চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, সকালে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির (পুরুষ) লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার শরীরেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তার বয়স আনুমানিক ৩৮ হবে।
ওসি আরো বলেন, মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিস্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে। ভার্কের সহযোগিতায় দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে ইউএনও’র নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. রূপক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা: মো. কামরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সিফাত বিন রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা মো. মকসুদ হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মাসুদ মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম, ‘তরী’ সরাইল শাখার আহ্বায়ক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও ভার্কের প্রতিনিধি চিত্তনঞ্জন শীল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানুষের হাত ধোয়ার গুরুত্ব অনেক। কারণ হাত শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ স্পর্শ করে থাকে। ফলে হাতের জীবাণু মানবদেহের ভেতরে সহজেই প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। তাই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে খাবার আগে পরে লেট্রিন থেকে আসার পরে সাবান দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধৌত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের মধ্যেও এই প্র্যাকটিস নিয়মিত করতে হবে। হাত ধোয়ার প্র্যাকটিস ও অভ্যাস মানব জাতিকে অনেক দূরারোগ্য ব্যাধিতে থেকে রক্ষা করবে।
সরাইলে সিরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি রায়হান উদ্দিন, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আল মাহদি, মুফতি মুর্শিদ চৌধুরী, মুফতি মনিরুজ্জামান, মুফতি সালমান কাশেমী, মুফতি ইয়াছিন, মুফতি বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা এহসান উল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি সুলাইমান, মাওলানা সাইফুর রহমান হাবিবী ও মাওলানা সিফাত জামিল।
উক্ত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, রাসুলের (সা.) শাণে যদি বাংলার মাটিতে কোন নাস্তিক মুর্তাদ কটূক্তি করে, রাসুলকে গালি দেয় তবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করব। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। রাসুলকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরূদ্ধে সর্বোচ্চ বিচারের আইন পাস করতে হবে। রাসুলের দুশমনদের ফাঁসি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আল্লাহ এক, রাসুল সবার এক, আমাদের কাবা কেবলা এক, শরীয়ত এক। অতএব দ্বন্দ্ব ভুলে যান। আমরা সবাই এক। ধর্মের ব্যাপারে আমরা ওলামায়ে কেরামদের নেতা মানব। কোন বিষয়ে কোন ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ সরাইল উপজেলা শাখাসহ হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও তৌহিদি জনতা উক্ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে সরাইল উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৩ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ আসে। এরপরও চলতে থাকে লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালি’কে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে বিউবোর কর্মকর্তারা সঞ্চালন লাইনে ‘সমস্যা’ হওয়ার কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়া বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মাহবুব খান বলেন, ‘এখানে বৃষ্টির দু-চারটি ফোঁটা পড়লেই টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এখন চলছে রোজার মাস। এ সময়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। এর নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ সাতটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতাধীন। এখানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০। বিউবোর এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অধিকাংশই শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা ২৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শাহবাজপুর ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নে বিকেল চারটার দিকে বিদ্যুৎ আসে। এ দুটি ইউনিয়নে আবার বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর সরাইল সদর, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রবিবার বিকেল চারটার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এখানে আকাশে মেঘ দেখা দিলেই এমনটি হয়ে থাকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী রওশন আলী বলেন, ‘সরাইল বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কাউকে সহায়তা করে না। এ কারণে এখানে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে আরও বেশি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতের প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রভাবে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়। এ সমস্যা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেক দেরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক (টেলিফোন) বরাদ্দ পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় শাররীক অসুস্থ্যতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুবলীগ নেতা ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি। বেলা ২টার পর থেকে ওঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকলেও তিনি বিকাল ৩টার সামান্য আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে জনগণকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই ষ্ট্যাটাসের খবরে অনেকেই বলেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত শুনতে প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা তো অনেকের কাছে আপনার জন্য ভোট চেয়েছি। কাজ করেছি। কাজ করছি। এমনটি করা ঠিক হয়নি বলে কমেন্স করছেন। কেউ কেউ লিখছেন ভাল ও সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদেই মানায়। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল মুঠোফোন। সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক আনতে চেয়ারম্যান পদের ৫ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে গেলেও যাননি রাজিব আহমেদ। ৪ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কাজ শেষ। বাকি দুইজন। এরমধ্যে মো. মুখলেছুর রহমান ও রাজিব আহমেদ দু’জনই চেয়েছেন আনারস। লটারি করতে হবে। কিন্তু প্রার্থী রাজিবের অনুপস্থিতিতে লটারি করাও সম্ভব নয়। চলে অপেক্ষার পালা। বেলা ১২টায় মুখলেছুর রহমান রাজিবকে ফোন দেন। রাজিব বলেন আমি আসছি। তারপরও আসেননি রাজিব। পোনে ১টায় ফোন মুখলেছুর রহমান রাজিবের কাছে আনারস প্রতীকটি চান। রাজিব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে আনারস প্রতীকটি মুখলেছুর রহমানকে দিয়ে দিতে বলেন। তখনও রাজিব রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাননি। বেলা দেড়টার দিকে রাজিব আহমেদকে টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের কিছুক্ষণ পরই বেলা ৩ টার সামান্য আগে রাজিব আহমেদের ফেসবুক ভেরিফাইড আইডিতে একটি ষ্ট্যাটাস। ষ্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন-প্রিয় এলাকাবাসী আস্সালামু আলাইকুম। আশা করি ভাল আছেন সবাই। আমি ব্যক্তিগত কিছু কারণে ও আমার শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে আসছে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমার শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত। আলহামদুলিল্লাহ। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতীক নিতে অফিসে আসেননি। একসময় মুঠোফোনে নির্বাচন করবেন না বলে জানান। কিন্তু আজকে তো আর প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। ৪ টা পর্যন্ত অফিস চলবে আপনি আসেন। বেলা ২টার রাজিব আহমেদ বলেন আমাকে টেলিফোন প্রতীক দেন। ওই প্রতীকটি থাকায় উনাকে বরাদ্দ দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবেশে মাদক পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া (শহিদুলের বাড়ি) গ্রামের মো. সবুজ শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও জামালপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর (আনাকাছা) গ্রামের মো. আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সবুজ বাংলা হোটেলের পাশে যাত্রীবেশে অপেক্ষা করার সময় দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।