চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ইসলাম চিরপ্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নজরুল’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ইউএন সিস্টেম অফ এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং-এর ফ্রেমওয়ার্ক এবং এ সংশ্লিষ্ট থিমেটিক এরিয়াসমূহের বিবেচনায় সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত একটি সেল গঠন করেছে। এ সেলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করছে।
আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে ‘ন্যাচারাল রিসোর্স একাউন্টস আন্ডার সিস্টেম অন এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক একাউন্টিং ইন ফোকাসিং ল্যান্ড এন্ড ফরেস্ট একাউন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসির সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াওকুন শি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র দাস প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন খান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন ও পরিবেশ পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। প্রকৃতির সুরক্ষায় আমাদের আন্তরিক হতে হবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেগোসিয়েশনের জন্য বিবিএস-এর পরিবেশগত কার্যক্রম হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসডিজি, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পারসপেক্টিভ প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান প্রভৃতি বাস্তবায়নে টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস এবং এতদসংক্রান্ত আরো পরিবেশ পরিসংখ্যান অতীব জরুরি, যা বিবিএস প্রণয়ন করবে।’ পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত, একটি বাঁচা-মরার বিষয়।
পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হবে। এটি হবে জীবন রক্ষাকারী কাজ হবে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে এ কাজ সফল করতে হবে।’ প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
চলতি বছর হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার। রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা হজ অফিস ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এর বাইরে জেলা পর্যায়েও চলবে প্রশিক্ষণ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। অন্যদিকে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়া হবে সারাদেশের ৭৯টি কেন্দ্রে। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা ছাড়া দেশের ৬৩ জেলার সিভিল সার্জনের অফিস। শনিবার এসব কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ মে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকার জন্য ঢাকায় মোট ৯টি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল।
এর বাইরে বেশ কয়েকটি জেলা সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্র করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, দিনাজপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন। ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকার।
২৭ জুন (৯ জিলহজ) চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। যদিও এবার মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধনের বাকি থাকা কোটার মধ্যে কিছু ব্যবস্থাপনা খাতে পূরণ হবে। এর বাইরে খালি থাকা কোটা ফেরত পাঠাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে থেকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৭ মাসের এক শিশুকে অপহরণের পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির চাচীকে বোনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার জিএমপির উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া জেলার সদর থানার চকসূত্রাপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জান্নাত (২৩) ও জাকিয়ার ছোট বোন রাকিবা আভান আঁখি (২১)। এদের মধ্যে জাকিয়া ওই শিশুটির চাচা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাঙ্গালগাছ এলাকার মাসুদের স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরের পর গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার তাদের ৭ মাস বয়সের শিশু সন্তান রিয়াদ হোসেন ওরফে রোহানকে নিয়ে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে। বেশকিছু সময়েও শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা জাকিয়ার কাছে যান। তারা জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারণে শিশুটির বাবা-মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান। পরে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ সময় জাকিয়ার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জাকিয়া। এ সময় সে জানায় তার বোন আঁখির মাধ্যমে শিশুটিকে বগুড়ায় পাচার করা হয়েছে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাতেই বগুড়ায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অপহরণের পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী জাকিয়া ও তার বোন আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা শিশু অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে মোবাইল চুরির সময় চার নারীকে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই চার নারীকে আটক করার পর হস্তান্তর করা হয়েছে শাহবাগ থানায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) উজ্জ্বল ব্যাপারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল চুরি করতেন আটক চার নারী। আজ মোবাইল চুরি করার সময় এক নারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আমাদের আনসার সদস্যরা। পরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসি ফুটেজ দেখে আরও ৩ জনকে আমরা ধরি।
তিনি বলেন, বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হককে জানানো হলে তিনি পুলিশকে জানান। পরে শাহবাগ থানায় চার নারীকে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দিতে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে নতুন বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের গবেষণা সবসময়ই চলবে। কিন্তু একটা দুঃখের কথা না বলে পারি না। আমাদের কৃষি গবেষণা চলছে, বিজ্ঞানের গবেষণা চলছে। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা খুবই সীমিত। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দিন।
আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ ও ‘বিশেষ গবেষণা অনুদান’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সরকার আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শ্রমঘন শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে চান বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ডাক্তারদের একটি মহল এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর চিকিৎসা চর্চা ও গবেষণা বাদ দিয়ে সরকারি চাকরি অথবা রাজনীতিতে চলে যান। আর এক শ্রেণি আছেন, তারা শুধু টাকা কামাতেই ব্যস্ত। একই সঙ্গে সরকারি চাকরি এবং প্রাইভেটে প্র্যাকটিসও করেন। সরকারি চাকরি আর প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পর সেখানে কিন্তু আর গবেষণা হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের দক্ষ বিজ্ঞানী দরকার। ফেলোশিপের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা উন্নয়নকাজে উৎসাহ প্রদানে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মাঝে বিশেষ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ২০০৯-১০ থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ৫ হাজার ৫২১টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, যারা এই গবেষণা বা ফেলোশিপের জন্য অনুদান পেয়েছেন আপনারা একটু আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা করবেন। আমি জানতেও চাই আপনারা কী কী উদ্ভাবন করলেন বা তা আমাদের দেশে কতটুকু কাজে লাগবে? আসলে গবেষণার কোনো শেষ নেই।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান।