ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের উপকূলে আঘাত করা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দেশের ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান। এছাড়া প্রায় দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আজ ২৭ মে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী বা অন্য কোনো সময়ে নয়ছয় হবার সুযোগ নেই। তারপরও খতিয়ে দেখা হবে, যেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অনুদানের টাকা পান। সব মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেমালে। জেলাগুলো হলো: খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি। দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ১ হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে চালু আছে ১ হাজার ৪০০টি।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে আমরা এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে পনেরোটি জেলায় জি আর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ মে মঙ্গলবারের পর থেকে ধীরে ধীরে সিলেট হয়ে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবে রেমাল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল স্কুল-কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের সকল বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ২১ জুলাই থেকে পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে সরকার স্কুল কলেজেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাই মো. মেহেদি হাসান নুর (২০) ও মো. ইব্রাহীম (১০) দুমকী উপজেলার নলদোয়ানি গ্রামের মো. সোহরাব হোসেন এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত দুই শিশুর বাবা সোহরাব হোসেন খুলনায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে গত রবিবার মির্জাগঞ্জে রামপুর গ্রামে নানা আব্দুল কাদের মুসুল্লির বাড়িতে মায়ের সাথে দুই ভাই বেড়াতে আসে। দুপুর ১টার দিকে দুই ভাই নানা বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। তারা দুজনেই সাঁতার জানত না। গোসল করে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাঠাঁলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশু মেহেদি হাসান নুর ও মো. ইব্রাহীম নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটন ও অগ্নিসংযোগের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপির আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। নির্বাচন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতিসাধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) উচিত অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তারপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অংশগ্রহণ করা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় তিনি সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এ নির্বাচন। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেব’ স্লোগান দিয়ে আপনারা (নির্বাচনে) ভোট দিন।
যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আমরা তাদের (তরুণদের) সহযোগিতা নিয়ে এটি করতে পারব।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে, তাদের জনগণ কেন ভোট দিতে যাবে, তাদের ওপর আস্থা রাখবে? জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।
নির্বাচন জনগণের অধিকার এবং এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে। জনগণ ভোট দিয়ে যে দলকে নির্বাচিত করবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালী পৌর সদরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার আলতাফ হোসেনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা নাকচ করেছে নিহতদের পরিবার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নিহত নূর নাহার বেগমের সঙ্গে আলতাফের অনৈতিক সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া খুন হয়েছে। মা নূর নাহারকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন তাঁর মেয়ে ফাতেমা আজি প্রিয়ন্তী।
তবে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন নিহত নূর নাহারের স্বামী ফজলে আজিম কচি ও ছেলে রবিউল আলম হৃদয়। তাঁরা ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের ঘটনায় ফজলে আজিম কচি বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ ধৃত আলতাফ হোসেনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে হাজির করে। সেখানে আলতাফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন বার্লিংটন মোড় এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, যে দোতলা বাড়িতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটির গেটে পুলিশের নির্দেশে নিহতদের স্বজনরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী এলাকা লইয়ার্স কলোনির একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন ফজলে আজিম কচি ও তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে হৃদয়।
ফজলে আজিম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যায় যখন পুলিশ সুপার খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে তাঁরা কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কথা বলতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওসির কক্ষে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনেই তাঁদের বক্তব্য নিয়ে হৃদয় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, একজন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার করা ঠিক নয়। এর জবাবে পুলিশ সুপার তাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আলতাফের বক্তব্য তাঁর মোবাইল ফোনে রয়েছে।
ফজলে আজিম আরো বলেন, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জনতার হাতে আটকের পর আলতাফ বাড়িতে আরও দুই ব্যক্তিকে দেখার কথা বলেছেন। ওই দুই ব্যক্তি কারা, সেটি বের করা দরকার। তা ছাড়া ঘটনার আগের দিন এক লোক বাসা ভাড়া নিতে এসেছিল। বাড়ির অপর ভাড়াটিয়ার ফোনে সে ব্যক্তির সঙ্গে আমি কথাও বলেছিলাম। তার বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার অধিকতর তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় তিনজন অংশগ্রহণ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে জনতা ধাওয়া দিয়ে গণধোলাইর পর পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধৃত আলতাফই এই খুন করেছে।
নিহতদের স্বজনের অভিযোগ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপুলিশ পরিদর্শক প্রমোদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাই জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। যদি নতুন কিছু পাওয়া যায় তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আসামি আলতাফের কথায় কোনো মিথ্যা আছে কিনা সে বিষয়টি পুলিশ মাথায় রেখে কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন। আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। খবর বাসসের
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গত ১৫ বছরে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় স্থানীয় টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, প্রসাধনী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, গৃহস্থালীর পণ্য, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, ভেষজ সামগ্রী, টয়লেট্রিস, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র ও অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত এবং বিক্রি হবে।
তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরানের কোম্পানিগুলো এ বছর তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলায় বিদেশি কোম্পানির ১৬-১৮টি প্যাভিলিয়নসহ ৩৫১টি স্টল রয়েছে।
মেলায় প্রবেশ মূল্য সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা। সকাল ১০টায় মেলা খোলা হবে এবং সপ্তাহের দিনগুলোতে রাত ৯টায় বন্ধ হবে। সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা রাত ১০টা পর্যন্ত মেলায় থাকতে পারবেন। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ফার্মগেট থেকে মেট্রোরেল এবং এলিভেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগের জন্য বাস পাওয়া যাবে।