অনলাইন ডেস্ক :
কানাডা ও জাপানে ১৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ৩১ মে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় জাপানের টোকিও থেকে তিনি ঢাকায় ফেরেন।
তিনি গত ১৮ মে ব্যক্তিগত সফরে কানাডায় যান। সেখান থেকে গত ২৬ মে তিনি জাপানের টোকিওতে পৌঁছান। গত ২৮ মে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক জাপানের নাগাসাকিতে স্থাপিত পিস মনুমেন্ট উদ্বোধন করেন।
গত ৩০ মে তিনি টোকিওতে অবস্থিত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সদর দপ্তরে যান এবং জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশে ভূমিকম্প সহনশীল নগর উন্নয়নে জাইকার সহযোগিতা চান।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নবীরুল ইসলাম এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ফের কক্সবাজারে পৌঁছেছে। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ১৪ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ আসেন। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
আরআরআরসি সামছু দৌজা বলেন, সম্ভব্য প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের দুজন সদস্যও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন। তারা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
রোহিঙ্গা নেতা খিন মং বলেন, ক্যাম্পে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এসেছেন। অনেক রোহিঙ্গা দাবি তুলছেন, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের। আমরা নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চাই।
এর আগে, ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। পরে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন সফর করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে ব্রিজ স্থাপনের দুই বছর পার হলেও সড়ক যোগযোগা এখনো বিচ্ছিন্ন। ফলে বাধ্য হয়ে তিন গ্রামের মানুষ ব্রিজে উঠানামায় ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল রাস্তার ওপর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়নের পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার। তবে ওই বরাদ্ধে ব্রিজের দুই পাশের সড়ক সংযোগের জন্য মাটির খরচ ধরা থাকলেও সেখানে মাটি ফেলা হয়নি। ফলে এপার-ওপার যেতে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
রোয়াচালা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, শুধুমাত্র এই ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় রোয়াচালা বাজারে আসতে ও কুড়াখাল বাজারে যেতে প্রায় তিন কিলোমিটার হাটতে হয় আমাদের। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে যে ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের জন্য আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতির সেরা সন্তানদের সম্মানার্থে কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন ২০২২ সালে এই কার্যক্রম শুরু করেছিল। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়াও হয়।
বিগত কমিশন বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনেন তারা। তবে কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে সে উদ্যোগটিই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ এ কার্ড নেওয়ার জন্য কেবল আবেদন করলেই নির্বাচন কমিশনার যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা নিষ্পত্তি করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, তাহলে কি বলা যায় কূটনৈতিক সংকট যেটা ছিলো সেটা কেটে গেছে, না কি কিছু কিছু দেশের সঙ্গে সেটা এখনো আছে এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলবো না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলবো একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
হাইকমিশনার বলছিলেন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে। সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। যেসব সমস্যা ও আইনে যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সে সব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কিনা এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কিনা সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না আজকে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) অতি-আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে সাজিয়ে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না। কোস্ট গার্ড বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ’
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে ‘২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং কোস্ট গার্ড দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ছয়টি স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রতুগতিসম্পন্ন বোট।
পাশাপাশি সমুদ্র নির্ভর পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের ও নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি যা কোস্ট গার্ডকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর যোগাযোগ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি দুটি হেলিকপ্টার উইংসহ এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছি, যা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে ৪টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেলসহ বিভিন্ন আকারের ১৬টি জাহাজ ও ১৩৮টি বোট কোস্ট গার্ড বহরে সংযোজিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১’ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আজ কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট সিস্টেম ও ঢাকা জোন, পূর্ব জোন এবং দক্ষিণ জোনের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৯ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের আনীত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন আকারের জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্ট গার্ড-এর জোনসমূহে কর্মরত সদস্যগণের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ড-এর জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন, ট্যাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ও সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি এ বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বাহিনীর অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।