজাহিদনগরে থাকতেন।
সহকর্মী ইকরামুল ও মৃতের খালাতো ভাই মো. সুজন বলেন, কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ভবনের তৃতীয় তলায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
চলারপথে ডেস্ক :
কৃষকের কাছে ভালো মানের বীজ সরবরাহ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষির নতুন নতুন কৌশল প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ উপলক্ষে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয়, অন্যদিকে দেশের ক্রমহ্রাসমান জমি হতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কৃষির একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারি বীজ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বীজ প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। তাহলেই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এ উপলক্ষে আমি বীজ শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।”
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করে দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি ও কৃষকের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি কৃষি পেশার মর্যাদা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে কৃষি কর্মকর্তাদের মর্যাদা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি গবেষণা জোরদার করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পুনর্গঠন করেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য ফসলের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ এবং উন্নয়ন বাজেটে কৃষিতে সর্বাধিক বরাদ্দসহ অনেক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা কৃষি উন্নয়নে বীজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘রাষ্ট্রপতি কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করার পর এদেশের কৃষির অগ্রযাত্রা থেমে যায়। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে কৃষি প্রধান এ দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে কৃষিতে ভর্তুকি, প্রণোদনা প্রদান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার দেশের কৃষক ও কৃষি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিরলস কাজ করছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের লাভের কথা বিবেচনা করে সরকার কয়েক দফা সারের দামসহ কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে। সেচের জন্য ডিজেলে ভর্তুকি ও গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সাথে সাথে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে চায়। এবারের সিড কংগ্রেস আমাদের এ ভিশন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চার করবে বলে আমি মনে করি।’
তিনি ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, ‘সিড কংগ্রেস- ২০২৩’ শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। তিন দিনব্যাপী এ কংগ্রেস চলবে সোমবার পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহ্যবাহী শত বছরের স্কুল পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে ক্লাস করতে হচ্ছে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে। ভবনটির টিনের চাল ফুটো থাকায় অনর্গল বৃষ্টির পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
যারা ছাতা ব্যবহার করছেন না তাদের বই, খাতা ও স্কুল ব্যাগ বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাচ্ছে। সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এ দুরাবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসছেন না বলে জানা যায়।
স্কুলটি নতুন একটি ভবন থাকলেও সেখানে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সংকট। শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরাতন আধা পাকা টিনসেডের কক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে।
শ্রেণি কক্ষে গিয়ে দেখা যায় টিনের চাল ফুটো থাকায় সরাসরি বৃষ্টির পানি পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রেণি কক্ষের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে পরশুরাম সরকারি পাইলট হাই স্কুলে। স্কুলের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ। নিচ তলায় শুধুমাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডের কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ টিনসেডের বিল্ডিং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন তারা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার।
অভিভাবকরা জানান, শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ায় তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে রাজি হচ্ছে না। স্কুলটির অধিকাংশ ক্লাসরুমের অবস্থায় খুবই জরাজীর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই চালের পানি গড়িয়ে ভেতরে পড়ে। বৃষ্টি একটু বেশি হলেই শিক্ষার্থীদের ছাতা কিংবা পলিথিন মাথায় দিয়ে বসতে হয়।
পরশুরাম সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান চৌধুরী আসিফ বলেন, ঝুকিপূর্ণ বোঝার পর শিক্ষার্থীদের এ ভবনে ক্লাস করাতে হচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। পুরাতন টিনসেডটি সংস্কারের জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। তাই এই বৃষ্টির মধ্যে বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস চলছে। নতুন ভবন নির্মান করা হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা শসসাদ বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি আজই প্রথম জেনেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সরেজমিন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সম্প্রতি জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটে প্রয়োজন হবে না। তবে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাই হবে। প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এ সময়ের পরই ঘোষণা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম।
ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কবে কখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে, সেটা আমি বলব না। এটা জেলকোডে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এ মাসের মধ্যেই রায় কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায় কার্যকরের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। জল্লাদদের নিয়ে কয়েক দিন ধরে মহড়াও চলছে। একই মঞ্চে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এ মঞ্চে একসঙ্গে একাধিক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ আছে। মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৮ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে মিয়া মহিউদ্দিন একই বিভাগের অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়।
আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। সবশেষ গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের করা একটি রিট খারিজ হয়ে যায়। এখন আসামিদের দণ্ড কার্যকরে আইনগত বাধা নেই।
রায় কার্যকর করার আগে মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দুই আসামির স্বজনরাই তাদের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনরা এভাবে সাক্ষাৎ করার পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্তরা মুষড়ে পড়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।