স্পোর্টস ডেস্ক
আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ এমন হবে, সেটি কল্পনাও করতে পারেননি অনেক ক্রিকেটভক্ত। বলা যায়, একেবারেই একপেশে লড়াই। যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই মৌসুমের লিগপর্বে রান তুলেছিল ২৬৬, ২৭৭ এমনকি ২৮৭ করে, সেই দলই ফাইনালে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৩ রানে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ৩ পেসার- আন্দ্রে রাসেল, মিচেল স্টার্ক ও হার্শিত রানার তোপে পুরো ইনিংসও খেলতে পারেনি হায়দরাবাদ। অলআউট হয়ে গেছে ৯ বল আগেই। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে কোনো বেগই পেতে হয়নি কলকাতাকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে হায়দরাবাদের দেওয়া লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে কলকাতা। দলীয় ১১ রানে ওপেনার সুনিল নারিন (২ বলে ৬) আউট হয়ে গেলেও রান তোলায় গতি কমাননি ভেঙ্কটেশ আয়ার ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৮ ওভারেই ৯৩ রান তোলেন তারা।
৩২ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান গুরবাজ। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কটেশ। ফিফটি হাঁকান তিনি। ২৬ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়ার আয়ার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে হায়দরাবাদ। দলীয় ৬ রানে ২ উইকেট, ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সের দল।
ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (৫ বলে ২) বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে (১ বলে ০) রানের খাতাই খুলতে দেননি বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। ১০ বলে ১৩ রান নিতেই নিতিশের উইকেট নেন হার্ষিত রানা। ফলে ভেঙে যায় কষ্টার্জিত ২৬ রানের ছোট জু্টি।
মার্করামও টিকে থাকতে পারেননি। ২৩ বলে ২০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তিনি। ৬২ রানে ৫ উইকেট হায়দরাবাদের। কিছুই করতে পারেননি শাহাবাজ। ৭ বলে করেন ৮ রান।
যাকে নিয়ে কলকাতার শঙ্কা ছিল, সেই হেনরিখ ক্লাসেনও ছিলেন একেবারে অনুজ্জ্বল। শেষ দিকে অন্তত তাকে নিয়ে কিছুটা হলেও আশা করছিল হায়দরাবাদ। সেটিও হলো না। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন।
শেষ দিকে একাই লড়াই করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন (১৯ বলে) অধিনায়ক কামিন্স। রাসেলের বলে স্টার্কের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নেন ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন হার্শিত রানা ও মিচেল স্টার্ক।
অনলাইন ডেস্ক :
১০৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় কিউইদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মেঘলা কন্ডিশনে দারুণ বোলিং উপহার দেন তিনি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জয়ের কাজটাও সহজ হতে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড। হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর তাতে মূল্যহীন হয়ে গেল সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের লড়াই। ঢাকা গেল না ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জা। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। সাবেক কোচের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা। এবার ২০ বছর আগের ইতিহাস ফেরাতে পারলেন না তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত। টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য টম লাথামদের দরকার ছিল ১০৭ রান। রোহিতদের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১১০ রান তুলে নিলেন কিউইরা।
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল ভারত। রোহিত স্বীকার করে নিয়েছিলেন উইকেট বুঝতে তার ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের মাসুল দিল ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেন রোহিতরা। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারল ভারত।
শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ার পর শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১০৭ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে (শূন্য) আউট করেন যাসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীলভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়করভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং ও রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিচের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউই ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন ওয়ানডে মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রোহিত।
শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৮ ও রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরোয়া কিংবা মহাদেশীয় লিগ, চলতি মৌসুমে সব জায়গাতেই যেন লিভারপুলের জয়জয়কার। ঘরোয়া সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও উড়ন্ত লিভারপুলের কেউই নাগাল পাচ্ছে না। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭ ম্যাচের ৭টিতে জিতেছে আর্নে স্লটের দল। এখানেও লিভারপুল শীর্ষে। ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিলেকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে এই জয়ে টুর্ণামেন্টের শেষ ষোলোতে জায়গা নিশ্চিত করেছে অলরেডরা।
৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। তাদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে প্রথমে লিড নেয় লিভারপুল। ৩৪ মিনিটে গোলটি করেন মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়ন্স এটি মিশরীয় ফরোয়ার্ডের ৫০তম গোল। কার্টিস জোনসের লম্বা পাস থেকে বল নিয়ে বাঁকানো শটে লিলের গোলরক্ষক লুকাস চেভালিয়েরকে পরাস্ত করেন সালাহ। ১-০ তে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৫৯ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লিলে। লিভারপুলের ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখেন এইশা মান্দি।
একজন কম নিয়ে খেলেও সমতায় ফেরে লিলে। তাও আবার ১০ জনের দলে পরিনত হওয়ার ৩ মিনিট পরই। সফরকারীদের হয়ে গোলটি করেন জোনাথন ডেভিড (৬২ মিনিটে)। ৬৭ মিনিটে লিভারপুলকে আবার এগিয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় হারভি এলিয়ট। এতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
যোগ করা সময়ে আরো একবার লিলের জালে বল জমা করে লিভারপুল। উদযাপনও করে ফেরেন লিভারপুলের দারউইন নুনেজ। তবে অফসাউডের কারণে রেফারি গোলটি বাতিল করে দেন।
গ্রুপ পর্বে আগামী ২৯ জানুয়ারি লিভারপুরের শেষ ম্যাচ পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে। লিলে তাদের গ্রুপপর্বের ফাইনাল ফেয়েনর্ডের বিপক্ষে খেলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দ. আফ্রিকা। টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন প্রথম সেশনের মধ্যে তিন উইকেট খোয়ালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪ রান যোগ হতে-ই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬৬ রান। পাঁচে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস (৮) কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টাম্প খুইয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে।
তবে সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার এইডেন মার্করাম এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। কাইল ভেরেইনকে (৪*) সাথে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*)।
এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রীড়া জগতে জুজু কাটানোর বছরে শিরোপাখরা কাটাল ক্রিকেটের চোকার্সরা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটির দুই পেসার কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। ব্যু ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্টিভ স্মিথের (৬৬) জোড়া ফিফটির পরও তাদের ২১২ রানেই থামতে হয়।
রাবাদা ৫ এবং ইয়ানসেন ৩ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দিয়ে রোলার কোস্টার চালিয়ে দেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের দিনের বেলায় দুঃস্বপ্ন দেখান তিনি। তার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৮ রানেই থামে বাভুমার দল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাবাদার গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে অজি ব্যাটারদের। লেজের সারির ব্যাটার স্টার্কের হার না মানা ৫৮ এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানের ইনিংস দুটিতে চড়ে ২০৭ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এতে শিরোপা জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান। শেষ পর্যন্ত মার্করামের সেঞ্চুরি এবং বাভুমার ফিফটিতে সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। আর তাতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: 212 & 207
দক্ষিণ আফ্রিকা : 138 & 282/5
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত ১২ জুন বুধবার সকাল ১১টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মেড্ডা আলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণের সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও পাঁচটি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল আজ। যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
এরপর মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুয়ে। মিরাজের ৫ উইকেট আর তাইজুলের ৩ উইকেটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে পাঠানো তো দূরের কথা, থামে ১১১ রানে। এতে বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। এতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
আজ বুধবার ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন মিরাজ।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল।