অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুর্গতদের পাশে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের গতানুগতিক অবস্থার বাইরে এসে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম (অব.) এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান।
পরিকল্পনাসচিব জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রত্যেক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থাপনা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা ছাড়া ল্যান্ডফোনকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। কেননা রিমালে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব সামনে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ হিসাব বের করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এসেছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া দ্রুত দুর্গত এলাকায় খাবার পানির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।
একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে সাত হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। সে সংগ্রামের পথ দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এদেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল সব সময় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।
বিত্তশালীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না। অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করেছি, এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়ে স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারা তো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনতে পারবে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এতো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়াবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্য আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা আছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্বের কাছে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বহির্গমন পথের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান ভেসে ওঠার ঘটনায় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোবারক হোসেনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বের হওয়ার পথে ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান প্রচারিত হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নেটিজেনদের একটি পক্ষ এই ঘটনায় জড়িতদের স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
চলারপথে রিপোর্ট :
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের হাড়ি ভাঙ্গা আম। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নামে ২৪০ কার্টুনে ১২শ কেজির আমের চালানটি আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট আমের চালানটি হস্তান্তর করেন। এ সময় উভয় দেশের কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রবি ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস বন্দরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদনায় সহযোগিতা করেন বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ কারেণ্ট জাল জব্দ ও জাল বিক্রির অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে দিরাই মধ্য বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে জব্দকৃত অবৈধ কারেণ্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম, দিরাই থানার এসআই আব্দুস সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদকে ঘিরে দেশে জাল নোটের দৌরাত্ম্য রুখতে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ ৬ মার্চ বুধবার কুর্মিটোলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদরদপ্তরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে।
ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। অভিযান তো চলছে, তবে এদিকে আরো খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জলদস্যুরা যেন আবারও বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের জীবনের প্রয়োজনে যা দরকার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জীবিকার পথ আরো ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র্যাব।
এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবকিছুর লক্ষ্য হলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। র্যাবে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মহাপরিচালক পদক চালু করা হবে। আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সহায়তা করবে, বাহিনীগুলোকে আরো প্রশিক্ষিত হতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।
দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো। যারা এখানে গণতান্ত্রিক ধারার অব্যাহত যাত্রা চায়নি, তাদের কাছে বিগত নির্বাচন ভালো লাগবে না। মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছুকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।
এছাড়া দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে আর্থসামাজিক উন্নতি করতে হবে বলেও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।