চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র এমপি। ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ সাইলোতে প্রধান অতিথি থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এখন গরিবেরা পেট ভরে ভাত খায়, আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ধনীরা রুটি খায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। স্বাগত বক্তব্য দেন সাইলো অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকারি গমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাইলোর যন্ত্রপাতি পুরাতন হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। সাইলোটির ব্যাগিং হাউজ, ডেলিভারি সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কনভেয়র ব্রিজ, জেটি, সাব-স্টেশন, কন্ট্রোল রুম সিস্টেম, পুরাতন স্কেল, বেল্টের কাউন্টার, ওয়েট বুথ ইত্যাদি পুরাতন হওয়ার অপারেশনাল কার্যক্রমে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটত। এতে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম সরবরাহের জটিলতা দেখা দিত। ফলে সাইলোটির বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) করার উদ্যোগ নেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ সাইলোটি বিএমআরই করার কাজটি সম্পন্ন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিএমআরই করার কারণে সাইলোটি আবার পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। একটি নতুন সাইলো নির্মাণে যেখানে ৭শ থেকে ৮শ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে মাত্র ৪৭ থেকে ৪৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে আগের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছর এতে আর হাত দিতে হবে না।
তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই সাইলোটির বিএমআরই করা দরকার ছিল কিন্তু কোনো সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার তা করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কোভিড ও বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হাইড করেছেন। জনগণকে হতাশ করেননি। বিচক্ষণতার মোকাবিলা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ রাইস সাইলো পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জুন মঙ্গলবার বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন উপজেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তাদের দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সম্মান সংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেড প্রদান এবং ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। এছাড়া, তাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করা এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চতর গ্রেডে উন্নয়ন দিতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা অবমূল্যায়নের শিকার। তাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে টেকনিক্যাল কর্মীদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের দাবি পূরণের উদ্যোগ নেবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শাকির মাহমুদ, মেজবাউল আলম, আব্দুল আজিজ, মনির হোসেন, মাইন উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, বশির আহমেদ, আল আমিন, শাহিন কাদির, নুরজাহান, মাহফুজা আক্তার, রোহোনা আক্তার, আজহারুল হক এবং মো. সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে অটোরিকশা চালকের পানির জগের আঘাতে মোশারফ হোসেন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মোশারফ হোসেন খোলাপাড়া দুল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ জানান, সন্ধ্যায় খোলাপাড়া বাজারে খোলাপাড়া মোল্লা বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে অটোরিকশা চালক ইমরান (৪০) তার গাড়ি তুলে দেন মোশারফ হোসেনের পায়ে। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইমরান পাশের চায়ের দোকানের পানির জগ দিয়ে মোশারফের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মোশারফ মারা যান।
ওসি আরো জানান, মোশারফের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ঘাতক ইমরানকে আটক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরন কাজের কারনে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সদর উপজেলার সুহিলপুর, বুধল ও মজলিশপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব গ্রামের বাসিন্দারা। খাল ভরাট হওয়ার কারণে জমিতে উঠা পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি উঠেছে বাড়ি-ঘরেও। সব কিছু মিলিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা নাই। বিশেষ করে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড থেকে সুহিলপুর পর্যন্ত সড়কের পাশের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার খবর পেয়ে গত শনিবার দিনব্যাপী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভেকু দিয়ে খালে পড়া বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত চলে খালের বালি অপসারনের কাজ।
সুহিলপুর গ্রামের মোঃ মজিদ মিয়া বলেন, মহাসড়ক চারলেন করার কারনে রাস্তায় ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের গ্রামের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন গত ১৫ দিন আগে আমি আমার তিন কানি জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। আমার জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে আছে।
বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের সফর আলী বলেন, আড়াইশ মুরগীসহ আমার একটি খামার পানিবন্দী হয়ে আছে। খাল ভরাটের কারনে এখানকার জায়গা জমি, ঘরবাড়ি সব বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। খালের বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে আমাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় দুইশত কানি ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
পুকুরের পাড় ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।ফোরলেন রাস্তার কারনে খাল ভরাট করে ফেলায় পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। আমি আপাতত ভেকু এনে নালা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, পানি নিষ্কাষনের জন্য কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশের যেসব জায়গা বালু দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে শনিবার দিনব্যাপী ভেকু দিয়ে খালের সেইসব বালু অপসারণ করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করেছি। আজ রোববার ও বালি অপসারণ করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত পানি নেমে যাবে। মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দোকানে চোর ধরতে দোকানের সাঁটারে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে ছিলেন দোকানদার। চিনি ক্রয় করতে গিয়ে সেই ফাঁদে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে রায়হান নামে এক কিশোর।
আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কদমতলী গ্রামের কান্দু শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোর বাজারের কবির হোসেনের চায়ের দোকানে কাজ করত। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক মিজান মিয়া চুরি ঠেকাতে দোকানের সাঁটার বিদ্যুতায়িত করে রাখেন। রায়হান ওই দোকানে চিনি কিনতে গিয়ে সাঁটারে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয়। তাকে বাঁচাতে দোকানদার এগিয়ে এলে তিনিও বিদ্যুতের ফাঁদে আটকে আহত হন। পরে এলাকাবাসী রায়হানকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানান, এর আগেও একাধিকবার মিজানের দোকানে বিদ্যুতের ফাঁদে পড়েছিল সাধারণ ক্রেতা। এ বিষয়ে মুদি দোকানদার মিজান মিয়া বলেন, ‘দোকানে আমি কোনো বিদ্যুতের ফাঁদ পাতিনি, হয়তো দোকানে কোনো জায়গায় বিদ্যুতের তার লিক ছিল।’
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা কদমতলী গিয়েছিলাম। নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।