অবশেষে খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের

জাতীয়, বিজয়নগর, 30 May 2024, 412 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।

আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।

Leave a Reply

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধারসহ দুই…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য…

চলারপথে রিপোর্ট : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও Read more

আন্দোলনে নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয় এইচএসসি…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর Read more

পল্লীবিদ্যুতের ১০ জেলা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুৎ, বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ Read more
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক : পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী Read more

ভারত ৪৬ রানে অলআউট

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। Read more

কসবায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর Read more
ফাইল ছবি

৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ…

অনলাইন ডেস্ক : আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি Read more

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়ার ইন্তেকাল

বিজয়নগর, 30 October 2023, 559 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৬৫) বছর।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কণ্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া বেশ কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া গত কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।

এদিকে সোমবার বাদ জোহর শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ও বাদ আসর তার নিজের গ্রাম বিজয় উপজেলার চর-ইসলামপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।

হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার ইন্তেকাল

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 11 February 2023, 1944 Views,

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী সনি’র পিতা

স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।

আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’

তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’

২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।

২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।

প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে যেসব নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 15 January 2024, 608 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন সরকারের প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

বৈঠকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী তার তরফ থেকে মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির ওপর উনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়েছেন তা হলো মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষত, আগামী রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল, সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইশতেহারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে যেন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান কৃষি উৎপাদনের কথা বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আরও সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ। এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে যে মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রকল্প থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবে সেগুলো দ্রুত নিতে বলেছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথাও। সব মন্ত্রণালয়কে একই নীতি অনুসরণ করতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন।

‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করে সেখানে প্রবেশে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য; গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল- এই তিনটি ক্ষেত্রেও যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সে নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর (আইসিটি) শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, সেটি যেন কর্মমুখী হয়। ফিল্যান্সিং যেন আরও বাড়তে পারে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। যুব সমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন, যেন তারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটি লাঘবের জন্য তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হলো। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখেন কাল থেকে কী হয়, কাল থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি।

দুর্নীতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট করে কী বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বলেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন আরএমজিকে (তৈরি পোশাকশিল্পে) আমরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম বলেই এ খাতে এত ভালো করেছি। চামড়া ও পাট এ দুটি কাঁচামাল আমাদের দেশেই হয়। এ দুটিকেও গার্মেন্টসের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য উনি বলেছেন। যেন এই তিনটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রীতি হচ্ছে- প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক যখন হয় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তখন তার কলিগদের অফিসিয়ালি একত্রে পান। তিনি তখন তার পক্ষ থেকে একটি প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন। যেহেতু প্রথম মিটিং সে উপলক্ষে তিনি তার তরফ থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি যে বিষয়গুলোতে জোর দিয়েছেন সেগুলো আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।

দেশকে সঠিক পথে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 September 2023, 1099 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পথ হারানো বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব রাজাকার, আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে তারাই আবার বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরেও তারা ক্ষমতায় এসে দাপটের সঙ্গে দেশকে লুণ্ঠন করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক জায়গা দিতে চায়নি।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও এই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান।

পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩০ জন এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

ভরা বর্ষায় নদনদী মরা নৌকার হাটে খরা

জাতীয়, 5 August 2023, 617 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আষাঢ় আগেই বিদায় নিয়েছে, বিদায়ের পথে শ্রাবণ মাসও। এখনও প্রকৃতিতে ধরা দিচ্ছে না বর্ষা। এ কারণে গোমতী, তিতাস, কাঁঠালিয়া, হাবাতিয়া ও মাটিয়া নদী ঘেরা কুমিল্লার তিতাসে নৌকার হাটে চলছে খরা। লোকসানে পড়ছেন নৌকার ব্যবসায়ীরা; হতাশ হয়ে পড়ছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।

বাতাকান্দি নৌকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের সারি সারি নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কারও মুখে হাসি নেই। রোদ্রের খরতাপে ছাতা কিংবা মাথায় গামছা দিয়ে ক্রেতার আশায় বসে আছেন বিক্রেতারা। নৌকার হাটের ইজারাদার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নৌকা বিক্রি খুবই কম। এখন সারাদিন দুই থেকে তিনটি নৌকা বিক্রি করা কষ্টকর।

নৌকা বিক্রি করতে হাটে আসা গোপাল চন্দ্র দাসের বাড়ি হোমনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকার হাট জমে ওঠে। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ১০ হাত নৌকা তৈরিতে তাঁর সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ক্রেতা বলছেন তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা। নৌকা বিক্রি করে সংসার চালানো ও কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার টাকার কাঠ কিনছি এখন পর্যন্ত। মাত্র ১২টি নৌকা বিক্রি করেছি।’

নৌকা ব্যবসায়ী রতন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার পানি না হওয়ায় নৌকা বিক্রি নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকা এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাটে কথা হয় হোমনার খন্দকার চরের জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ১০ হাজার টাকার একটি নৌকা ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে আমার ওপর জুলুম করা হইছে। এক হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের ভাষ্য, বর্ষার রূপ এখন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে তিতাসে বিভিন্ন অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করায় শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে আবার কচুরিপানার আগ্রাসন। ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে মানুষ মাছ ধরে খেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিন দিন তিতাস নৌকার চাহিদা কমতে শুরু করেছে।