চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে আজ ৩০ মে বৃহষ্পতিবার সকালে আম পারতে গিয়ে আম গাছ থেকে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামের একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের মেয়ে ইভা আক্তার বলেন, আজ সকালে বাবা আম পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন। দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেরুনেছা বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি আম গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। তাকে হাসপাতালে আনার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের ন্যায্যমূলের টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন’।
২০ মার্চ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে দুই গ্রামের মানুষদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা সকাল থেকে কম দামে টিসিবি পণ্য কেনার জন্য পরিষদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর হয়ে গেছে চেয়ারম্যান বা টিসিবি পণ্যের দেখা নেই।
তাদের মধ্যে ৬নং ও ৯নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষরা জানান, আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বারের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে, গত তিন মাস যাবত আমরা টিসিবির পণ্যসহ ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। আমাদের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়ার হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইলিয়াস জানান, গত তিন মাস যাবত আমাদের ওয়ার্ড দুটিতে টিসিবি পণ্যসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আমাদের দুই ওয়ার্ডের সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ।
তারা আরো জানান, চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষজনকে জিম্মি করে জন্মনিবন্ধন ফি ২শ টাকা ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বাবদ ৫শ টাকা করে নিচ্ছেন। আমরা এসবের বিরোধিতা করায় এসব করছেন তিনি। জন্মনিবন্ধন করতে গেলে সরকারি ফি থেকে অধিক মূল্য দিতে হয় তাও আবার সময়মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছি না। শুধু জন্মনিবন্ধন নয়, ইউনিয়নের বিভিন্ন সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন জানান, আমি মসজিদের ছাদ ঢালাই করছি। এখন আসতে পারব না। আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় নৌকা ডুবে রিয়াদ নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মা বিউটি বেগম গুরতর আহত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নৌকার মাঝি আতিক মিয়া পলাতক রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রিয়াদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উরখুলিয়া গ্রামের আতিক মাঝির নৌকা সদরের চাল বাজার থেকে উরখুলিয়া প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। দুপুরে নবীনগর নৌকা ঘাট থেকে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে একটি মালবাহী নৌকা উরখুলিয়া যাবার জন্য রওয়ানা হয়। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার সময় হঠাৎ ডুবে যায়। নৌকার ডুবির কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেতরের মধ্যেই নৌকার ভেতরে মহিলাকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পর শিশু বাচ্চাটি নদীতে ভেসে ওঠে। নৌকায় বেশি যাত্রী ছিল না। নৌকায় সিমেন্ট ও রড অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবেছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত শিশুটির নানা মোঃ হেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে নবীনগরে বাজার করতে আসছিলাম। বাজার শেষ করে দুপুরে নৌকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ার সময় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আমার নাতি রিয়াদ মারা যায়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাফিছা বলেন, আজকে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই জন রোগীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। একজন হচ্ছে মা, পরে এসেছেন তিন বছরের একটি বাচ্চা। মা জীবিত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। শিশু বাচ্চাটি আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন।
ফায়ার ফাইটার আব্দুল জব্বার বলেন, ৯৯৯ একজন নারী আমাদের ফোন করে অবগত করলে আমার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনার একটি শিশু মারা গেছে। অতিরিক্ত মালমাল থাকায় কারণে নৌকাটি ঘাটেই তলিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিস্তির্ণ হাওরাঞ্চলের কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। ‘জলকমল’ খ্যাত এ জৈবসার দামে কম ও মান ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পাইলট প্রকল্প হিসাবে এ প্লান্টটি চালু করা হলেও ল্যাব টেষ্টে গুণগত মানের স্বীকৃতি মিলায় এখন বাণিজ্যিক ভাবে ১০টি প্লান্ট স্থাপন করা হবে যা থেকে প্রতিমাসে ৫০ টন জৈব সার উৎপাদিত হবে যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। জেলা সদর ছাড়াও নদী ও হাওরবেষ্টিত নবীনগর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে নৌপথে যোগাযেগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কচুরিপানা।
এতে নৌপথ ক্রমশ সংকুচিত হবার পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলায় আখের ছোবড়া থেকে বাণিজ্যিকভাবে জৈব সার উৎপাদনের বিষয়টি নজরে আসার পর কচুরিপানা থেকে জৈবসার উৎপাদনের পকিল্পনা নেয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সংগৃহীত কচুরিপানরা নিচের কালো অংশটুকু কেটে ফেলে পাতাসহ বাকি অংশটুকুর দেড় টন পরিমাণ স্তূপ করে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা নামক এক ধরণের ছত্রাক এবং ২০০ গ্রাম চুন ছিটিয়ে এ সার তৈরী হচ্ছে। এই সার তৈরি করতে দুই মাস সময় লাগে। পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ায় নবীনগর উপজেলায় বাজারজাত করা হয়েছে। উপজেলার বিসিইসির ২৬টি ডিলার জৈবসার কর্নার স্থাপন করে তা বিক্রি করছেন। এখন পর্যন্ত ৫ টন সারা বিক্রি হয়েছে। ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি এই প্লান্টটি থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদনের কথা জানালেন, নবীনগর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান।
এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ ভাগ কমায় বৈদেশি মুদ্রার সাশ্রয়ের কথা জানালেন, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম। এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ সতেরই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহ তিন তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ ০৫ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সহান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার ওসি তদন্ত মো. সোহেল , বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম শাহন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাদক মুক্ত নবীনগর চাই ও মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওসার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধান এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি নির্দেশনার আলোকে প্রথমে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতিথিগণ বলেন সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য পৌঁছে দিতে হবে, সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করতে হবে।
পর্যায়ক্রমে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, সকাল ১০ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাত ১০ঃ৩০ মিনিট হতে ১০ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট থাকার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মহান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে কুচ কাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা সহ দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস এবং মেঘনা নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুটি প্রধান নদী। এ দুটি নদীর অববাহিকায় কৃষক আবাদ করছে বাদাম, টমেটো, শাক সবজি সহ নানাবিধ ফসল। তারমধ্যে অন্যতম একটি ফসল হচ্ছে মিষ্টি আলু।
এখানে কৃষি জমিতে যতদূর চোখ যায় এ যেনো এক টুকরো মিষ্টি আলুর রাজ্য। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নবীনগরে ২২৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে। এখানে মিষ্টি আলুর স্থানীয় জাতের পাশাপাশি কৃষকরা ওয়াকিনাওয়া জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর চাষাবাদ শুরু করে সফল হয়েছেন। এ জাতের মিষ্টি আলু অন্য জাত থেকে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ, রোগ বালাইয়ের প্রকোপও কম হয়। যার ফলে এ জাতের মিষ্টি আলু চাষে স্থানীয় কৃষকদের সফলতা দেখে এখন আশেপাশের অনেকেই মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু আবাদে অল্প বিনিয়োগে যেমন ভাল ফলন পাচ্ছে তেমনি তারা আর্থিকভাবেও বেশ লাভবান হচ্ছেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আমীন জানান, অধিকাংশ স্থানীয় জাতে উৎপাদন কম হয়, ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলুর উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ, রোগ বালাই প্রকোপ কম। আমরা এই জাত নিয়ে আশাবাদী। কৃষি বিভাগ নিয়মিত মাঠে এসে তদারকি করছেন।
নবীনগর উপসহকারী কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম এনি জানান, স্থানীয় জাতের পাশাপাশি এখানে গত কয়েক বছর ধরে আবাদ হচ্ছে জাপানি মিষ্টি আলু ওয়াকিনাওয়া। স্থানীয় আলুর তুলনায় এই আলুর আকার বেশ বড় এবং ভিতরের অংশ কমলা রঙের। এ জাতের মিষ্টি আলু অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন যেমন বেশি, বাজার দরও ভাল। এখানে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, উপজেলার সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আলু আবাদ হয় নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর, লাপাং, চর লাপাং, দড়িলাপাং গ্রামের নদীর অববাহিকায়। তাছাড়া বীরগাঁও, কৃষ্ণনগর, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়। তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় জাপানি মিষ্টি আলু ওয়াকিনাওয়া অনেক বেশি ফলন হয়। যার ফলে এ জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।