চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২৬ মে রবিবার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন।
বক্তব্য রাখেন মো: আলম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে রিফাত মিয়া (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ মে সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশের পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।
রিফাত মিয়া জেলা শহরের মেড্ডা (মৃন্দালিপাড়া) এলাকার এমরান মিয়ার ছেলে এবং মেড্ডা (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, স্কুলের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুপুরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে রিফাত। গোসল করার কোনো এক পর্যায়ে সাঁতার না জানায় অসতর্কতাবশত পুকুরের পানিতে ডুবে যায় রিফাত। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশ ও আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংকুর এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব উদযাপন হয়েছে গত শনিবার। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা রাত দশটা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠানের নানান পর্ব। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এ বছর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ৪ গুণীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আনন্দঘন এইসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো: সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. জয়নাল আবেদীন, লেখক গবেষক ও কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সঙ্গীত শিল্পী (চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ) সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক, কবি দেওয়ান মারুফ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতি আনিছুল হক রিপন।
এ বছর যারা সম্মাননা পেলেন তারা হলেন সাহিত্যে- লেখক ও গবেষক মানবর্দ্ধন পাল, গঙ্গীতে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, যন্ত্র সঙ্গীতে সেতার ও বংশীবাদক সঞ্জিত কুমার রায়, শিশু শিল্পী ক্যাটাগরিতে রওনক জাহান রাইসা, সংগঠনে বিশেষ অবদানের জন্য অ্যাড: মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং অরূপ রায় অপু।
অনুষ্ঠানে সার্বিক নিদের্শনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুবর্ণ নাগরিকদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সুবর্ণ নাগরিকদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
এ সময় অন্যান্যের মধে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ একরাম উল্লাহ্, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময় সুবর্ণ নাগরিকদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।