চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ নয় উপজেলায় পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩০০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা চার লাখ ৮৩ হাজার ২২০।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কোভিডের টিকাদানে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। শিশুদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি একটি সুস্থ শিশু ও সুস্থ জাতি গঠনে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাল-সবুজের পতাকা মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শহরের লোকনাথ দিঘীর পাড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি এড. আবু কাউসার, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তানজিন আহমেদ,শেখ মো. মহসিন, হাজি মো. মহসিন, সেলিম রেজা হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, কাচন মিয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি সাহিত্য মেলা ও কৃষি ঋণ মেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানীয় ফারুকী পার্কে। মেলায় ২৪ জানুয়ারি মঞ্চস্থ হয়েছে আল আমীন শাহীনের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় নাটক তিতাস-ই জীবন। এতে অভিনয় করেছেন আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, ফারুক আহমেদ পারুল, নুসরাত জাহান জেরিন, নাজিম ফারুক চৌধুরী, ফরিদ আহমেদ সাগর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হুরায়রাহ, শ্যামল আহমেদ। সংগীত নির্দেশনায় আলী মোসাদ্দেক মাসুদ। ইব্রাহিম খান সাদাতের গান ও নুসরাত জাহান জেরিনের কবিতা নাটকে যুক্ত করা হয়। চিত্র ধারনে : শ্যামল আহমেদ। উপস্থাপনা পিযুষ কান্তি আচার্য। পরিবেশনায় নতুন মাত্রা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাগেজ থেকে উদ্ধার মাথা ও দুই পা বিহীন তরুণীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি গত দুদিনেও। মরদেহটি উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির পৃথক দুটি দল। মরদেহের পরিচয়, খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট।
এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মরদেহের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে ভেজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ খণ্ডিত করতে প্রথমে দা ও পরে ধারালো মেশিন জাতীয় কিছু ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ একটি পা কাটা অংশের হাড় কিছুটা আঁকাবাঁকা আছে। তবে আরেকটি পা এবং গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা অংশের হাড় সমান, নিখুঁতভাবে কাটা।’
লাল একটি লাগেজে মাথা ও দুই পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে এক যুবককে লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবককে কেউ চিনতে পারেননি।
গত শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত খণ্ডিত মরদেহটির পরিচয় মেলেনি। এর খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি লাল লাগেজে মাথা-দুই পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মেতে উঠে অষ্টমী গঙ্গা স্নানে।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্ত ও পূনার্থীরা অষ্টমী গঙ্গা স্লান করতে গোকর্ণঘাটের তিতাস নদীর তীরে ভীড় জমায়। প্রতি বছরই চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশপাশি দেশ ও জাতির জন্যে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
গঙ্গা স্নানে আসা ইতি রানী সাহা বলেন, গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে আমি নিজের এবং পরিবারের জন্যে, দেশ ও জাতির কল্যান ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেছি।
গঙ্গা স্নানে আসা দীপা রানী সাহা বলেন, তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্য দিয়ে মাতৃদেবী গঙ্গা ও ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করেছি।
গঙ্গা স্নানে অংশ গ্রহন শেষে ইস্কন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি প্রবীর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গা স্লানের মধ্য দিয়ে দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন, সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন।
এদিকে এই গঙ্গা স্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষে বসেছে লৌকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাটির তৈরী বাহারী খেলনার দোকানের পাশপাশি হরেক রকমের মনোহরি দোকান সাজিয়ে বসে দোকানীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ এর উচ্চ চাপ ক্ষমতাসম্পন্ন সরবরাহ লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাদুঘর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর এলাকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের ছেলে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, জেলার ১৭ ও ১৮ নং গ্যাস কূপের আওতায় শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত গ্যাস ফিল্ডের নিজস্ব জায়গার মাটির ৬ ফুট নীচ দিয়ে উচ্চ চাপক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাসের উৎপাদন লাইন নির্মাণ করে এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য বিজিএফসিএল এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড ও মাইকিং করে প্রচার করে। অথচ স্থানীয় হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, খোকন মিয়া, বশির মিয়া ও জালাল মিয়াসহ একটি স্বার্থন্বেষী ভূমি খেকো মহল প্রভাব খাঁটিয়ে এই পাইপ লাইনের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটা এবং ভারীযান পরিবহনের জন্য রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে। ওই রাস্তা দিয়ে ভারীযান চলাচল করলে যেকোন সময় গ্যাস পাইপ লাইনের বিষ্ফোরণের আশঙ্কার পাশাপাশি শহরের ঘনবসতি মানুষের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিস্ফোরণে তা যেন মাগুরছড়া ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মতো ভয়াবহ বিপর্যয় না ঘটে। যেকোন ধরণের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সেলিম মিয়া, মোকলেছ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানীর লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) মাহমুদুল নবী মিলন বলেন, সেখানের রাস্তা নির্মানের কোন সুযোগ নেই। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।