চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৩ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমাকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ মে নির্বাচনি প্রচারণার সময় এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়ার পর প্রীতি খন্দকার বলেন, ‘আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আমি নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সার্ভারে ত্রুটির কারণে আমার মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ায় পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পাই।’ কীভাবে নিখোঁজ হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘২৮ মে দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুই জন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যাই। হরষপুরের খেয়াঘাট ও ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণার সময় আমার সঙ্গে থাকা দু’জন নারী বাইরে এবং আমি ভেতরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় অন্য দু’জন বোরকা পরা নারী এসে বলেন, ‘সামনে একটি মাদ্রাসা আছে, সেখানে অনেক ভোটার আছে’। এই কথা বলে আমাকে একটি পান খেতে দেয়। পানটি মুখে নিতেই আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে। তখন তারা একটি কালো মাইক্রো বাসে করে আমাকে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগের একটি হাইওয়ে সড়কে আমাকে ফেলে যায়।’’
‘এতো সকালে ফাঁকা সড়কে কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন সড়ক দিয়ে অনেকক্ষণ হেঁটে আসার পরে একটি অটো রিকশা দেখতে পেয়ে আশপাশে কোনও থানায় নিয়ে যেতে বলি। পরে, কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় আসার পর একজন পুলিশের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে আমার স্বামীকে ফোন দিই। পুলিশের সহায়তায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ও আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
এই ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী অভিযোগ করেন, তার কাছে থাকা একটি মোবাইল, সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার- সব নিয়ে গেছেন ওই দুই নারী।
প্রার্থীর স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রী আমাকে কল দিয়েছে। পরে থানা থেকেও আমাকে জানিয়েছে। থানা থেকে আমি কাঁচপুরে এসেছি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে। স্ত্রী জানিয়েছে, নির্বাচন যেন না করে এজন্য তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন সে অসুস্থ বেশি কথা বলতে পারছে না। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী প্রার্থী সকালে থানায় এসে আশ্রয় চেয়েছেন। পরে বিজয়নগর থানায় যোগাযোগ করে তাকে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে কাগজপত্রবিহীন অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। এ সময় মোটর সাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকদের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ১৫টি মামলা ও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালকদের গতিরোধ করে তাদের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করেন। এসময় যাদের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি সেই গুলোকে করে এ আর্থিক জরিমানা ও মামলা করা হয়।
উপজেলার বাহির থেকে অবৈধ মোটর সাইকেল নিয়ে অনেকেই এসে মাদক ও অপরাধের সাথে জরিত হওয়ায় এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজয়নগর থানা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ আরো বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে সড়ক পথে অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আবু লাল (৬০) নামের এক নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে রবি মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের রবি মোবাইল টাওয়ারের কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবু লালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু লাল ওই এলাকার আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, আবু লাল রবি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের নৈশ প্রহরি ছিলেন। সেখানে রাতের কোন এক সময় চোরেরা হানা দিয়ে টাওয়ারের কক্ষের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে আবু লালের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যা করে মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়।
নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। আবু লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাবেনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছে।
উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পূর্বে রোগী দেখতেন ডাঃ সুব্রত সাহা নামের একজন ডাক্তার। কিন্তু উক্ত ডাক্তার গত এক মাস যাবত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে না আসলেও তাহার নামে নিয়মিত মাইকিং, হেনবিল বিতরণসহ মার্কেটিং করে যাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিজয়নগর উপজেলানহ আশেপাশের এলাকা থেকে বহু রোগী চিকিৎসা গ্রহন করতে এসে ডাঃ সুব্রত সাহা মনে করে বেনামি ডাঃ তপন দেবনাথ নামের এক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে যাচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সশরীরে উপস্থিত হন।
উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযুক্ত ডাক্তার এর কাগজপত্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সাথে কথা বলে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিস্তারিত অবগত করেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম এর খবর পেয়ে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে বিস্তারিত জেনে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ও ৪৫ দ্বারায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অভিযুক্ত ডাঃ তপন দেবনাথ এর কাছ থেকে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কখনো আর চেম্বার করবে না এবং এমন অনিয়মের সাথে কখনো জড়িত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। পরিবারটিতে শাশুড়ি ছাড়া ঘরে তেমন কেউ নেই। ফলে আত্মহত্যার মতো এমন ঘটনায় প্রতিবেশী ও পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা হতবাক হয়ে গেছেন।
গতকাল ২১ এপ্রিল রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামের পূর্বপাড়া নিহতের জাপান প্রবাসীর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণী উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন কেনা গ্রামের অলি আহমেদের মেয়ে ও বুধন্তী পূর্বপাড়ার জাপান প্রবাসী মো. তানভীর আহমেদের স্ত্রী মোসা. মুন্নী আক্তার (২৫)।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছু দিন পর স্বামী জাপানে চলে যায়। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, কিছু দিন আগে কেনা গ্রামের মুন্নীর সঙ্গে জাপান প্রবাসী তানভীরের বিয়ে হয়। সন্ধ্যায় সে স্বামীর ঘরের সিলিংফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার রাতে উপজেলার হরষপুর রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখী উপবন ট্রেনটি হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর পৌঁছলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া র মর্গে পাঠায়। ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়নি।